আমার জীবন। সেই একই ছুটে চলা।
সকালের নাস্তা পর্ব সেরে ব্যাগ কাঁধে বের হওয়া। ভাঙা সুরকি বিছানো রাস্তা বৃষ্টিতে কাঁদা হয়ে আছে। জঘন্য লাগে হেঁটে যেতে। মসজিদের পাশ দিয়ে যেতেই হাফেজ সাহেবের সুললিত কন্ঠের উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত ভেসে আসে। যাতে ভুলে না যান তার জন্য এই নিরন্তর চর্চাটা জরুরী।
কম্যুনিটি মসজিদকে পাশ কাটিয়ে প্রান্তিক গেইটের দিকে যাচ্ছি। পথে আমার সাথে আরো সেলাই দিদিমনি এবং সেলাই বন্ধুরা। খাবারের বাটিগুলো যেন এদের সার্বক্ষণিক বন্ধু। এদের কাউকে আমি চিনি না। চলার পথে একটু দেখা। একটু হাসি। তাতেই না বলা হাজার কথা যেন প্রকাশ পায়। একজন আর একজনকে পাশ কাটিয়ে যাই। কোন কোন সেলাই দিদিমনিদের এক ঝলক দেখায় মনের ভিতরে কালো সাপ জেগে উঠে। ক্ষণিকের জন্য হলেও এটা যে পাপ তা বুঝি। কিন্তু একে ফিরানোর মতো সাধক এখনো হতে পারি নাই।
কিছু সেলাই বন্ধুদের উপর মনে মনে প্রচণ্ড রাগ হই। ওরা চলার পথে এখানে সেখানে থুথু ফেলা রোগের বীজ উপহার দিয়ে যায়। পরক্ষণেই আমার কোঁচকানো ভ্রু সমান হয়ে যায় এক শিশুর স্কুলে যাবার সময়ে ওর দুরন্তপনা দেখে। আমিও ফিরে যাই আমার সেই শিশুবেলায়।
কসাইয়ের দোকানে দুটো গরু বাঁধা। কিছুক্ষণ পরেই হয়ত জবাই করা হবে। ওদের নির্লিপ্ত চাহনি আমার মনে কোনো ভাবের উদ্রেক করে না। মাছ বাজারে সেই চিরাচরিত কিচিরমিচির। সবাই দ্রুত কিনে ফিরতে চায়।
কোথায় ফিরবে?
ফিরেই বা কি লাভ?
সেই তো আবার বের হতেই হবে। তারপর আবার ফিরে আসা। এভাবেই যাওয়া-আসায় একদিন ‘পার্মানেন্ট চলে যাওয়া’।
হৃদয়ে একটু কি দুঃখবোধ হল?
ফুটপাথে ঝাঁকায় লাউশাক বিক্রি করছে এক বুড়ো। তার ঝাঁকা থেকে উঁকি দিচ্ছে সাদা লাউ ফুল। একটা ছবি তুলতে মন চাইলেও সময়ের বড় অভাব। পাশে এক লোক কচুর শাক নিয়ে বসেছে। প্রচুর আয়রণ আছে এই শাকে।
আখ বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। আর সবাই এই আখ কিনে খেতে খেতে চলেছে। চাবানো আখের খোসা ফেলে রাস্তা একাকার। মাছি আর পিপড়ার মহোৎসব!
