
একদা এক বনে এক নেকড়ে বাঘ বাস করতো। একবার এক কুকুর তাকে কামড়ে দিয়েছিল। ঐ কামড়ের ঘা ক্রমেই বাড়তে থাকলো। বাড়তে বাড়তে শেষে নেকড়েকে এমন কবু করে দিল যে, সে আর নড়তে পারলো না। আর নড়তে না পারায় তার খাবারও জুটলো না। নিরূপায় নির্জীবের মতো সে এক খালের ধারে শুয়েছিল।
এমন সময় দেখে একটা ভেড়া যাচ্ছে তার সামনে দিয়ে। ভেড়াটা দেখেই সে অমনি তাকে বলে উঠলো, “ও ভাই শোনো, এদিকে শোনো, এই যে তোমাকে বলছি।”
ভেড়াটা বলল, “কি, আমাকে বলছেন?” নেকড়েটা বলল, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি। এই দেখো না, আমি চলবার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়েছি। কয়েকদিন আমি একেবারেই নড়তে না পেরে এখানেই পড়ে রয়েছি। তেষ্টায় আমার বুকের ছাতি পর্যন্ত ফেটে যাচ্ছে। তুমি যদি দয়া করে ঐ খালট থেকে আমায় জল এনে দাও, তাহলে বড় উপকার হয়। খাবার জোগাড়টা আমি নিজেই করে নেবো।”
তখন দূর থেকে ভেড়া বললো, “তুমি নিজেকে বেশি চালাক মনে করো তাই না? তোমার ফন্দি আমার কাছে ধরা পড়ে গেছে। জল দিতে আমি যেইনা তোমার কাছে যাবো, অমনি তুমি আমার ঘাড় মটকে দিয়ে তোমার খাবারের জোগাড় করে নেবে। সেটি হতে দিচ্ছি না আমি!” এই বলে ভেড়া দ্রুতপদে সেখান থেকে পালালো।
উপদেশ: বিচক্ষণরা দুষ্টের অভিসন্ধি ধরে ফেলে।