মন্ত্রী ও ছাত্রের বুদ্ধি।

 

পাশ্চাত্যের অনুসারী অনেক বুদ্ধিজীবি মোল্লাদেরকে তুচ্ছ জ্ঞানসম্পন্ন মনে করে। পূর্ব যুফেও তাই করা হতো। এক বাদশাহর ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি। বাদশাহ বলতেন, “আলেমদের জ্ঞানের গভীরতার কোন তুলনা হয় না।” কিন্তু তার মন্ত্রী এ ব্যাপারে মতভেদ প্রকাশ করতেন।

একদিন বাদশাহ। পুকুরে পাড়ে সান্ধ্য ভ্রমণে বের হলেন। তখন অযত্নে প্রতিপালিত মলিন বেশে বগলে কেতাব নিয়ে মাদ্রাস্র একজন ছাত্র সেখান  দিয়ে যাচ্ছিল। বাদশাহ তাকে কাছে ডাকলেন এবং মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন, “মন্ত্রী বলুন তো এ পুকুরে কত গ্লাস পানি আছে?’

মন্ত্রী বললেন, “প্রথমে এ পুকুরের পাশে অন্য একটি নতুন পুকুর খনন করতে হবে। তারপর গ্লাস ভরে ভরে পানি এনে সে পুকুরে রাখতে হবে।

 

 

পানি নিঃশেষ হলে বুঝা যাবে এ পুকুরে কত গ্লাস পানি আছে।”

বাদশাহ তখন মাদ্রাসার ছাত্রটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “মৌলভী সাহেব, আপনি বলতে পারবেন এ পুকুরে কত গ্লাস পানি আছে?”

ছাত্রটি জবাব দিল, “এ প্রশ্নটি আসলে ক্রটি পূর্ণ। কারণ এখানে বলা হয়নি গ্লাসটি কত বড় । যদি গ্লাসটি পুকুরের সমান হয় তাহলে এখানে নিঃসন্দেহে এ পুকুরে এক গ্লাস পানি আছে। আর যদি গ্লাসটি পুকুরের অর্ধেক হয় তবে দুই গ্লাস পানি আছে। এভাবে পুকুর এবং গ্লাসে আনুপাতিক মাপ অনুযায়ী হিসাব করে নিন পুকুরে কত গ্লাস পানি আছে।”

বাদশাহ মন্ত্রীকে বললেন, “দেখুন জ্ঞান কাকে বলে। প্রশ্ন অনুযায়ী আপনার জবাবটি যথেষ্ট হয়নি। অথচ সাধারণ একজন মাদ্রাসার ছাত্র একটি সংক্ষিপ্ত জবাবে সমস্ত জটিলতা নিরসন করে দিয়েছেন।

 

 

সুতরাং প্রকৃত জ্ঞানী কে একবার ভেবে দেখুন।”

বর্তমান যুগের বৃদ্ধিজীবিগণের ভুল এখানেই যে, অভিঞ্জতার (Experience) আলোকে তারা যেখানে পৌঁছতে পারেন তাকে জ্ঞানের ফল কনে করেন। অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান কে তারা একই বস্তু মনে করেন অথচ এ দুইটি জিনিস সম্পূর্ণ পৃথক। অভিজ্ঞতার এক জিনিস আর জ্ঞান অন্য জিনিস। মোল্লাগণ যেহেতু অভিজ্ঞতার পালায় পড়েননি তাই তাদের অভিজ্ঞতা থাকে না। তবে তারা পরিপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী হয়ে থাকেন।

তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হলো জীবনের পরিণাম সম্পর্কে সচেতন, তারাই জ্ঞাণী লোক।

 

দুঃখিত!