শব্জিওয়ালা তাদের দোকানের ঝাঁপি অনেক আগেই খুলেছে। এখন চলছে পানি ছিটানোর প্রতিযোগিতা। টু ইন ওয়ান। ফ্রেশ থাকলো আবার ওজনেও একটু বাড়ল।
চা’র দোকানে অফিসগামী ও খুচরা রাজনীতির আলাপকারীদের টিভিকে ঘিরে জটলা। চা সিগ্রেটের সাথে সমানতালে তাদের মুখে চলছে রাজনীতিবিদদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার।
এভাবে চলছি প্রতিদিন। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এই নিরন্তর ছুটে চলা। এই চলা ই জীবন।
‘অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন
শুধু জীবনের কথা বলাই জীবন’ – তাই জীবনের কথা বলে যাই মনে মনে হেঁটে হেঁটে।
সেদিন কথা হচ্ছিল আমার দেখা একজন ভালো ফেবকের সাথে। ফেবক হল ফেসবুক লেখক এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ওনার লিখা আমার খুব ভালো লাগে। আমি খুব মন দিয়ে ওনার লেখা পড়ি। মাঝে মাঝে কমেন্ট করি। তবে লিখায় আমি এতোটা মুগ্ধ হই, যে কমেন্ট করার মত আসলে কিছু থাকেও না। একজন ফেবকের আসল গুণ হল, হাতে সময় খুব কম’ এমন পাঠকদেরকে তার লিখার ভিতরে টেনে নিয়ে আসা। কারণ পাঠক যদি জাস্ট চোখ বুলিয়ে গেল, লিখার আসল উদ্দেশ্যই তো পূরন হল না।
আরো একটু ভালোভাবে ব্যাপারটা বলতে পারি।
একজন লেখক লিখলেন-
“… একটা মাঠের পাশ দিয়ে গ্রামে যেতে হয়। বছরে একবার তো বাড়িতেই আসাই হয়। দু’পাশে ধানক্ষেত আর মাঝের মেঠো পথটি আমার খুব পরিচিত। হাঁটতে থাকি যতক্ষণে না বাড়িতে পৌঁছাই…”
এই লিখাটায় পাঠক ততোটা মজা পাবে না। একজন মানুষ ধান ক্ষেতকে দু’পাশে রেখে মাটির পথ ধরে তার গ্রামের বাড়ি ফিরছে- এতে নতুনত্ব কি আছে? ধুর বলে পাঠক অন্য স্ট্যাটাসে চোখ বুলাবে। করুণা করে হয়তো একটা লাইক দিয়ে যাবে। তবে লাইক দেয়াটা তেমন কিছু বড় ব্যাপার না।
এবার অন্য একজন ফেবক লিখলেন-
“… প্রতিবারই দু’পাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতের ভিতরের মেঠো পথটিতে ঢোকার সময় একটু থামি। পা দুটো কেন জানি থেমে যায়। আমার গ্রাম! আমার ভিতরের আমি এই মাটির গুণে আজকের আমিতে পরিণত হয়েছি! কেমন মায়ের ঘ্রাণ পাচ্ছি এখান থেকেই। যেখানটায় কিছু পাকা ধান বাতাসের ঝাপ্টায় মাটির সাথে মিশে আছে, তার অদূরেই তিনটি গরু। সাদা রঙ্গেরটা হলুদটার সাথে শিং দিয়ে শক্তি পরীক্ষা করছে। আর কালোটা এগুলো দেখে বিরক্ত হয়ে পাকা ধান খাওয়া শুরু করেছে।
দু’জন ধান কাটার কামলা। যাদের একজন মাথায় করে কাটা ধানের আটি নিয়ে বাড়ি ফিরছে। এ সময় কালো গরুটার ধান খাওয়া দেখে পাশের খালি মাথার জনকে কিছু বলতেই সে ‘হুউউশ’ করে চীৎকার দিতে কালো গরুটা ধান খাওয়া বাদ দিয়ে একটু দূরে সরে যায়। পিছনের সারি বাঁধা গাছপালার মাথার উপরে নীল আকাশ। সাদা তুলার মত মেঘের সাথে কিছু কালো মেঘ যেন গ্রামটাকে ভালোবেসে ছায়া দিয়ে রেখেছে। কেনই বা রাখবে না? বড্ড সহজ-সরল যে এই মাটির মানুষগুলি!
অদূরে একটা বাড়ি। একজন লোক লাঠির দু’পাশে বাঁধা ধানের আটি নিয়ে কিছুটা বাঁকা হয়ে আসছে। বিড়ি ফুঁকছে আর কাশ্ছে। কাশির দমকে দমকে ব্যথায় নীল হয়ে যাচ্ছে। তারপরও কষে বিড়িতে একটা টান মারছে।
কাঁধের ব্যগটিকে আরো একটু রিল্যাক্স করে নিলাম। মায়ের কাছে যাচ্ছি… ওখানে ছাড়া আদৌ কোনো রিল্যাক্স এ জীবনে হয় কি?”
এই লিখাটি কি পাঠককে টানবে না?
এগুলো ভাবতে ভাবতে প্রান্তিক গেইটের বট গাছটির নীচে চলে এলাম। মাথায় এই লিখাটি নিয়ে তখনো ডালপালা গজিয়ে যাচ্ছে। ধুত্তুরি বলে কয়েক যায়গায় ভাঙা সিমেন্টের বেদিটিতে আরো কয়েকজন ছেলেমেয়ের মাঝে বসে পড়লাম। কয়েকজন আমাকে দেখে কেন জানি বিরক্ত হল। তাদের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম। হয়ত ভেংচির মত লাগল। ওরা মুখ ফিরিয়ে নিলো। দ্বিতীয়বার আর আমার দিকে তাকালোই না। যেন আমি সেখানে নেই। আসলেও কি আমি কোথায়ও রয়েছি?
