মুসলিম পরিচয় প্রদানকারী কয়েকজন দুবৃত্ত সম্পর্কে আগাম সতর্কবাণী
হযরত আবু ছাইদ খদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মুখে উপস্থিত ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) গণীমতের মাল বন্টন করতে ছিলেন। এমন সময় হারকুস ইবনে জোহাইর নামে বনু তামীম গোত্রের এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি ইনসাফ করুন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তোমার বিনাশ হোক, আমিও ইনসাফ না করলে দুনিয়াতে কে ইনসাফ করবে? আর সেক্ষেত্রে তোমার চেয়ে বড় বঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্ত আর কে হবে? ঘটনাস্থলে হযরত ওমর (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরজ করলেন হে আল্লাহর রাসূল! যদি অনুমতি দেন, তবে বে-আদবের গর্দান দেহচ্যুত করে দেই। হযরত ওমর (রাঃ) কে বারণ করে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে, আগামীতে এ বে আদবের মত আরো কিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটবে। তাঁরা নামায রোযার এতটা পাবন্দ হবে যে, ইবাদতের ক্ষেত্রে আদের সম্মুখে তোমরা নিজেদেরকে নিতান্ত খাটো মনে করবে।
তাঁরা কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের করবে বটে, কিন্তু তাদের গলদেশে কিছুমাত্র ক্রিয়া করবে না। শিকারের দেহ বির্দীন করে তীর বের হয়ে যাবে যে, তাদের মধ্যে দ্বীনের বিন্দুমাত্র আছর খুজে পাওয়া যাবে না। এ হতভাগাদের দলের আলামত হল, তাদের দলের মধ্যে কাল বর্ণের এমন এক ব্যক্তি থাকবে, যার একটি বাহু সংকোচিত হয়ে মেয়েদের স্তনের মত ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে।
এ দলটি পৃথিবীর শ্রেষ্ট দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।
উক্ত ভবিষ্যদ্বাণীটির সত্যতা সম্পর্কে হাদীসে বর্ণনাকারী হজরত আবূ ছাইদ খুদরী (রাঃ) শপথ করে বলেন, এ বর্ণনার দ্বারা খারেজী সম্প্রদায়কেই উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যারা হযরত আলী (রাঃ) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। বর্ণনাকারী আরো বলেন, হযরত আলী (রাঃ) এর সাথে খারেজীদের সে যুদ্ধে আমিও শরীক ছিলাম। ভবিষ্যদ্বাণীতে বর্ণিত সেই কৃষ্ণবর্ণের লোকটিকে খারেজীদের দলের ভেতর খুজে বের করা হল। বর্ণনার সাথে তাঁর দেহের হুবহু মিল ছিল। তাঁর নরম তুলতুলে বাহুটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। লোকেরা পাস্তান ওয়ালা” বলত। এ ব্যক্তিটি খারেজীদের দলপতি ছিল (বুখারী ও মুসলিম)