মাল্যদান–দ্বিতীয় অংশ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রাত্রে শোবার ঘরে জানলা-দরজা খুলিয়া দিয়া যতীন অনেক কথা ভাবিল । যে মেয়ে আপনার বাপ-মাকে না খাইতে পাইয়া মরিতে দেখিয়াছে, তাহার জীবনের উপর কী ভীষণ ছায়া পড়িয়াছে । এই নিদারুণ ব্যাপারে সে কত বড়ো হইয়া উঠিয়াছে — তাহাকে লইয়া কি কৌতুক করা যায় । বিধাতা দয়া করিয়া তাহার বুদ্ধিবৃত্তির উপরে একটা আবরণ ফেলিয়া দিয়াছেন — এই আবরণ যদি উঠিয়া যায় তবে অদৃষ্টের রুদ্রলীলার কী ভীষণ চিহ্ন প্রকাশ হইয়া পড়ে । আজ মধ্যাহ্নে গাছের ফাঁক দিয়া যতীন যখন ফাল্গুনের আকাশ দেখিতেছিল , দূর হইতে কাঁঠালমুকুলের গন্ধ মৃদুতর হইয়া তাহার ঘ্রাণকে আবিষ্ট করিয়া ধরিতেছিল , তখন তাহার মনটা মাধুর্যের কুহেলিকায় সমস্ত জগৎটাকে আচ্ছন্ন করিয়া দেখিয়াছিল- ঐ বুদ্ধিহীন বালিকা তাহার হরিণের মতো চোখদুটি লইয়া সেই সোনালি কুহেলিকা অপসারিত করিয়া দিয়াছে ; ফাল্গুনের এই কূজন-গুঞ্জন-মর্মরের পশ্চাতে যে সংসার ক্ষুধাতৃষ্ণাতুর দুঃখ কঠিন দেহ লইয়া বিরাট মূর্তিতে দাঁড়াইয়া আছে , উদ্‌ঘাটিত যবনিকার শিল্পমাধুর্যের অন্তরালে সে দেখা দিল ।

পরদিন সন্ধ্যার সময় কুড়ানির সেই বেদনা ধরিল । পটল তাড়াতাড়ি যতীনকে ডাকিয়া পাঠাইল । যতীন আসিয়া দেখিল কষ্টে কুড়ানির হাতে পায়ে খিল ধরিতেছে , শরীর আড়ষ্ট । যতীন ঔষধ আনিতে পাঠাইয়া বোতলে করিয়া গরম জল আনিতে হুকুম করিল । পটল কহিল , “ ভারি মস্ত ডাক্তার হইয়াছ , পায়ে একটু গরম তেল মালিশ করিয়া দাও-না । দেখিতেছ না পায়ের তলা হিম হইয়া গেছে । ”

যতীন রোগিণীর পায়ের তলায় গরম তেল সবেগে ঘষিয়া দিতে লাগিল । চিকিৎসাব্যাপারে রাত্রি অনেক হইল । হরকুমার কলিকাতা হইতে ফিরিয়া আসিয়া বারবার কুড়ানির খবর লইতে লাগিলেন । যতীন বুঝিল , সন্ধ্যাবেলায় কর্ম হইতে ফিরিয়া আসিয়া পটল-অভাবে হরকুমারের অবস্থা অচল হইয়া উঠিয়াছে — ঘন ঘন কুড়ানির খবর লইবার তাৎপর্য তাই । যতীন কহিল , “ হরকুমারবাবু ছট্‌ফট্‌ করিতেছেন; তুমি যাও, পটল । ”

পটল কহিল , “ পরের দোহাই দিবে বৈ-কি । ছট্‌ফট্‌ কে করিতেছে তা বুঝিয়াছি । আমি গেলেই এখন তুমি বাঁচো । এ দিকে কথায় কথায় লজ্জায় মুখচোখ লাল হইয়া উঠে — তোমার পেটে যে এত ছিল তা কে বুঝিবে । ”

যতীন । আচ্ছা , দোহাই তোমার , তুমি এইখানেই থাকো । রক্ষা করো — তোমার মুখ বন্ধ হইলে বাঁচি । আমি ভুল বুঝিয়াছিলাম — হরকুমারবাবু বোধ হয় শান্তিতে আছেন , এরকম সুযোগ তাঁর সর্বদা ঘটে না ।

কুড়ানি আরাম পাইয়া যখন চোখ খুলিল পটল কহিল , “ তোর চোখ খোলাইবার জন্য তোর বর যে আজ অনেকক্ষণ ধরিয়া তোকে পায়ে ধরিয়া সাধিয়াছে — আজ তাই বুঝি এত দেরি করিলি । ছি ছি , ওঁর পায়ের ধুলা নে । ”

