ভোজন

এক লোক দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিল।খাওয়া এত বেশী খেয়েছে যে,এখন আর হাটতে পারছে না।ক্লান্তি ভর করে বসল।তাই বিশ্রাম নিতে পথের ধারে একটা গাছের নিচে গা হেলিয়ে বসে পড়ল।পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ওই পাড়ার এক যুবক।বিশ্রাম রত মুরুব্বীকে দেখে চিনে ফেলল,এত দেখি আমাদের পাড়ার কদমআলী চাচা।আরে চাচা!এখানে কেন চলেন বাড়ি যাই।আরে ভাতিজা!বুঝবি না,দাওয়াত খেয়েছিলাম তো।খাওয়া একটু বেশী হয়ে গেছে।তাই হাটতে পারছি না।ক্লান্তির কারণে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।আরে চাচা?ঐ যে ফার্মেসী একটা হজমুলা খেয়ে নিলে তো কিচ্ছা খতম।সব খাবার হজম হয়ে যেত।চাচার উত্তর,চুপ কর একটু হজমুলা খাবার যায়গা পেটে বাকি থাকত,তাহলে এক পেলেট ভাত আরও বেশী খেয়ে আসতাম।তুই যা। আমি আস্তে ধিরে আসবো।

উপদেশঃ বর্তমান যগে এমন ভোজন প্রিয় অনেক খুজে পাওয়া যায়।ভুরি ভোজন যেন তাদের মুল উদ্দেশ্য।অতচ অতি ভোজন মানুষকে অলস এবং অকর্মণ্য করে তোলে।ফলে দুনিয়ার যেমন তার হাতে উঠে না।তদ্রূপ ইবাদাতের প্রতি ও মন আগে বাড়ে না,তাতে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।আর নিয়ম তান্ত্রিক খওয়া- দাওয়াতে মানুষের চাঞ্চল্যতা থাকে।দুনিয়ার কাজে সস্তি এবাদতে প্রশাস্তি আসে,তাই তো আল্লাহার রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাহি ওয়াসাল্লাম বলেন,বনি আদমের জন্য ওই পরিমাণ যথেষ্ট যা তার রকমে রোজা রাখে।হজরত থানুবী রহ,হাফেজ্জী হুজুর রহ,এর প্রশ্নংসা করতে গিয়ে বলেন,মোহাম্মদুল্লাহ কম খায়,কম ঘুমায়,কম কথা বলে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!