মূসা (আ) ও ফেরাউনের আলোচনা
তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর উপাসনা করা হত। কিছু দেবতা বিশেষ এলাকা ও বিশেষ সম্প্রদায় এবং কিছু সর্বসাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। তাঁদের উপাস্য দেবতাসমূহের ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ বলে বিশ্বাস করা হত। যেমন পরকালীন ও নভোমণ্ডল সম্পর্কিত দেবতা, দেহ স্রষ্টা প্রাণদানকারী, কে কি পরিমাণ আয়ু লাভ করতে তা নির্ধারণকারী, দুঃখ যাতনা দূরকারী জীবিকাদাতা প্রভৃতি বিষয়ের জন্য পৃথক পৃথক দেবতা নির্ধারিত রয়েছে বলে তাঁরা বিশ্বাস করত এবং সেগুলোর উপাসনা করা হত। সূর্য দেবতা ছিল উপাস্য দেবতাসমূহের শীর্ষে।
মিসরীয়রা বিশ্বাস করত যে, মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির লালন-পালনের দায়িত্ব সূর্য দেবতার।
আর মিসরের রাজসিংহাসনের অধিকারী ফেরাউন সেই সূর্য দেবতারই প্রতিচ্ছবি। তাই সমগ্র জগতে প্রতিপালকের অধিকারও মিসর অধিপতি করায়ত্তে। তাই মিসরের সিংহাসনে যে অধিষ্ঠিত হত তার উপাধী হত ফারা। আর পরবর্তীতে এ উপাধিই ফেরাউনের রুপ ধারণ করে এবং রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিতদের উপাধিরুপে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ফেরাউনের সম্মুখে হাযির হয়ে হযরত মূসা (আ) নিজেকে বিশ্ব প্রভুর প্রেরিত রাসূল বলে ঘোষনা করলেন। এটি ছিল তার প্রথম ও সর্বপ্রধান দাবী, কিন্তু ধূর্ত ফেরাউন এ সম্পর্কিত আলোচনায় না ঘেষে মূসা (আ) এর ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে এমন সব অভিযোগ তুলতে শুরু করে, যা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষের দুর্বল করে ফেলে। আসল কথা তো এটাই যে, কারো বিপক্ষে কোন অভিযোগ হলে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার ব্যক্তিত্ব খাট করে ফেলে। আর যদি কার ব্যক্তিত্ব খাট হয়ে পড়ে তখন তার কোন কথা গ্রহণ যোগ্য হত না।
আর তাই ধূর্ত ফেরাউন এ পন্থাই বেছে নেয়। এর মাধ্যমে ফেরাউনের উদ্দেশ্য ছিল, যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপনের নৈতিকভাবে মূসা (আঃ) কে দূর্বল করে ফেলা। মূসা (আঃ) ফেরাউনের এসব কুটতর্ক এবং অমূলক অভিযোগজনিত সমস্যা প্রতিবন্ধকতার সমাধান প্রতিক্রিয়া পূর্বেই আল্লাহর কাছে থেকে শিখে নিয়েছিলেন। তাই সে এসব অমূলক অভিযোগ উত্থাপিত করে তার উপর কোন প্রকার প্রভাবে বিস্তার করতে পারেনি বরং মূসা (আঃ) ফেরাউন উত্থাপিত সব কূট প্রশ্ন ও অমূলক অভিযোগের জবাব দিয়ে তাঁকে লাজবাব করে ফেলেন। ফেরাউন প্রতিটি কথার জবাবে তিনি রাব্বুল আলামীন, নিখিল জাহানের পালনকর্তা, রব্বুকুম- তোমাদের পালনকর্তা-আল্লাহ পাকের এসব গুণবৈশিষ্ট্যপূর্ণ পরিচিত উল্লেখ করছিলেন। ফেরাউন দেখল, রব পালনকর্তা বলে সে ব্যতীত অন্য কোন সত্তাকে উদ্দেশ্য করা হচ্ছে আর এ মাধ্যমে মূসা (আঃ) এর উদ্দেশ্য পরিষদের কাছে পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। সে একই সাথে মূসা (আঃ) ব্ক্তব্য যে সে পুনঃ পুনঃ এড়িয়ে যাচ্ছে তাও শ্রোতাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তাই সে নিত্যান্ত বাধ্য হয়েই মূসা (আঃ) এর কথিত রাব্বুল আলামীন সম্পর্কিত আলোচনায় ফিরে আসে। এবার সে বলল, হে মূসা! আমি ব্যতীত কি এমন কোন সত্তা আছে যাকে তুমি বিশ্ব রব বলে আখ্যায়িত করছ। এসব তুমি কি বলছ! জবাবে মূসা (আঃ) কোরআনের ভাষায় বলেন-
