মুনশি আব্দুল হামিদ কোরাইশি ছিলেন ভাওলাপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তি। নিয়মত নামাজ আদায় করতেন, রোযা পালন করতেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে ভাওয়ালপুর রাজ্যের অর্থ বিভাগের হেড ক্লার্ক ছিলেন। একটি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য একটি প্রতিনিধি দলের সাথে তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, কোরায়শী সাহেব, তুমি সহকারী কর্মচারী হয়েও রাজনীতিতে অংশ নিয়েছ, আমি তোমাকে বরখাস্ত করবো।
কোরায়শী সাহেব বামদিকে থুতু ফেলে বললেন, এই নিন আপনার চাকুরী। এবার আমি স্বাধীন, সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি আপনার সাথে কথা বলছি। তারপর তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু সে দুঃসময়ে ও তিনি মর্দে মোমেনের মত কাজ করতেন। তিনি শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতে শুরু করেন। কয়েক বছর আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। লাশ দাফনের দেড় বছর পর তার কবরের ইট স্বরে গিয়ে ভিতরে লাশ দেখা যায়। খবর পেয়ে তার পুত্র এবং ভাই তার কবরের কাছে যান। দেখা গেল যে, তার কাফন অবিকৃত রয়েছে, চেহারাও সম্পূর্ণ সজীব। মনে হচ্ছিল, তাঁকে কিছুক্ষণ আগে দাফন করা হয়েছে। কোরাইশী সাহেবের ভাই কোরাইশী সাহেবের স্ত্রীকেও লাশ দেখালেন। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি হাসছেন।
সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।