পেছনের ইতিহাস : ১৯০৯ সালে ফ্রীল্যান অস্কার স্ট্যানলী ( স্ট্যানলী স্টীমার অটোমোবাইল এর প্রতিষ্ঠাতা ) এই হোটেলের ন
ির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন । ১৪০ টি রুম সম্বলিত এই হোটেলটি সম্ভবত বেশী খ্যাতি পেয়েছে স্টীফেন কিং এর দি শাইনিং বইটির মাধ্যমে । যা তিনি লিখেছিলেন স্ট্যানলী হোটেলের ২১৭ নং রুমে থাকার পর । কিং তার নভেলটি সেখানে বসে লিখেন নি এমনকি স্ট্যানলী কাব্রিক ১৯৮০ সালে যে মুভি তৈরি করেন তার শুটিং ও সেখানে হয়নি । তবে দি শাইনিং নামে যে টিভি মুভিটি হয়েছিল তার শুটিং সেখানে হয়েছিল । বর্তমানে এই হোটেলটি গোস্ট হান্টারদের জন্য খুবই চমৎকার । এমনকি হোটেল কর্তৃপক্ষ টুরিস্টদের কাছে ভূত দর্শনের অফার দিয়ে থাকেন !!!
ভৌতিকতা : অনেক ভৌতিক অভিজ্ঞতার কথা শোনা যায় এই হোটেলে যারা থাকতে আসেন তাদের কাছ থেকে …
# ফ্রীলেন স্ট্যানলী এবং তার স্ত্রী ফ্লোরাকে প্রায় অনেক টুরিস্টই দেখেছেন পার্টির পোশাক পড়া অবস্থায় । হোটেলের অনেক জায়গায়ই তাদের দেখা গিয়েছে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার দেখা গিয়েছে বিলিয়ার্ড রুমে এবং হোটেলের লবিতে ।
# মিস্টার স্ট্যানলীকে অনেক বার দেখা গেছে হোটেলের প্রশাসনিক রুমে সেখানে বসে বসে তিনি হোটেলের মেনু দেখছিলেন । তার স্ত্রী মিসেস ফ্লোরাকে দেখা গিয়েছে হোটেলের বল রুম এ বসে বসে পিয়ানো বাজাচ্ছেন ।
# হোটেলের হলওয়ে এবং কিছু কিছু রুম থেকে মাঝে মাঝে অদৃশ্য পায়ের আওয়াজ এবং খুব অদ্ভুত গলায় কথা বলার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় ।
# হোটেলের স্টাফ এবং টুরিস্টরা মাঝে মাঝে অভিযোগ করেন কে যেন হঠাৎ হঠাৎ তাদের জামা টেনে ধরে রাখে ।
# একবার একজন অভিযোগ করেন যে তারা রাতে চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমিয়েছিলেন কিন্তু রাতে উঠে দেখেন কে যেন তার চাদর খুলে নিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছেন ।
# হোটেলের অন্যতম ভুতুরে রুম হল রুম ৪০৭ । স্ট্যানলীর আগে যিনি ওই হোটেলের জমির মালিক ছিলেন বলা হয়ে থাকে তিনি ওই রুমটিকে ভূতুরে করে রেখেছেন । তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের অত্যন্ত ধনিক সম্প্রদায়ের লোক তার অভিজাত পাইপের অভিজাত তামাকের ঘ্রান এখনও নাকি ওই রুমে পাওয়া যায় । একবার ওই রুমের জানালায় একটি চেহারা ভেসে উঠেছিল যা ছিল ওই জানালার সমান যদিও তখন ওই রুমে কেউ ছিলেন না ।
# এবার রুম ২১৭ এর পালা যেখানে মিস্টার স্টীফেন কিং থেকে ছিলেন । এখানে একবার এক হোটেল পরিচারিকা একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যায় ১৯১১ সালে । এরপর থেকে ওই রুমে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় । এই রুমের দরজা নিজে নিজে খুলে ও বন্ধ হতে দেখা যায় , এছাড়াও ওই রুমের লাইট নিজে নিজে জ্বলে ও নিভে যেতে দেখা যায় ।
# রুম নং ৪১৮ হোটেলের সবচেয়ে ভয়ানক রুম নামে খ্যাত এই রুম । এই রুম থেকে রাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের কান্না , হাসি , খেলাধুলার শব্দ পাওয়া যায় । একবার এক দম্পতি রাতে ওই রুমে থাকেন পরদিন তারা অভিযোগ করেন যে তারা রাতের বেলা হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে শুনতে পান যে অনেক ছেলেমেয়ে একসাথে খেলাধুলা করছে তারা সারারাত ওই শব্দ শুনতে পান এবং ঘুমাতে পারেননি যদিও ওই রুমে তখন কোন বাচ্চা ছেলেমেয়ে ছিল না । এছাড়াও তারা যখন বিছানা ছেড়ে দাড়িয়ে ছিল তখন বিছানার মধ্যে এক ধরনের চাপের দাগ দেখতে পান যেন কোন অদৃশ্য কেউ ওই জায়গায় শুয়ে আছে ।
# এছাড়াও ছোট একটি বাচ্চার আত্মা প্রায় সময় নাকি দোতলার বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় তবে একা নয় সাথে স্টীফেন কিং ও থাকেন!!!
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।