মুরতাদ প্রশ্নে আবু বকরের দৃঢ়তা’—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ভণ্ড মহিলা নবী সাজাহর মিত্র ও সাহায্যকারী মালিক ইবনে নুয়াইরা মুসলিম সেনাধ্যক্ষ খলিফাদের হাতে যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দী হলেন। মালিক ইবনে নুয়াইরা যাকাত দেওয়া বন্ধ করেছিল। অনেকের মতে, মাগরিব ও এশার নামাজ পড়াও বন্ধ করে দিয়েছিল সে। সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে হযরত খালিদ মালিককে সাহাবী হযরত যিরার ইবনে আওয়ার (রাঃ) এর দায়িত্বে সোপর্দ করেছিলেন। পরে সে নিহত হয়।

এই খবর মদিনায় পৌঁছালে হযরত উমার (রাঃ) হযরত যিরা (রাঃ) ও হযরত খালিদ (রাঃ) এর বিরুদ্ধে মালিক হত্যার অভিযোগ আনলেন। হযরত উমার (রাঃ) পরিস্থিতিগত কারণে যাকাত অস্বীকারকারীদেরকেও সাময়িকভাবে মুসলিম বলে মনে করার পক্ষপাতি ছিলেন। উমার ফারুক (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে অভিযোগ করে বলেছিলেন, “খালিদ মালিককে হত্যা করে কিতাবুল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ করেছে।”

কিন্তু হযরত আবু বকর তাঁর সাথে একমত হলেন না। মুরতাদদের জন্য খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বিন্দুমাত্র দরদ ছিল না। মুরতাদের প্রতি হযরত উমার (রাঃ) এর শৈথিল্য প্রস্তাবের উত্তরে খলিফা আবু বকর (রাঃ) বলেছিলেন, “আমি নামাজ, যাকাত প্রভৃতি কোনো ফরজ সম্পর্কে সামান্য শৈথিল্য প্রদর্শন করতে পারি না। আল্লাহর ফরজ হিসাবে নামাজ ও যাকাতের মধ্যে কোনো প্রভেদ নেই। আজ যদি যাকাত সম্পর্কে শৈথিল্য দেখাই, তাহলে কাল নামাজ ও রোজা সম্পর্কেও কিছুটা ঢিল দিতে হবে।

আল্লাহর শপথ করে বলছি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে যারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিত, আমি সেই মেষ শাবক পর্যন্ত লোকের ভয়ের খাতিরে বাদ দিতে পারব না। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর হুকুমের সকল অবাধ্য লোককে অবনত করতে আমি একা হলেও যুদ্ধ করব।”

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!