কুড়ানি কতর্ব্যবোধে তৎক্ষণাৎ গম্ভীরভাবে যতীনের পায়ের ধুলা লইল । যতীন দ্রুতপদে ঘর হইতে চলিয়া গেল ।

তাহার পরদিন হইতে যতীনের উপরে রীতিমত উপদ্রব আরম্ভ হইল । যতীন খাইতে বসিয়াছে , এমন সময় কুড়ানি অম্লানবদনে পাখা দিয়া তাহার মাছি তাড়াইতে প্রবৃত্ত হইল । যতীন ব্যস্ত হইয়া বলিয়া উঠিল , “ থাক্‌ থাক্‌ , কাজ নাই । ” কুড়ানি এই নিষেধে বিস্মিত হইয়া মুখ ফিরাইয়া পশ্চাদ্‌বর্তী ঘরের দিকে একবার চাহিয়া দেখিল — তাহার পরে আবার পুনশ্চ পাখা দোলাইতে লাগিল । যতীন অন্তরালবর্তিনীর উদ্দেশে বলিয়া উঠিল , “ পটল , তুমি যদি এমন করিয়া আমাকে জ্বালাও তবে আমি খাইব না — আমি এই উঠিলাম । ”

বলিয়া উঠিবার উপক্রম করিতেই কুড়ানি পাখা ফেলিয়া দিল । যতীন বালিকার বুদ্ধিহীন মুখে তীব্র বেদনার রেখা দেখিতে পাইল ; তৎক্ষণাৎ অনুতপ্ত হইয়া সে পুনর্বার বসিয়া পড়িল । কুড়ানি যে কিছু বোঝে না , সে যে লজ্জা পায় না , বেদনা বোধ করে না , এ কথা যতীনও বিশ্বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিল । আজ চকিতের মধ্যে দেখিল , সকল নিয়মেরই ব্যতিক্রম আছে , এবং ব্যতিক্রম কখন হঠাৎ ঘটে আগে হইতে তাহা কেহই বলিতে পারে না । কুড়ানি পাখা ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল ।

পরদিন সকালে যতীন বারান্দায় বসিয়া আছে , গাছপালার মধ্যে কোকিল অত্যন্ত ডাকাডাকি আরম্ভ করিয়াছে , আমের বোলের গন্ধে বাতাস ভারাক্রান্ত — এমন সময় সে দেখিল , কুড়ানি চায়ের পেয়ালা হাতে লইয়া যেন একটু ইতস্তত করিতেছে । তাহার হরিণের মতো চক্ষে একটা সকরুণ ভয় ছিল — সে চা লইয়া গেলে যতীন বিরক্ত হইবে কি না ইহা যেন সে বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না । যতীন ব্যথিত হইয়া উঠিয়া অগ্রসর হইয়া তাহার হাত হইতে পেয়ালা লইল । এই মানবজন্মের হরিণশিশুটিকে তুচ্ছ কারণে কি বেদনা দেওয়া যায় । যতীন যেমনি পেয়ালা লইল অমনি দেখিল , বারান্দার অপর প্রান্তে পটল সহসা আবির্ভূত হইয়া নিঃশব্দহাস্যে যতীনকে কিল দেখাইল; ভাবটা এই যে , “ কেমন ধরা পড়িয়াছ । ”

সেইদিন সন্ধ্যার সময় যতীন একখানি ডাক্তারি কাগজ পড়িতেছিল , এমন সময় ফুলের গন্ধে চকিত হইয়া উঠিয়া দেখিল , কুড়ানি বকুলের মালা হাতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল । যতীন মনে মনে কহিল , ‘ বড়োই বাড়াবাড়ি হইতেছে — পটলের এই নিষ্ঠুর আমোদে আর প্রশ্রয় দেওয়া উচিত হয় না । ‘

কুড়ানিকে বলিল , “ ছি ছি কুড়ানি , তোমাকে লইয়া তোমার দিদি আমোদ করিতেছেন , তুমি বুঝিতে পার না! ”

কথা শেষ করিতে না করিতেই কুড়ানি ত্রস্ত সংকুচিত ভাবে প্রস্থানের উপক্রম করিল । যতীন তখন তাড়াতাড়ি তাহাকে ডাকিয়া কহিল , “ কুড়ানি , দেখি, তোমার মালা দেখি । ” বলিয়া মালাটি তাহার হাত হইতে লইল । কুড়ানির মুখে একটি আনন্দের উজ্জ্বলতা ফুটিয়া উঠিল , অন্তরাল হইতে সেই মুহূর্তে একটি উচ্চহাস্যের উচ্ছ্বাসধ্বনি শুনা গেল ।