অর্থঃ তিনি বলেন, তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের এবং এতদুভয়ের মধ্যকার সব কিছুরই রব যদি তোমরা মু’মিন হতে চাও।
উল্লিখিত ব্ক্তব্য পেশের মধ্য দিয়ে মূসা (আঃ) ফেরাউনকে এ কথাই জানিয়ে দিলেন যে, আমি যে সত্তাকে বিশ্ব রব হিসাবে দাবি করছি, তোমার মাঝে যদি নূন্যতম বিবেক বুদ্ধিও অবশিষ্ট থাকত তাহলে তুমি নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারতে। আচ্ছা বল ত দেখি! কেমন করে তুমি নিজেকে রব পালনকর্তা বলে দাবী করছ। এ দাবীর সপক্ষে তোমার কাছে কি কি প্রামাণ রয়েছে। আসমান যমীনের সব কিছুর রব কি তুমি? সুতরাং কিসের ভিত্তিতে তুমি এমন অমূলক দাবী করছ। ফেরাউন দেখল সর্বনাশ কাণ্ড ঘটতে
চলছে। তার এত দিনের সব জারিজুরি মিথ্যা দাবীর স্বরূপ পরিষদের কাছে উদঘাটিত হতে চলেছে। তাই সে সভাষদকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাঁদের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গ করে বলল, সে কি বলেছে তোমরা কি শুনতে পাচ্ছ না? মূলত তার ব্যঙ্গোক্তির উদ্দেশ্য ছিল উপস্থিত স্রোতাদের চিন্তাস্রোত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা এবং মূসা (আঃ) এর উত্থাপিত যুক্তি প্রামাণ ভিত্তীহীন, অবাস্তব, অমূলক সুতরাং এসব সম্পর্ক অগ্রহণযোগ্য এমন একটা ভ্রান্ত ধারণা দেয়া, কিন্তু মূসা (আঃ) ধূর্ত ফেরাউন এসব কুটচালে বমবার পাত্র নন, বরং তোমার পূর্বে যারা গত হয়ে গেছে তাদেরও রব।
মূসা (আঃ) এর এ অকাট্য যুক্তি প্রমাণ পস্থানে ফেরাউন আরও বেশি হতবাক হয়র পড়ে। মূসা (আঃ) কে নৈতিকভাবে দুর্বল করা জন্য সে কুট চাল চেলেছিল। তা অবশেষে বুমেরাং হচ্ছে। পুনঃ পুনঃ কৌশল পরিবর্তন করেও পার পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি বেশিক্ষণ চলতে থাকে তবে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা। উপস্থিত সর্বসাধরণের মানুষের মাঝে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া অবশ্যম্ভাবী, যা সামাল দেয়া তার পক্ষে কঠিন হবে। তাই আপাততঃ এখানেই এ আলোচনা পরিসমাপ্তি ঘটানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই সে মূসা (আঃ) কে উপস্থিত জনতার দৃষ্টিতে হেয় করার উদ্দেশ্যে বলল-
অর্থঃ নিঃসন্দেহে তোমাদের রাসূল যে নিজকে রাসূল বলছে রাসূলরুপে তোমাদের প্রতি পাঠান হয়েছে, সেতো পাগল। মূসা (আঃ) দেখলেন ফেরাউন তার যুক্তি প্রমাণের কোন জবাব দিতে পারছে না। বরং সে কোন রকমে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামলিয়ে জনমত নিজের অনুকূলে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস চালাচ্ছে। তাই অযৌক্তিকভাবে পাগল বলে পার পাবার ব্যর্থ চেষ্টা করলে মূসা (আঃ) বলেন-
অর্থঃ মূসা বলেন, তিনি পূর্ব-পশ্চিম ও তদস্থ সব কিছুর রব, যদি তোমরা জ্ঞান রাখ।
