মুরগির ডিম

পটপট পটাস পটপট পটাস! মুরগি পড়ল মহা বিপদে। ডিমটা ফাটছে না কেন? মুরগির প্রথম ডিম এটা। সে ডিমটা নিয়ে গেল বড় বোনের কাছে। বড় বোন অনেক ডিম পেড়েছে। বাচ্চাও হয়েছে। তাই বড় বোন নিশ্চয়ই বলতে পারবে কী করে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়।
মুরগি বড় বোনের কাছে গিয়ে বলল, ‘ও বড় বোন, বলো দেখি, এই ডিমটা ফাটিয়ে আমি কীভাবে আমার বাচ্চাটাকে বের করব?’ বোন বলল, ‘যা যা! তোর ডিম কখনোই ফাটবে না। বাচ্চাও বের হবে না।’ মুরগির তখন বড় বোনের ওপর খুব রাগ হলো। সে চলে গেল সোজা সাপের কাছে।

বলল, ‘সাপ ভাই, একটু কথা বলব?’ সাপ বলল, ‘কী হয়েছে? খারাপ কিছু নয়তো?’
মুরগি বলল, ‘তেমন কিছু না।

বলছিলাম তুমি কি আমার বড় বোনকে খাবে?’
সাপ বলল, ‘না। আজ অনেক মুরগি খেয়েছি। আর খাব না। খেতে খেতে পেট ভরে গেছে।’
মুরগি তখন গেল আগুনের কাছে।

বলল, ‘আগুন ভাইয়া। একটা কথা বলি। তুমি কি একটু সাপকে পুড়িয়ে মারবে?’
আগুন বলল, ‘না বাবা।

আজ অনেক জিনিস পুড়িয়েছি। আর পোড়াব না।’
আগুনের পর মুরগি গেল সাগরের কাছে। বলল, ‘সাগর ভাই। তুমি কি একটু আগুনকে নেভাবে?’
সাগর বলল, ‘পারব না।’
অতঃপর মুরগি গেল হাতির কাছে। বলল, ‘হাতি ভাই, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?

তুমি সাগরের সব পানি খেয়ে ফেলো।’
হাতি বলল, ‘পারব না।’
শুনে মুরগি গেল বাঘের কাছে।

বলল, ‘বাঘ মামা, তুমি কি হাতিকে খাবে?’
বাঘ রাজি হলো। ব্যস, পৃথিবীর সব বাঘ মিলে চলল হাতিকে খেতে।
তখন ভয় পেয়ে হাতি বলল, ‘খাব খাব।

আমি সাগরের সব পানি খাব।’
এই খবর পেয়ে সাগর গেল ঘাবড়ে। বলল, ‘আমি এক্ষুনি আগুনকে নিভিয়ে দিচ্ছি।’
শুনে আগুন বলল, ‘আমাকে নিভিয়ো না।

আমি সাপকে পুড়িয়ে দিচ্ছি।’
সাপ বলল, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। মুরগির বড় বোনকে আমি খাব। কোথায় সে?’
তখন মুরগির বড় বোন বলল, ‘আমাকে খেয়ো না। ডিম থেকে কীভাবে বাচ্চা বের করতে হয়, সেটা আমি বলছি। ওটা গরম করো, তাহলেই বাচ্চা বের হবে।’
মুরগি তার ডিমে তা দিল। আর তখন বাচ্চাটাও বেরিয়ে এল। মুরগি বুঝল, কীভাবে ডিম থেকে বাচ্চা বের করতে হয়।
দ্বিতীয় শ্রেণি, লিটল জুয়েলস স্কুল, যশোর

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!