পরদিন সকালে উপদ্রব করিবার জন্য পটল যতীনের ঘরে গিয়া দেখিল , ঘর শূন্য । একখানি কাগজে কেবল লেখা আছে — “ পালাইলাম । শ্রীযতীন । ”

“ ও কুড়ানি , তোর বর যে পালাইল । তাহাকে রাখিতে পারিলি নে! ” বলিয়া কুড়ানির বেণী ধরিয়া নাড়া দিয়া পটল ঘরকন্নার কাজে চলিয়া গেল ।

কথাটা বুঝিতে কুড়ানির একটু সময় গেল । সে ছবির মতো দাঁড়াইয়া স্থিরদৃষ্টিতে সম্মুখে চাহিয়া রহিল । তাহার পর ধীরে ধীরে যতীনের ঘরে আসিয়া দেখিল , তাহার ঘর খালি । তার পূর্বসন্ধ্যার উপহারের মালাটা টেবিলের উপর পড়িয়া আছে ।

বসন্তের প্রাতঃকালটি স্নিগ্ধসুন্দর ; রৌদ্রটি কম্পিত কৃষ্ণচূড়ার শাখার ভিতর দিয়া ছায়ার সহিত মিশিয়া বারান্দার উপর আসিয়া পড়িয়াছে । কাঠবেড়ালি লেজ পিঠে তুলিয়া ছুটাছুটি করিতেছে এবং সকল পাখি মিলিয়া নানা সুরে গান গাহিয়া তাহাদের বক্তব্য বিষয় কিছুতেই শেষ করিতে পারিতেছে না । পৃথিবীর এই কোণটুকুতে , এই খনিকটা ঘনপল্লব ছায়া এবং রৌদ্ররচিত জগৎখণ্ডের মধ্যে প্রাণের আনন্দ ফুটিয়া উঠিতেছিল ; তাহারই মাঝখানে ঐ বুদ্ধিহীন বালিকা তাহার জীবনের , তাহার চারি দিকের সংগত কোনো অর্থ বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না । সমস্তই কঠিন প্রহেলিকা । কী হইল , কেন এমন হইল , তার পরে এই প্রভাত , এই গৃহ , এই যাহা-কিছু সমস্তই এমন একেবারে শূন্য হইয়া গেল কেন । যাহার বুঝিবার সামর্থ্য অল্প তাহাকে হঠাৎ একদিন নিজ হৃদয়ের এই অতল বেদনার রহস্যগর্ভে কোনো প্রদীপ হাতে না দিয়া কে নামাইয়া দিল । জগতের এই সহজ-উচ্ছ্বসিত প্রাণের রাজ্যে, এই গাছপালা-মৃগ-পক্ষীর আত্মবিস্মৃত কলরবের মধ্যে কে তাহাকে আবার টানিয়া তুলিতে পারিবে ।

পটল ঘরকন্নার কাজ সারিয়া কুড়ানির সন্ধান লইতে আসিয়া দেখিল , সে যতীনের পরিত্যক্ত ঘরে তাহার খাটের খুরা ধরিয়া মাটিতে পড়িয়া আছে — শূন্য শয্যাটাকে যেন পায়ে ধরিয়া সাধিতেছে । তাহার বুকের ভিতরে যে- একটি সুধার পাত্র লুকানো ছিল সেইটে যেন শূন্যতার চরণে বৃথা আশ্বাসে উপুড় করিয়া ঢালিয়া দিতেছে — ভূমিতলে পুঞ্জীভূত সেই স্খলিতকেশা লুণ্ঠিতবসনা নারী যেন নীরব একাগ্রতার ভাষায় বলিতেছে , “ লও , লও , আমাকে লও । ওগো , আমাকে লও । ”

পটল বিস্মিত হইয়া কহিল , “ ও কী হইতেছে , কুড়ানি । ”

কুড়ানি উঠিল না ; সে যেমন পড়িয়া ছিল তেমনি পড়িয়া রহিল । পটল কাছে আসিয়া তাহাকে স্পর্শ করিতেই সে উচ্ছ্বসিত হইয়া ফুলিয়া ফুলিয়া কাঁদিতে লাগিল ।

পটল তখন চকিত হইয়া বলিয়া উঠিল , “ ও পোড়ারমুখি , সর্বনাশ করিয়াছিস। মরিয়াছিস! ”

হরকুমারকে পটল কুড়ানির অবস্থা জানাইয়া কহিল , “ এ কী বিপদ ঘটিল । তুমি কী করিতেছিলে , তুমি আমাকে কেন বারণ করিলে না । ”