কারো অনুভূতিতে কিংবা জীবনে?
আজ কি ভাবনায় পেয়ে বসলো নাকি আমাকে? আবার ভাবনার গভীরে চলে গেলাম।
কেন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়?
ছোট ছোট টুকরো কিছু মুহুর্ত… মনের ভিতরে ইচ্ছার কিছু আলোকতরঙ্গের নেচে উঠা।এরপর বুদ্ধির সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা কিংবা উঠে আসা। এভাবে পৌনঃপুনিক ঘটে চলা।
কেন বেঁচে আছি?
বৃদ্ধ বাবা-মা’র জন্য? ওনারা তো নেই।
মেকুরানী ও মেকুর কন্যার জন্য? তারাও তো সুদূর কানাডায়।
বন্ধুদের জন্য? নাকি নিজের জন্য?
কিছু বিচ্ছিন্ন টুকরো টুকরো মুহুর্তগুলোর জন্য?
নাকি রক্তের ভিতরে ইলেকট্রনের নাচন অনুভব করার জন্য?
এই মেকুর নিজেই কনফিউজড!
আমি সব সময়েই বন্ধুদেরকে নিয়ে আনন্দে কাটাতে চেয়েছি। সেই আমার বুঝতে পারার বয়স থেকেই। অনেকের কিছু রাশি খুব ভালো থাকে। কারো কন্যা রাশির জন্য মেয়েরা তার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। কারো মীন রাশি মাছকে বড়শিতে টেনে নিয়ে আসে। এভাবে এক একজন এক এক রাশির গুণগ্রাহী হয়- অবশ্য যারা এটা বিশ্বাস করে।
আমার হল বন্ধু রাশি!
হ্যা, এটি একটি ‘মেকুরিয়ো রাশি’।
এজন্যই আমি বন্ধুদের দেখলে পাগল হই। তাঁরা হয় কিনা জানি না। তবে দু’পক্ষজ পাগল হলেও তো আবার ভীষণ সমস্যা। তাই বুঝি পাগলামির ভাগটা আমার ঘাড়েই থাকে কেন জানি।
দহিকাঙ্গশ মানূষই কেন জানি আমাকে জোকার মনে করে। একটা সময় ছিল আমার ইমেজ এমন হয়ে গেল, আমি একজন জোকার- সকলকে হাসানোই আমার কাজ। আমার ঘর-বাহির-এলাকা-চাকুরি ক্ষেত্র… বিয়ের পরে আত্মীয়দের নিকট… সব যায়গায়ই আমি একজন জোকার- না হয় খুব মজার একজন মানুষ। অফিসে ‘সোজা’ (অন্য অর্থে ল্যাবা) বস…কিংবা বলদ সহকর্মী। আমি এইসব যায়গায় সিরিয়াস হলেও সবাই হেসেছে। মজা পেয়েছে। এ যেন জনি লিভার খুব সিরিয়াস চরিত্রে (রাশভারী প্রফেসর কিংবা ফিল্মটির মেইন রোলে) অভিনয় করে যাচ্ছে, আর দর্শকেরা হেসেই খুন হচ্ছে। যেখানে কান্না বা দুঃখ প্রকাশ পাওয়া উচিত, শুধুমাত্র জনির ইমেজের কারণে পুরো চরিত্রটি মাঠে মারা যায়।
কিন্তু আমি সবসময়ে একজন ভালো বন্ধু হতে চেয়েছি। বরগুনা-খুলনা-পিরোজপুর-চট্টগ্রাম আর এখনকার এই সাভার- এসব যায়গায় আমার সার্কেল অনেক বড়ই। কিন্তু এদের কাছে একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি মনে হয় আজও।
একটা হিন্দী ফিল্ম দেখেছিলাম। রাজকাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’। দুই পর্বে পারায় পাঁচ ঘন্টার ফিল্ম ছিল । আমি তখন কেবল এস.এস.সি পাস করেছি। তখন দেখেছিলাম। রাজকাপুর এঁকে এঁকে অনেককে ভালোবাসে। ওর স্কুলের মহিলা টীচার থেকে শুরু করে আরো আরো কয়েকজন মেয়ে ওর জিবনে আসে। তবে রাজকাপুর একজন জোকার ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ওর ভালোবাসা মেয়েই বুঝতে পারে না। … অনেক বছর পরে… সেই জোকার এখন অনেক বিখ্যাত জোকার। ফেলে আসা জীবনের প্রেমিকাদেরকে সে তার লাস্ট স্টেজ শোতে প্লেন টিকেট দিয়ে ইনভাইটেশন কার্ড পাঠায়। দ্য ফাইনাল