মিথ্যা হওয়া সম্পর্কে প্রমাণ
হযরত দাউদ (আঃ) সম্পর্কে সম্পূর্ণ ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। এটা ইসলামের শত্রুদের দ্বারা আল্লাহ পাকের এক নবীর প্রতি অপবাদ বৈ আর কিছু নয়। এটা ইহুদীদের মনগড়া বর্ণনা হতে গৃহীত। কোন কোন তাফসীরকার মনগড়া এ বর্ণনাটি স্বীয় গ্রন্থে উল্লেখ করার কারণেই এ ঘটনা মশহুর হয়ে পড়েছে। অথচ ঘটনা শরীয়তের বিধি বিধানের সরাসরি পরিপন্থী। আল্লামা ইবনে কাছীর (রাঃ) বলেন যে, এ ঘটনাটি ইহুদীদের বিদ্বেয় প্রসূত মনগড়া বর্ণনা হতে গৃহীত।
আল্লামা আবদুল হক দেহলভী (রাঃ) এর তাফসীরে হক্কানীতে উক্ত হয়েছে যে, এ ঘটনাটি ইহুদীদের চামুবীল নামক গ্রন্থ হতে নেওয়া হয়েছে, এমন এক গ্রন্থ যার রচয়িতার নাম আজও কেউ জানে না। অনরুপভাবে অধিকাংশ তাফসীরকার এ ঘটনাকে মিথ্যা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া আল্লাহর একজন নবী-যিনি উম্মতের সংশোধনের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কোরআনে যার প্রশংসা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (আঃ) যার চরিত্রের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁকে দিয়ে এমন সব নিজ পর্যায়ের কার্য হবে যা সর্বদা শরীয়তের বিধি বিধানের পরিপিন্থী আর একজন নবীর শানে তা কেমন করে কল্পনা করা যায়। এক নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখে তার প্রতি আসক্ত হয়ে যাওয়া আবার ষড়যন্ত্র করে তার স্বামীকে হত্যা করে তাঁকে বিয়ে করা। এ কথা বিশ্বাসের লেশ মাত্রও যদি কারো মনে থাকে তবে তার ঈমান নিয়েই তো সংসয় দেখা দেবে। এরুপ কার্য তো সাধারণ একজন ঈমানদার ব্যক্তির পক্ষই কল্পনা করা য়ান না। আবার একজন নবির জন্য এ কল্পনা করাতো নাপাক ইচ্ছা ব্যতীত আর কি হতে পারে? সুতরাং ইহুদীদের মনগড়া এ ঘটনা ইয়াহুদীরা এমন এক জাতী যারা সব নবীর বিরুদ্ধেই তাদের ঐতিহ্যগত বক্র স্বভাব ও সংকীর্ণ কারণে যড়যন্ত্র করেছে। তাদের কোন কথা বিশ্বাস করা ঈমানের পরিপন্থি।