এটি একটি সত্যি ঘটনা। আমার দাদার বাবা ছিলেন কলকাতার ভবানিপুরের জমিদার। কিন্তু হিন্দু-মুসলিম মারামারির সময় আমার এক চাচা চিকেন পক্সে মারা যান। তখন আমার দাদারা অনেক চেষ্টা করেও তাকে কবর দিতে পারছিলেন না কারণ তারা বলছিল এইটা হিন্দুস্থান তাই লাশ
প্লেন ভাড়া করে তার নিকট আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসলেন এবং এইখানে এসে আমার চাচার কবর দিলেন। কিন্তু নওয়াবপুরের সেই বাড়িটি ছিল একটা হিন্দু বাড়ি আর সেই বাড়ির পিছনে একটা কুয়া ছিল যার মধ্যে অনেক লাশ রাখা ছিল। দাদারা এসে এইসব পরিষ্কার করেন আর বাড়িভর্তি হিন্দুদের যেসব মূর্তি ছিল সেইসব মূর্তি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু ওই বাসায় যে সমস্যা ছিল তা কেউ বুঝতে পারে নি। প্রতিদিনই ঐখানে কিছু না কিছু ঘটত। যেমন রাতে এমনকি মাঝে মাঝে ভর দুপুরে লোহার বল দিয়ে কেউ খেলত। কেউ অসুস্থ হলে বাসার চারিদিকে খালি পচা-গলা মাংস দেখতে পেতো! কিন্তু সব চাইতে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আজকে আমি সবার সাতে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
একদিন সন্ধ্যা বেলা আমার বড় চাচা, আববু আর আমার দুই ফুপি পড়ছিলেন। দাদী তাদেরকে পড়তে দিয়ে তার ভাই এর বাসা যেটা ওই বিল্ডিঙেরই দোতালায় ছিল সেইখানে ঘুরতে গেলো। আর আববুদের বলল পড়ে শেষ করে রাখতে। দাদী চলে যাওয়ার একটু পড়েই আববুরা হঠাৎ দেখল দাদী দরজার কাছে হাঁটু গেড়ে বসে আছে আর আববুদের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত ভাবে হাসছে!! এইটা দেখে আমার বড় চাচা সহ সবাই খুব ভয় পেয়ে গেলো! আমার চাচা বার বার বলতে লাগলো “মা,তুমি এমন করছ কেন!আমরা কিন্তু খুব ভয় পাচ্ছি!! প্লিজ মা বলো তুমি এমন কেন করছ!” কিন্তু দাদু কোন কথার উত্তর না দিয়ে হাঁটুর উপর ভর করে আস্তে আস্তে আববুদের দিকে আগাতে লাগলো। আববুরা বার বার মানা করা সত্ত্বেও সে ভয়ঙ্কর একটা হাসি দিয়ে আববুদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো! একটা ভয় যেন সবার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেলো। যখন জিনিসটা বিছানার একদম কাছে চলে আসলো তখন ভয়ে বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসাবে তারা শেষবার একটা চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলো এবং হঠাৎ তারা দেখতে পারল দরজায় দাদী দাঁড়িয়ে আছে আর বিছানার কাছে জিনিসটা আর নাই ! তখন আমার বড় চাচা দাদীকে জিজ্ঞাসা করলো যে, সে কেন এমন করে তাদের ভয় দেখাচ্ছিল? তখন সে বলল, “এমনিই..এইটা দেখার জন্য যে তোমরা ঠিক মত পড়ছ কি না।”
পরবর্তীতে আববুরা বড় হওয়ার পড়ে আমার দাদী শিকার করেছিল যে এইটা আসলে সে ছিল না কিন্তু আববুরা ছোট ছিল তাই সে তাদের ভয় দেখাতে চায় নি বলে তখন মিথ্যা বলেছিল…
পরবর্তীতেও অনেক ঘটনা ঘটে সেই বাড়িতে। যার কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি কোনোদিন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।