কাউন্টডাউন… একটা বেলুনের হার্ট নিয়ে স্টেজে জোকারের আগমন। সকল নায়িকারা তাদের হাজবেন্ডদেরকে নিয়ে সামনের সারিতে বসে আছে। গান শুরু হয়…”জিনা এহা, ম্যারনা এহা, ইসকে সেবা জানা কাহা”- এক কঠিন সুর ও নস্টালজিক গান। এই গানের ভিতরেই এক জোকারের সারা জিবনের কষ্টকে তুলে ধরা হয়। আমার মনে হয়েছে পুরো সিনেমাটিকে না বানিয়ে শুধু যদি এই গানটির চিত্রায়নও করা হতো, তবুও দর্শকেরা সব বুঝতে পারত… আবেদন এবং আবহ একই থাকত।
আমি আমার প্রথম তারুণ্যের বয়সে এই সিনেমাটিকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছিলাম… রাজকাপুরের কষ্টে নিজে বিদীর্ণ হতাম। কত কেঁদেছি নিজের অজান্তে-সজ্ঞানে। এর পরে কিভাবে যেন নিজেকে জোকারের যায়গায় দেখতে পেলাম! আমিও তো একজন মানুষ!
একজন জোকার মানুষ কি?
একজন জোকার…
আমার চলে যাওয়া লাল বউকে মনে পড়ে। লাল বউ এখনো হয়তো লাল আছে। কিন্তু মাঝে বয়ে গেছে অনেক সময়। জীবনের চাপে পড়ে ওর এই মেকুরকে সে যদিও ছড়ে গেছে, তবে এখন কিভাবে সে আমাকে দেখে কে জানে? দূর পরবাসে বসে আমার এই নির্বাসনকালে ওর হৃদয়ে এখনো কি চকিতে মোবাইলে ফোন করে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে-‘ কেমন আছো?’ এটুকুও যদি ওর জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হত!!তবে আমার হৃদয়ে আজও এই সংসার জীবনের কত ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও ভালোলাগার ফল্গুধারা বইছে। কিন্তু ঐটুকুই। আর কেন জানি আগাতে পারি না। ঘর-সংসার চাকুরী কি মানুষকে পাথরের প্রাণে পরিণত করে?
আমি ঠিক বুঝি না।
জোকার বলেই হয়তো বুঝি না।
আর আমার লাল বউ জোকার হারানোর কষ্টে মনে হয় বোঝে না।
আমার সামনে এক বিশাল বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। কিন্তু কাউকে শেয়ার করবো সে পথও নেই। এটি নিজেকে কুরে কুরে খাবে অহর্নিশি… তারপরও একজন জোকার হয়ে এই রঙ্গমঞ্চে আমি অভিনয় করে যাবো। বেলুনের হৃদয় নিয়ে… মুখে মুখোশের রং মাখা সং… একজন জোকার।
একজন পাপা!
একজন ‘কেমন আছো’ জানতে চাওয়ার সোজা মানুষ!
একজন ল্যাবা বন্ধু!
একজন বড় ভাইয়া!
কিন্তু প্রয়াত আব্বা-আম্মা ছাড়া আর কারো কাছে একজন মানুষ না!!
আমার পাশের ছেলেদের একজন ওর সহপাঠিনীকে গান শোনাচ্ছে-
‘এই একেলা জীবন ভালো লাগে না আমার
বিষন্ন দিনের শেষে… বিষন্ন রাতের শেষে…’
গানটি শুনে নিজের মনের অবস্থা অনুভব করে চমকে উঠি!
আমার কাছে কেন জীবনটা এমন একেলা মনে হয়? এইত একটু আগে হলের ছোট ভাইদের কাছ থেকে ফুর্তি করে এলাম। মন তবু কেন খারাপ হয়ে যাছে? কেন দিন-রাত বিষণ্ণ মনে হবে?
একটা দীর্ঘশ্বাস সজোরে নিক্ষেপ করে বটগাছের পাতায় পাতায় বিষন্নতাকে মাখিয়ে দেবার চেষ্টা করলাম। উঠে দাঁড়ালাম। কোথায় যাবো জানি না।
ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে ধরে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে হাঁটতে থাকি। পথ আমাকে কোথায়ও না কোথাও নিয়ে যাবেই।
(ক্রমশঃ)
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।