যার উস্তাদ নেই শয়তান তার উস্তাদ।


যার উস্তাদ নেই শয়তান তার উস্তাদ।
অনেক লোক কোরআন শরীফের বাংলা তরজমা নিজে নিজেই পড়ে।
কোন উস্তাদের কাছে যায় না শিক্ষার জন্য। ফলে এ গভীর জ্ঞান-সাগর পাড়ি দেওয়ার কৌশল জানা না থাকার কারণে নানা রকম সন্দেহ পড়ে যায়। আবার এ সন্দেহ দূর করার জন্য কোন ভালো আলেমকেও জিজ্ঞেস করে না ফলে সন্দেহ আরো গভীরতর হয়ে একদিন ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়। বাংলায় জ্যামিতির বই আছে। সেখানে জ্যামিতির চিত্রগুলো বাংলা ভাষায় পড়েছেন বুঝতে পারে না? বলা বাহুল্য, সেখানে শিক্ষকের প্রয়োজন হয়। শিক্ষক ছাড়া সেখানে ভুল করা স্বাভাবিক। এমন কি মানব রচিত কবিতার ছন্দও নিজে নিজে পড়তে গিয়ে ভুল করে তাকে।
যেরূপ এক ব্যক্তি নীচের ছন্দটি পাঠ করার পর তার অর্থ এত ভুল ভাবে গ্রহন করেছিল যে তার বস্তুকে উপকার করতে গিয়ে মারাত্মক বিপদে ফেকেছিল। ছন্দটি এইরূপঃ
“সেই হলো প্রকৃত বন্ধু যে বিপদে-পড়া বন্ধু হাত ধরে।”
ছন্দটি পাঠ করার পর সে ভাবতে লাগলো এবার একটা উত্তম কৌশল শিক্ষা গ্রহন করছি। একদিন সে দেখলো তার বন্ধু অন্য এক লোকের সাথে ভীষন ভাবে মারামারি করছে। বন্ধু তার সাধ্যমত দুহাতে মার ঠেকাচ্ছিল।
এ ব্যক্তিটি বন্ধুর বিপদ দেখে দৌড়ে এসে বন্ধুর দুহাত ধরে রাখলো।
ফলে বন্ধু একটি মারও ঠেকাতে পারলো না। বিপক্ষ লোকটি ইচ্ছামত মার দিয়ে যখন চলে গেল তখন সে হাত ছেড়ে দিল।
বন্ধু জিজ্ঞেস করলো, “কি বন্ধু, তুমি আমার বিপদের সময় হাত ধরে রাখলে কেন?”
বন্ধু জবাব দিল, “কেন তুমি শেখ সা’দীর এ কবিতাটি পড়নি?”
“সেই হলো প্রকৃত বন্ধু যে বিপদগ্রস্ত বন্ধুর হাত ধরে।”
ভাগ্য ভাল যে ফারসী ‘দাসত্ব’ শব্দের অর্থ ‘হাত’ ধরেছে, দাস্ত (পায়খানা) ধরে নিয়ে আসিনি।
সুতরাং যারা কোরআন পাকের বাংলা তরজমা পড়ে নিজের জ্ঞান অনুযায়ী আমল করতে চায় তারা এ মূর্খটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

দুঃখিত!