মৃত্যুর পর চেহারা কালো ও ভয়ংকার হয়ে গেল
কয়েকজন যুবক স্থানে কয়াজ করত । সে স্থানে তারা কয়েক বছর অতিবাহিত করল । তারা তাদের আয় জমা করে রাখত । তারা যখনই শুনত কোন স্থানে আরাম আয়েশ, আনন্দ ফুর্তি করার ব্যবস্থা আছে, সেখানেই চলে যেত । প্রতিদিনের মত তারা বসে গল্প গুজব করছিল । তারা এমন একটি শহর সম্পর্কে খবর পেল, সেখানে তারা কোন দিন যায়নি । তারা পাক্কা নিয়ত করলো পয়সা জময়ে সে শহরে যাবে আনন্দ ফুর্তি করতে । এক সময় তারা হাওয়াই জাহাজে চড়ে নিজেদের গন্তব্যে রওনা হয়ে গেল । সেখানে তারা এক সপ্তাহ অবস্থান করল । এর মধ্য তারা জিনা এবং মদের নেশায় মাতাল ছিল এবং এমন সব কাজ করল, যা আল্লাহ পাকের আযাব এর জন্য যথেষ্ট ছিল ।
একদিন তারা মদ আর নারী নিয়ে ব্যস্ত ছিল। রাতের কিছু সময় মাত্র অতিবাহিত হয়েছে। তারা আল্লাহর নাফারমানিতে মত্ত ছিল। এমন সময় এদের মধ্যে থেকে একজন বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেল। বাকি তিন জন বন্ধু তার পাশে এগিয়ে গেল। তারা বুঝতে পারল, সাথীর অবস্থা নাজুক পর্যায়ে। একজন বললো, ভাই কালেমা পড়। সে উত্তরে বলল, ভাগো এখান থেকে বরং আমাকে মদের আরেক পেয়ালা পান করিয়ে দাও। আর বলল, হে অমুক নর্তকী আমার কাছে এসো। এ অবস্থায় তার মৃত্যু এসে গেল। আল্লাহ আমাদের দয়া করুন, তাঁর আযাব থেকে পানাহ চাই।
এরপর তিন বন্ধু যখন তাদের বন্ধুর করূণ অবস্থা দেখল, তখন তারা কাঁদতে লাগলো আযাবের ভয়ে। তারা তাওবা করে সে পাপের আড্ডা থেকে বেরিয়ে এল। এয়ারপোর্টে আসার পর কফিন খুলে তারা সাথীর চেহারা দেখল। তার চেহারা এতই কালো আর ভয়ংকর হয়ে গেছে যে, তারা ভয় গেয়ে গেল।
ভাইসব! ভাল আমল করলে আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন চেহারা আলোকিত করে দেবেন এবং পরকালের সফলতার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আর সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় করা অবশ্যই প্রয়োজন। আসুন, আমরাও সে লোকদের মত হয়ে যাই, আল্লাহপাক যাঁদের সম্পর্কে পাক কোর’আনে বলেছেন- এবং যাদের চেহারা আলোকিত হবে, তারা আল্লাহর রহমতের ছায়ায় সদা সর্বদা থাকবে। (সূরাঃআল ইমরান, আয়াতঃ ১০৭)
হযরত দ্বীনপুরি (র.) বলেন, আমি কবর থেকে আগুন বের হতে দেখেছি, এর লেলিহান জিহ্বা দেখেছি, আমি কবরের সাপ দেখেছি। কবর থেকে ধোঁয়াও বের হতে দেখেছি।
কবরের আযাব সত্যি, সত্যি। রাসূল (সাঃ) এক আঙ্গুলের উপর অপর আঙ্গুল রেখে বলেছেন, যেভাবে আমি রাসূল (সাঃ) আঙ্গুলের উপর আঙ্গুল রেখেছি। এরকমভাবেই কবরের আযাব একটার পর একটা গুনাহগারদের উপর আছড়ে পড়বে।
হে ভাইয়েরা, ভাবার বিষয়! আমরাও এ মাটির নিচে কবরস্থ হব। এ সম্পদ যার জন্য আমরা হারাম পন্থায় অবলম্বন করছি, এর জন্য কবরে আগুন ভরপুর থাকবে। মৃত্যুর পর সম্পদ কোন কাজেই আসে না। তা স্বজনরা ভাগ করে নিবে। সম্পদ সে জিনিস যা মৃত্যুর পূর্বে আমরা পাঠাই অর্থাৎ নেক আমল।