মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় ফেরাউনের দাসীর নির্যতন বরদাশত করার ঘটনা

ফেরাউনের একজন দাসী মূসা (আঃ) এর রবের প্রতি ঈমান এসেছিল। ফেরাউন এ খবর পেয়ে দাসীকে নিজের দরবারে ডেকে পাঠালো। ফেরাউন দাসীকে বলল তুই কি অন্য কোন মা’বুদের বন্দেগী করিস?

দাসী বল হ্যাঁ করি। ফেরাউন বলল সেই খোদাকে ছেড়ে আমার বন্দেগীর স্বীকারোক্তি কর। দাসী বলল, সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়। দাসীকে চিৎ করে শুইয়ে তার হাতে পায়ে পেরেক মেরা দেয়া হলো। তারপর ফেরাউন বলল, সাপ বিচ্ছু  এনে তোকে কামড়ানোর জন্য তোর উপর ছেড়ে দেয়া হবে। দু’ মাস পর্যন্ত তোকে এরকম শাস্তি দেয়া হবে।

দাসী বলল, এক বছর পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হলেও আমার বিশ্বাসে পরিবর্তন হবে না। বরং মহান আল্লাহর প্রতি ভালবাসা আরো বৃদ্ধি পাবে। মাশতা নামের এ দাসীর দু’টি সন্তান ছিল। একটির বয়স ছিল পাঁচ বছর অন্যটি ছিল দুগ্ধপোষ্য। ফেরাউনের দাসী মাশতার বুকের উপর শুইয়ে চার পাঁচ বছর বয়সের শিশুকে জবাই করা হলো। তারপর তাকে বলা হলো যদি এখনো তোর বিশ্বাসে পরিবর্তন না করিস, আর আমাকে খোদা বলে স্বীকার না করিস, তবে তোর দুধের শিশুকে তোর বুকের উপর শোয়ায়ে জবাই করা হবে।

দাসী মাশতা বলল, দুনিয়ার সব মানুষ এনে যদি আমার বুকের উপর রেখে জবাই করা হয় তবু আমার বিশ্বাসে পরিবর্তন হবে না। ফেরাউনের আদেশে দাসীর দুধের শিশুকেও তার বুকের উপর শোয়ায়ে জবাই করা হলো। শিশুটির বয়স ছিল ছয় মাস। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আশায় দুধের শিশু কোরবানি করার আনন্দে কেঁদে ফেললো। এ সময় জবাই করা ছয় মাসের শিশু তাকে স্বান্তনা দিয়ে বলল, কেঁদো না মা তোমার জন্য জান্নাত সাজানো হচ্ছে।

জান্নাতে পৌঁছে মহান আল্লাহর দিদার নসীব হবে। ফেরাউনের আদেশে দাসী মাশতাকেও জবাই করা হল। (মাওয়ায়েজে ইব্রাহীম)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মেরাজের রাতে বোরাকে চড়ে যখন ঊর্ধ্বলোকে যাচ্ছিলেন বোরাক মিশরের উপরে যাওয়ার পর তিনি জান্নাতের সুবাস পেলেন। জিব্রাইলকে জিজ্ঞেস করলেন, এ সুবাস কিসের  জিব্রাইল? জিব্রাইল বললেন, হে আল্লহার রাসূল! জান্নাতের অবস্থানতো অনেক দূরে। এ সুবাস ফেরাউনের স্ত্রীর চুল আচঁড়াতো যে দাসী তার কবরের।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।