মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় একজন আবেদের আঙ্গুল পোড়ানোর কাহিনী
বনী ইস্রাঈলের একজন আবেদ ‘ইবাদাত খানায় ‘ইবাদত করতেন। তাঁর প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে কয়েকজন লোক পতিতা নারীর কাছে গিয়ে অর্থ দিয়ে প্রলুব্ধ করলো। এক বৃষ্টিঝরা রাতে পতিতা নারী আবেদের ঘরের দরোজায় গিয়ে দরোজা নক করতে লাগলো। আবেদ উকি দিয়ে দেখলেন, একজন যুবতী নারী। তিনি কোন কথা না বলে নামায আদায় করতে লাগলেন।
পতিতা নারী কাতরকণ্ঠে বলছিল, হে আল্লাহর বান্দা! আমাকে আশ্রয় দিন এ ঝড় বৃষ্টির রাতে আমি বিপদে পড়ে আপনার কাছে এসেছি। অবশেষে আবেদ ঘরের দরজা খুলে তাকে ভেতরে যেতে দিলেন। পতিতা নারী ঘরে প্রবেশ করেই উলঙ্গ হয়ে বিছানায় শুয়ে আবেদকে তার কাছে আসার আহ্বান জানালো। আবেদ এক নজর তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং নামায আদায় করতে লাগলেন। নামায শেষে তাঁর প্রবৃত্তি তাঁকে নারীর কাছে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করতে লাগলো। আবেদ দোযখের আগুনের কথা ভেবে প্রজ্বলিত চেরাগে একটি আঙ্গুল চেপে ধরলেন। আঙ্গুল পুড়ে গেল।
তারপর আবার নামাযে মনোনিবেশ করলেন। নামায শেষে তাঁর প্রবৃত্তির প্ররোচনা আবার তীব্র হয়ে উঠলো। আবেদ হাতের আরেকটি আঙ্গুল আগুনে চেপে ধরে প্রবৃত্তিকে বললেন, দোযখের আগুন এ আগুনের চেয়ে উত্তপ্ত সে আগুন কি বরদাশত করতে পারবে? পতিতা নারী বিস্ময়কর এ দৃশ্য দেখে পোষাক পরিধান করলো এবং এক তীব্র চিৎকার করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। (নুজহাতুল বাছতিন, কারামাতে আওলিয়া)