যিয়াদ ইবনে হারেস (রাঃ) এর নিজ কওমের প্রতি পত্র – শেষ পর্ব
অতঃপর অপর এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কিছু দান করুন। রাসূল (সাঃ) বলিলেন, ধনী হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি লোকদের নিকট চাহিবে, এই চাওয়া তাহার জন্য মাথার ব্যথা ও পেটের পীড়া হইয়া থাকিবে। লোকটি বলিল, আমাকে সদকা হইতে কিছু দান করুন। রাসূল (সাঃ) বলিলেন, আল্লাহ তায়ালা সদকার মাল বণ্টনের ব্যাপারে কোন নবী অথবা অন্য কাহারো ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট নহেন বলিয়া তিনি নিজেই উহার ফয়সালা করিয়াছেন এবং আট প্রকার লোকের লোকের মধ্যে উহা বন্টন করিয়াছেন। তুমি যদি সেই আট প্রকারের মধ্যে হইয়া থাক, তবে তোমাকে দিব। হযরত সুদায়ী (রাঃ) বলেন, তাহার এই কথাও আমার অন্তরে যাইয়া লাগিল। কারণ আমিও একজন ধনী ব্যক্তি হইয়া তাঁহার নিকট সদকার মাল হইতে চাহিয়াছি।
অতঃপর ইমাম বাইহাকী দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করিয়া পরিশেষে ইহাও উল্লেখ করিয়াছেন যে, তারপর রাসূল (সাঃ) নামাজ শেষ করিলে আমি (আমার জন্য লেখা) পত্র দুইখানি লইয়া তাঁহার খেদমতে উপস্থিত হইয়া বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপানকে বলিতে শুনিয়াছি যে, মুমিন ব্যক্তির জন্য আমীর হওয়ার মধ্যে কোন কল্যাণ নাই। অথচ আমি আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান রাখি।
আর মালের জন্য আবেদনকারী সেই লোকটির উদ্দেশ্যে আপনাকে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি ধনী হওয়া সত্ত্বেও লোকদের নিকট চাহিবে, এই চাওয়া তাহার জন্য মাথার ব্যথা ও পেটের পীড়া হইয়া থাকিবে। আমিও আপনার নিকট চাহিয়াছি অথচ আমি একজন ধনী ব্যক্তি। রাসূল (সাঃ) বলিলেন, কথা তো তাহাই যাহা বলিয়াছি। এখন এই পত্র গ্রহণ করা বা ফেরত দেওয়া তোমার ইচ্ছা। আমি বলিলাম, ফেরত দিয়া দিলাম। রাসূল (সাঃ) আমাকে বলিলেন, এমন একজন লোক বল যাহাকে তোমাদের আমীর নিযুক্ত করিতে পারি। আমি আগত প্রতিনিধিদলের মধ্য হইতে এক ব্যক্তির নাম বলিলে তিনি তাহাকে আমীর বানাইয়া দিলেন। (বিদায়াহ)
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
যিয়াদ ইবনে হারেস (রাঃ) এর নিজ কওমের প্রতি পত্র – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন