বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) – পর্ব ৭

বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) – পর্ব ৬ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মাদ্রাসার অধক্ষ্য পদেঃ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় হযরত আবু সাঈদ মাখদুমী রাহেমাহুল্লাহু কর্তৃক তাঁর মাদ্রাসার অধক্ষ্য পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মাহবুবে সোবহানী হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) উচ্চ পর্যায়ের যোগ্যতার সহিত শিক্ষা প্রদান করতে লাগলেন। অল্পদিনের মধ্যেই তার সুযোগ্য শিক্ষা পদ্ধতির খ্যাতি সারা বাগদাদ শহরে ছড়িয়ে পড়ল। বহু দূর-দূরান্ত থেকে দলে দলে ছাত্র পঙ্গপালের মতো ছুটে আসতে লাগল এবং তার নিকট হতে শিক্ষা এবং ফায়েজ লাভ করতে লাগল। আস্তে আস্তে মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা অনুপাত স্থান খুবই সংকীর্ণ হয়ে পড়ল। বড়পীর সাহেব সর্বদা তাফসীর, হাদিস, এলেম নাহু এলমে ছরফ এবং উসুলে ফেকাহর তালীম প্রদানে মশগুল থাকতেন। যাই হোক সুনাম সুখ্যাতির সাথে মাদ্রাসার শিক্ষকতা কাজ করেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসীম রহমতে অল্পদিনের মধ্যেই মাদ্রাসাটির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। বহু দূরের ছাত্ররা এসে ভর্তি হতে লাগল। সত্যি! আস্তে আস্তে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে বড়পীর সাহেবের সুনাম সুখ্যাতি আরও ছড়িয়ে পড়ল। মাদ্রাসার ছাত্রদের জায়গা দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়ল। বড়পীর সাহেব চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলেন কিভাবে মাদ্রাসার ঘর বৃদ্ধি করা যায়। ইচ্ছে করলেই তো আর বাড়ানো যায় না, এ জন্য অর্থের প্রয়োজন। মাহবুবে সোবহানী গাউসুল আযম হযরত বড়পীর সাহেব একটি দিন এক বিরাট মজলিসে ব্যাপারটা তুলে ধরে সাহয্যের আবেদন সত্যি কথা বলতে কি তার কথায় সকলের সাড়া দিল ধনী গরীব স্তরের লোক অংশ গ্রহণ করলেন।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) – পর্ব ৮ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।