নিজের মিথ্যা দাবী সম্পর্কে ফেরাউন ব্যর্থ প্রয়াসের প্রচেষ্টা দৃষ্টে মূসা (আঃ) বুঝতে পারলেন যে, এ পরিস্থিতিতে তার উত্থাপিত রবের সত্তা সম্পর্কিত প্রমাণ আরও জোরাল সুষ্পষ্ট হওয়া উচিত, তাই তিনি বলেন, দেখ! যিনি আমার রব,যাকে আমি সমগ্র সৃষ্টির স্রষ্টা, পালনকর্তা বলে দাবী করছি। তিনি শুধু তুমি ফেরাউন, তোমার অনুগত অনুসারী বা তোমার পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরই প্রতিপালক নন, বরং তিনি জগতে পূর্ব হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এবং তদস্থ সব কিছুর স্রষ্টা, পালনকর্তা। যদি তোমাদের সামান্যতম জ্ঞান-বুদ্ধি, বিবেক বিবেচনা থাকত, তবে তোমরা তা বুঝতে পারতে। এবার তিনি তার যুক্তি তর্ক ও প্রমাণাদি উপস্থাপনের দীর্ঘ ধারার পরিসমাপ্তি ঘটানোর লক্ষ্য বলেন-
অর্থঃ তোমরা তোমার কাছে তোমার রবের পক্ষ হতে নিদর্শন হতে
নিদর্শন নিয়ে এসেছি,
নিরাপত্তা এমন ব্যক্তিগত জন্য সৎপথ চলে। আমাদের প্রতি ওহী এসেছে যে, শাস্তি তার উপরই হবে যে মিথ্যারোপ করে এবং সত্য হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
নিজের নবুয়ত; রিসালাতের অকাট্য প্রামাণসহ আগমনের যুক্তি উপস্থাপন করে মূসা (আঃ) তার সূদীর্ঘ আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটাতে যাচ্ছিলেন। তাই তিনি সমগ্র জগতের পালনকর্তা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার কোন সৃষ্টিকে রবের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা বা কেউ সে মর্যাদায় সমাসীন হলে সে সম্পর্কে আল্লাহর সিদ্ধান্ত কি হবে তার সুষ্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন। তিনি বলেন হে ফেরাউন! তুমি যে পথ অবলম্বন করেছ তা রীতিমত ভ্রষ্টতা। মানুষের স্রষ্টা, রব হলেন একমাত্র আল্লাহ! সুতরাং কোন মানুষ নিজেকে বা অন্য কাউকে সে মর্যাদায় সমাসীন করা সুষ্পষ্ট শিরক। এ পরিণতিতে নেমে আসবে তোমার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যন্ত্রনাদায়ক আযাব। সে আযাব থেকে তুমি কখনও রক্ষা পাবে না। ফেরাউন মূসা (আঃ) কে পাগল বলে আখ্যায়িত করা সত্ত্বেও তিনি একের পর এক তার দাবীর সপক্ষে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করে চলেছেন। এখন তিনি তার সূচিত দীর্ঘ আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটানোর জন্য ফেরাউনকে সতর্ক করে তার বিরুদ্ধে আল্লাহ পাকের কি সিদ্ধান্ত নিবেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত জানানোর মাধ্যমে প্রকারান্তরে দীর্ঘ আলোচনারই পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন, কিন্তু ফেরাউন তার মিথ্যা, অমূলক দাবীর অনুকূলে সামান্যতম কোন যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগও হাতছাড়া করতে রাজি নয়। সে কথার ফাঁকে মূসা (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করে বসল- হে মূসা! তোমাদের রব কে? মূসা (আঃ) জবাবে বলেন-
অর্থঃ মুসা বলেন- তিনিই আমাদের রব-যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যথার্থ রুপ দিয়েছেন তারপর পথ প্রদর্শন করেছেন।