হরকুমার কহিল , “ তোমাকে বারণ করা যে আমার কোনোকালে অভ্যাস নাই । বারণ করিলেই কি ফল পাওয়া যাইত । ”

পটল । তুমি কেমন স্বামী। আমি যদি ভুল করি , তুমি আমাকে জোর করিয়া থামাইতে পার না ? আমাকে তুমি এ খেলা খেলিতে দিলে কেন ।

এই বলিয়া সে ছুটিয়া গিয়া ভূপতিতা বালিকার গলা জড়াইয়া ধরিয়া কহিল , “ লক্ষ্মী বোন আমার , তোর কী বলিবার আছে আমাকে খুলিয়া বল্‌ । ”

হায় , কুড়ানির এমন কী ভাষা আছে যে , আপনার হৃদয়ের অব্যক্ত রহস্য সে কথা দিয়া বলিতে পারে । সে একটি অনির্বচনীয় বেদনার উপর তাহার সমস্ত বুক দিয়া চাপিয়া পড়িয়া আছে — সে বেদনাটা কী , জগতে এমন আর কাহারো হয় কি না , তাহাকে লোকে কী বলিয়া থাকে , কুড়ানি তাহার কিছুই জানে না । সে কেবল কান্না দিয়া বলিতে পারে ; মনের কথা জানাইবার তাহার আর কোনো উপায় নাই ।

পটল কহিল , “ কুড়ানি , তোর দিদি বড়ো দুষ্ট ; কিন্তু তার কথা যে তুই এমন করিয়া বিশ্বাস করিবি , তা সে কখনো মনেও করে নি । তার কথা কেহ কখনো বিশ্বাস করে না ; তুই এমন ভুল কেন করিলি । কুড়ানি , একবার মুখ তুলিয়া তোর দিদির মুখের দিকে চা ; তাকে মাপ কর্। ”

কিন্তু , কুড়ানির মন তখন বিমুখ হইয়া গিয়াছিল , সে কোনোমতেই পটলের মুখের দিকে চাহিতে পারিল না ; সে আরো জোর করিয়া হাতের মধ্যে মাথা গুঁজিয়া রহিল । সে ভালো করিয়া সমস্ত কথা না বুঝিয়াও একপ্রকার মূঢ়ভাবে পটলের প্রতি রাগ করিয়াছিল । পটল তখন ধীরে ধীরে বাহুপাশ খুলিয়া লইয়া উঠিয়া গেল — এবং জানালার ধারে পাথরের মূর্তির মতো স্তব্ধভাবে দাঁড়াইয়া ফাল্গুনের রৌদ্রচিক্কণ সুপারিগাছের পল্লবশ্রেণীর দিকে চাহিয়া পটলের দুই চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল ।

পরদিন কুড়ানির আর দেখা পাওয়া গেল না । পটল তাহাকে আদর করিয়া ভালো ভালো গহনা এবং কাপড় দিয়া সাজাইত । নিজে সে এলোমেলো ছিল , নিজের সাজ সম্বন্ধে তাহার কোনো যত্ন ছিল না , কিন্তু সাজগোজের সমস্ত শখ কুড়ানির উপর দিয়াই সে মিটাইয়া লইত । বহুকালসঞ্চিত সেই-সমস্ত বসনভূষণ কুড়ানির ঘরের মেজের উপর পড়িয়া আছে । তাহার হাতের বালাচুড়ি , নাসাগ্রের লবঙ্গফুলটি পর্যন্ত সে খুলিয়া ফেলিয়া গিয়াছে । তাহার পটলদিদির এতদিনের সমস্ত আদর সে যেন গা হইতে মুছিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়াছে ।

হরকুমারবাবু কুড়ানির সম্বন্ধে পুলিসে খবর দিলেন । সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে , সেই-সকল পলাতকদলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল । হরকুমারবাবু দুই-চারিবার ভুল লোকের সন্ধানে অনেক দুঃখ এবং লজ্জা পাইয়া কুড়ানির আশা পরিত্যাগ করিলেন । অজ্ঞাতের কোল হইতে তাঁহারা যাহাকে পাইয়াছিলেন অজ্ঞাতের কোলের মধ্যেই সে আবার লুকাইয়া পড়িল ।

যতীন বিশেষ চেষ্টা করিয়া সেবার প্লেগ-হাসপাতালে ডাক্তারি-পদ গ্রহণ করিয়াছিল । একদিন দুপুরবেলায় বাসায় আহার সারিয়া হাসপাতালে আসিয়া সে শুনিল , হাসপাতালের স্ত্রী-বিভাগে একটি নূতন রোগিণী আসিয়াছে । পুলিস তাহাকে পথ হইতে কুড়াইয়া

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!