
সত্যি কাহিনী অবলম্বনে-হৃদয় নাড়া দেয়ার মত গল্প।পুরোটা পড়ুন- … …একজন ডাক্তারএকটি জরুরী সার্জারির জন্য তাড়াহুড়ো করে আর একডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকেগতিতে হাসপাতালে পৌঁহাসপাতালে ঢুকেইসে নিজেকেদ্রুত প্রস্তুত করে নিল সার্জারির জন্য।এরপর সার্জারির ব্লকএগিয়ে সে দেখল রোগীর( একটি ছোট্ট ছেলে )বাবা ওখানেপায়চারি করছে দ অপেক্ষায় ,ডাক্তার কে দেখামাত্রলোকটি চেঁচিয়ে উঠল-…আপনার আসতে এত দেরি লাগে?দায়িত্ববোধ বলতে কিছুআছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলেএখানে কতটা শোচনীয়অবস্থায় আছে ????ডাক্তার ছোট্টএকটা মুচকি হাসি হেসে বলল-“আমি দুঃখিত,আমি হাসপাতাল এছিলাম না,বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাতাই খানিক দেরি হল, এখনআপনিযদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজ টা শুরুকরি ?”লোকটি এবার যেন আরওরেগে গেলো,ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল-“ঠাণ্ডা হব?
আপনার সন্তান যদি আজএখানে থাকতো?আপনার সন্তান যদি জীবনমৃত্যুরমাঝে দাঁড়াইয়া থাকতো,তবে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন ??”ডাক্তার আবার হাসলেন আর বললেন”আমি বলব পবিত্রগ্রন্থে বলা হয়েছে মাটি থেকেআমাদের সৃষ্টি আর মাটিতেই আমরা মিসে যাব ! ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবনদান করতে পারেননা আপনি আপনারসন্তানের জন্যপ্রার্থনা করতে থাকুনআমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা টা করব ।”লোকটি পুনরায় রাগতস্বরে বলল-“যখন আপনারটেনশন না থাকে তখন উপদেশদেয়া সহজ ই !!”এরপর ডাক্তার সাহেব সার্জারির রুম এ চলে গেলো,২ ঘণ্টার মত লাগলো,শেষে হাসি মুখে ডাক্তার হাসি মুখে বেরহয়ে এলেন,”আলহামদুলি ল্লাহ অপারেশনসফল”এরপরলোকটির উত্তরেরঅপেক্ষা না করেই ডাক্তারআবারবলে উঠলেন-“আপনার কোন প্রশ্নথাকলে নার্স কে জিজ্ঞেস করুন”,বলে তিনি চলে গেলেন ।এরপরলোকটি নার্সকে বললেন- “ডাক্তার এত ভাব নেন কেন?তিনি কি আর কিছুক্ষণএখানে দাঁড়াতে পারতেন না?যাতে আমি ওনাকে আমারসন্তানএর ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতাম ।
“নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেনআরজানালেন- ডাক্তার এরছেলে আজ সকালে মারা গেছেনরোড এক্সিডেন্ট এ,তিনি আপনার ফোন পেয়েওনারছেলেরজানাজা থেকে উঠে এসেছেন ,এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন-কবর দিতে । নৈতিক শিক্ষা :-একজন মানুষ কে কখনো তারবাইরের আচরণ দেখে যাচাইকরবেন না, কারণআপনি কখনইজানেন না তিনি কিসেরমাঝে আছেন ।শেয়ার করতে ভুলবেন না ।