মূসা (আঃ) এর এ জবাব পেয়ে ফেরাউন আরও তীব্রকর অবস্থায় পতিত হয়। কেননা, তোমাদের রব কে? ফেরাউন জিজ্ঞাসার জবাবে মূসা (আঃ) বলেন, তিনিই আমাদের প্রতিপালক যিনি সকল জিনিসের সৃষ্টিকর্তা আকৃতিদাতা ও পথপ্রদর্শক। অথচ ফেরাউন যে সামান্য একটি মাছিরও সৃষ্টিকর্তা নয় বা সে যোগ্যতাও রাখে না। এটা কে না জানে। সুতরাং মূসা (আঃ) জবাবে তার কোন উপকার হওয়ার সম্ভবনা তো নেই। বরং রয়েছে সর্বনাশ। এবার সে মূসা (আঃ) কে উপস্থিত জনসাধারণের সম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য প্রশ্ন করে বসল। বল, তবে আগেকার লোকদের কি অবস্থা হয়েছে? এ প্রশ্নের উদ্দেশ্য ছিল, যেহেতু আগেকার প্রায় সব সম্প্রদায়ের লোকেরাই দেব-দেবীর মূর্তির উপাসনা করত। তাঁরা বর্তমানে জীবিতদের মৃতপুরুষ। আর মূসা (আঃ) মূর্তি পূজার কারণে তাঁদের সকলকে পথভ্রষ্ট ও জাহান্নামী বললে, তার বলার সুযোগ হবে-তাহলে কি তাঁরা সবাই নির্বোধ প্রথভ্রষ্ট! অপর দিকে উপস্থিত সর্বসাধারণ জানবে, মূসা (আঃ) তাঁদের পিতৃপুরুষকে পথভ্রষ্ট জাহান্নামী বলে নিন্দাবাদ করেছেন। ফলে তাঁরা মূসা (আঃ) এর উত্থাপিত সব যুক্তি প্রমাণের প্রতি আস্থা হারাবে তার প্রতি ভীতশ্রদ্ধা হবে। মূসা (আঃ) ও ফেরাউনের কূটচাল অনুধাবন করে, ফেলেন, তাঁদের পরিমাণ সম্পর্কে নিজে না বলে আল্লাহর প্রতি সপর্দ করে বলেন, তাঁদের সম্পর্কিত জ্ঞান আমার রবের কাছে লিখিত রয়েছে। তাঁদের পরিণতি সম্পর্কিত জ্ঞান আমার কারো নেই। তা একান্তভাবেই আমার নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়। এরপর তার দাবীকে আরও সুষ্পষ্টতা প্রদানের উদ্দেশ্যে বলেন-
অর্থঃ তিনি এমন যিনি যমীনকে তোমাদের জন্য বিছানাস্বরূপ বানিয়েছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য তৈরি করেছেন রাস্তাসমূহ আর আসমান হতে পানি বর্ষণ করেছেন; অতঃপর আমি তা দ্বারা বিবিধ প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। তোমরা নিজেরা খাও এবং পশুপালন কর; এসবের মাঝে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনসমূহ। এ মাটিতে হতেই আমি তোমাদের বানিয়েছি এবং এ মাটিতেই আমি তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করাব এবং তা হতেই পুনঃ তোমাদেরকে বের করা হবে।
মূসা (আঃ) তার যুক্তির প্রমাণ উপস্থাপনের শেষ পর্যায় বলে দিলেন, হে ফেরাউন! আল্লাহই এ যমীন এবং যমীনের উপরস্থ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। আকাশ থেকে বারি বর্ষিয়ে এ যমীনকে শস্য শ্যামল করেছেন, ফল ফুল আর ঘন বৃক্ষের দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। এ মাটি হতেই আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, মৃত্যুর পর মাটিতে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে, আবার সেখান থেকেই আল্লাহ আবার তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করে উঠাবেন। সুতরাং অহংকার দেখিয়ে কারোই কোন গত্যন্তর নেই। সুতরাং সবারই সেই মহাশক্তির অধিকারী সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনই তার যন্ত্রনাদায়ক আযাব থেকে নাজাতের একমাত্র পথ।
উপরোক্ত অকাট্য যুক্তির অকট্যতা ও শক্তিমত্তা দেখে বিষ্ময়াভিভূত হয়। সুতরাং যতই সময় যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি প্রতিকুল হচ্ছে-তাই ফেরাউনও আলোচনায় আর আগ্রহ না বাড়িয়ে আজকের মত আলোচনার ইতি টানে।