মসজিদে জামাতে ফজর নামাজ পড়ার জন্য এক ব্যক্তি সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে অজু করে মসজিদে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে তিনি পা পিছলে পড়ে গেলেন। তাঁর কাপড় নষ্ট হয়ে গেল। তিনি বাড়ি ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার অজু করে মসজিদের দিকে রওনা দিলেন। মাঝপথে আবার তিনি পা পিছলে পড়ে গেলেন। তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেল। তিনি আবার বাড়ি গেলেন, কাপড় বদলিয়ে অজু করে মসজিদের দিকে রওনা দিলেন। মাঝপথে আসতে লণ্ঠন হাতে এক লোকের সাক্ষাৎ পেলেন।
লোকটিকে তিনি জিজ্ঞাস করলেন, ‘আপনি কে?’
সে উত্তরে বলল, ‘আমি আপনাকে দু’বার পড়ে যেতে দেখেছি, তাই ভাবলাম মসজিদে যাওয়ার জন্য আমি আপনার প্রদীপের ব্যবস্থা করে দিই।’
লোকটি লণ্ঠন হাতে তাঁকে মসজিদ পর্যন্ত এগিয়ে দিল।
তাঁকে তিনি বললেন, ‘চলুন নামাজ পড়ে নিই।’ লোকটিকে নামাজ পড়ার জন্য বারংবার বলা এবং অনেক পীড়াপীড়ি করার পরও লোকটি নামাজ পড়ল না। তখন তিনি জিজ্ঞাস করলেন, ‘আপনি নামাজ পড়া পছন্দ করেন না, বলুন তো আপনি কে?’
লোকটি উত্তরে বলল, ‘আমি শয়তান। আমিই আপনাকে প্রথমবার পা পিছলিয়ে ফেলেছিলাম যাতে মসজিদে নামাজ না পড়ে আপনি বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু আপনি যখন পা পিছলে পড়ে যাওয়ার পর বাড়িতে গিয়ে ফিরে এলেন, তখন আল্লাহ তাআলা আপনার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেন। দ্বিতীয়বার যখন আপনি পড়ে যাওয়ার পর বাড়িতে গিয়ে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদের দিকে রওনা দিলেন, তখন আল্লাহ তাআলা আপনার পরিবারের সবার গুনাহ ক্ষমা করে দিলেন। এরপরও যখন পড়ে গিয়ে আপনি বাড়ি থেকে কাপড় বদলিয়ে মসজিদে আসছিলেন, তখন আমি ভয় পাচ্ছিলাম—না জানি আল্লাহ তাআলা এবার আপনার গ্রামবাসীকেও ক্ষমা করে দেন। তাই তাড়াতাড়ি আমি লণ্ঠন হাতে আপনাকে মসজিদে পৌঁছে দিয়ে গেলাম।’
আল্লাহু আকবার।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।