নেক “পীর” আছেন যারা নিজের দলে লোক ভিড়ানোর জন্য নানা রকম কৌশল ও ফন্দি ব্যবহার করেন। এরূপই একজন পীর নিজের পীরত্ব প্রচারের জন্য এক কৃত্রিম কেরামতির আয়োজন করলেন। তিনে সেজে গুজে এক নতুন রাজ্যে প্রবেশ করলেন।
তার শিষ্যকে কাফনের কাপড় পরিয়ে লাশবাহী খাটে শোয়ালেন। মরা-কান্না দেখানোর জন্য কয়েকজন লোক নিযুক্ত করলেন। এরপর জানাযা পড়ার জন্য সাধারণ মানুষকে ডাকা হলো।
যখন বিশাল জনতা জানাযার জন্য অপেক্ষা করছে, হঠাৎ পীর সাহেব খাটের কাছে এসে লাশকে লক্ষ্য করে বললেন,
“আল্লাহর ইচ্ছায় উঠে দাঁড়াও।”
শোনা মাত্রই লাশটি কাফনের কাপড় ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো এবং হাত তুলে পীরকে সালাম জানালো। সরলমনা জনগণ এই কেরামতি দেখে অবাক হয়ে চারিদিকে ডঙ্কা বাজিয়ে আনন্দের স্রোত ছড়াল। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভীড় করতে লাগলো।
রাজ্যের রাজাও এই নবাগত পীরের কাহিনী শুনলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান। রাজা পীরকে নিজের দরবারে ডেকে পাঠালেন। পীর সাহেব মনে মনে ভাবলেন, “আমার কৌশল বৃথা যায়নি।”
দরবারে হাজির পীরকে রাজা বললেন,
“যুদ্ধে আমার সেনা বাহিনীর অনেক লোক মারা যায়। ফলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। কারণ ঐরূপ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সৈন্য আর সহজে পাওয়া যায় না। আপনি এ দেশেই থাকুন। ওদেরকে পুনরায় জীবিত করাই আপনার কাজ। আপনার ভরণ-পোষণ এবং যাবতীয় খরচ আমরা বহন করবো।”
রাজার কথায় পীর সাহেবের পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেল। তিনি হঠাৎ দুই চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলেন। সুযোগ বুঝে রাতারাতি গোপনে দেশ ছেড়ে পালালেন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।