বড় আলিম জ্বিনদের মধ্যে না মানব সমাজে
বর্ণনায় আলী বিন সারাহঃ একবার কতিপয় জ্বিন একত্রিত হয়ে বলে, আমাদের আলিম মানুষের আলিমের চাইতে বড়। কেউ কেউ এর বিপরীত মতও ব্যক্ত করে। শেষ পর্যন্ত ওরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য মানুষ আলিম কাইফ বিন খসআমের কাছে যেতে মনস্থ করল। সেখানে তখন এক বৃদ্ধ বসেছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা এখানে কেন এসেছ?
জ্বিনরা বলল, আমাদের একটা উট হারিয়ে গেছে। তাই আমরা আপনার কাছে এসেছি, যাতে মেহেরবানী করে উটটা খুঁজে দেন।
বৃদ্ধ বলল, আমি খুব দুর্বল হয়ে গেছি। আর আমার মন-মগজও আমার দেহের অংশ বিধায় তাও দেহের মতো দুর্বল হয়ে গেছে।
জ্বিনরা বলল, আপনি এই অবস্থায় আমাদের সঙ্গে চলুন এবং আমাদের উটটা খুঁজে দিন।
বৃদ্ধ বললেন- আমি আমার অবস্থার কথা খুলে বললাম তো। তা সত্ত্বেও তোমরা এমন জিদ করছ কেন! আচ্ছা তোমরা আমার ওই খোকাকে নিয়ে যাও। ও তোমাদের উট দেখিয়ে দেবে।
সুতরাং জ্বিনের দল সেই বাচ্চাকে নিয়ে তাবু ছেড়ে বের হল। কিছুদূর যাবার পর তাদের সামনে দিয়ে একটি পাখি গেল। পাখিটা উড়ার সময় তার একটা ডানা উপরের দিকে আর একটা ডানা নিচের দিকে করল। অমনি সেই বাচ্চাটি দাঁড়িয়ে গিয়ে বলে উঠল- ওহে লোক সকল! আল্লাহকে ভয় করো। আমি ছাড়া অন্য কেউ তাকে স্মরণ করছে না। আমি তো ছোট বাচ্চা। অথচ তোমরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আর আমাকে ছেড়ে দাও।
জ্বিনরা বলল- ব্যাপারটা কি? কি এমন ঘটল, অন্তত আমাদের বলো, আমরা শুনি।
বাচ্চাটা বলল- তোমরা ওই পাখিটাকে দ্যাখোনি, যেটা তোমাদের সামনে দিয়েই তো গেল। ওই পাখিটা একটা ডানা তুলেছে এবং অন্য ডানা নামিয়েছে। এর মাধ্যমে ও আমাকে আসমান ও জমিনের প্রভূর কসম করে বলেছে যে, তোমাদের উট হারায় নি। তাই নিশ্চয়ই তোমরা জ্বিন। মানুষ নও।
জ্বিনরা তখন বলে উঠল- আল্লাহ তোমাকে ঘৃণিত করুন। যাও তোমার বাবার কাছে যাও (অর্থাৎ প্রকৃত পক্ষে বড় আলিম আছে মানব সমাজে)।