
পৃথিবীর অন্যতম ভৌতিক জায়গার নামবলতে গেলে ইংল্যান্ডের শেরবরনের এইপ্রাচীন দুর্গের কথা বলতে হয়।।১২ শতকে নির্মিত এইদুর্গকে ঘিরে প্রচলিত আছে নানা মিথএবং গল্পকথা।। মধ্যযুগে এইদুর্গে স্মরণকালেরসবচেয়ে বেশি মানুষকে খুন করা হয়েছে।।বন্দীদের টর্চার করার জন্য এই দুর্গেরসেলারে নির্মিত একটি গুপ্তঘর তখনকারদিনে আতঙ্কের কারণ ছিলো।।এই গুপ্তঘরটি আবিষ্কার করা হয়অনেক পরে।। ততদিনে দুর্গের পূর্বের প্রতাপআর নেই।। আবিষ্কার করার পরকি পাওয়া যায় জানেন?? এক মাইললম্বা একটি সুড়ঙ্গ ভর্তি লাশেরকঙ্কাল।। সবগুলো সেই টর্চাররুমে মারা যাওয়া বন্দীর লাশহিসেবে চিহ্নিত করেন ইতিহাসবিদরা।।ইতিহাস সাক্ষী যে এখানে খুন হয়েছেনরাজা থেকে শুরু করে যুদ্ধবন্দী অনেকসেনাপতি এবং সৈন্য।।
দুর্গের আশেপাশেরবাসিন্দারা দুর্গটি এড়িয়ে চলেন।।বলা হয়, প্রতি পূর্ণিমা রাতে দুর্গেরছাদে নাকি একদল সৈন্যকে দেখা যায় যুদ্ধেরসরঞ্জাম হাতে।। এইঘটনা চাক্ষুষ করেছেন এমন মানুষের অভাবনেই।। এছাড়াও দুর্গেরনিরাপত্তা কর্মীরা জানান, দুর্গ থেকে গভীররাতে ভেসে আসে অসহায় নিপীড়িত মানুষেরচিৎকার এবং কান্নার শব্দ।।অনুমতি না থাকায় রাতে দুর্গেরভেতর ঢোকা নিষেধ।। তবে অনেকনিরাপত্তা কর্মী এই দুর্গে কাজ করা অবস্থায়মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।। তাদেরমাঝে কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন।। তেমনইএককর্মী “আইনেল সিউঞ্জার”আত্মহত্যা করার আগে একটি নোটলিখে রেখে যান।। সেই নোট লেখা ছিলোঃ“গতকাল রাতে দুর্গে চিৎকারেরআওয়াজ শুনতে পেয়ে আমি এবং মাইকেলবাধা অমান্য করে দুর্গের প্রধান দরজারসামনে যাই।। দরজা রাতে বন্ধকরে দেয়া হলেও তখন আমরা দেখতে পাইদরজাটি পুরোপুরি খোলা।। আমাদের চোখেরসামনে পড়ে ছিলো অগণিত লাশ।।প্রত্যেকটি বিবস্থ অবস্থা।। কোনটারমাথা নেই তো কোনটার সারা শরীর জায়গায়জায়গায় বিচ্ছিন।।বাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়ো মানুষের লাশদেখতে পাই আমরা।। হটাত আমাদেরচোখের সামনে কিছু লাশ উঠে দাঁড়ায়এবং চিৎকার করে টলতে টলতে আমাদেরদিকে এগিয়ে আসে।।
তাদের একটা শব্দইআমরা বুঝতে পারি, তা হলো, “আমাদেরমুক্তি দাও।। আমাদের মুক্তি দাও।।”আমরা সেখান থেকে দ্রুত চলে আসি।।মাইকেল নিরাপত্তা দরজারসামনে এসে হাঁটুগেড়ে বমি করতে করতে জ্ঞান হারায়।।সকালে কোনোমতে আমরা নিজ নিজ বাসায়ফিরে আসি।। এই ঘটনার পরথেকে আমি মানসিক অশান্তির মধ্যদিয়ে যাচ্ছি।।আমার চারপাশে মৃতমানুষের অস্তিত্ব উপলদ্ধি করছি।।আমার কানে তারা ফিসফিসকরে বলে চলেছে “আমাদের মুক্তি দাও।।আমাদের মুক্তি দাও।।”এটা পাওয়া “আইনেল সিউঞ্জার” এর লাশেরপাশে।।
সিউঞ্জার নিজের হাতের রগকেটে ফেলে আত্মহত্যা করা।।এবং মৃত্যুর আগে সারা ঘরে নিজের রক্তদিয়ে বিচিত্র সবনকশা একে দিয়ে যায়।। সেইনকশাগুলো বেশিরভাগই টর্চাররুমে আঁকা নকশা এবং তার যন্ত্রপাতির মতো।।