বেগম সাহেবার জুতা সোজা করার বরকত

মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সাহেব ভূপালে থাকতেন। একবার সে এলাকার নয়াবের বেগম সাহেবা বিনা প্রয়োজনে তার সঙ্গে দেখা করতে আসলেন। প্রয়োজন শেষে যখন তিনি বিদায় হবেন, তখন মাওলানা সাহেব বেগম সাহেবার জুতা সোজা করে তার সামনে এগিয়ে দিলেন।

বেগম সাহেবা খুব লজ্জিত হলেন এবং বললেন, “আপনি দেখছি আমাকে গুনাহগার করলেন।”

মাওলানা সাহেব বললেন, “আপনাকে আমি জ্ঞানী ব্যক্তি ভেবেই এভাবে জুতাগুলো সোজা করে দিয়েছি।”

বেগম সাহেবা বললেন, “কীভাবে আমি জ্ঞানী হলাম?”

মাওলানা সাহেব বললেন, “আমি আপনার শহরে এতদিন যাবত (হিন্দু কু-সংস্কার অনুযায়ী নাবালিকা অবস্থায়) বিধবা বিবাহের জন্য উৎসাহ দিয়ে ওয়াজ করছি; কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি বিধবারও বিয়ে হয়নি। এ হলো আমার কেরামতি। এখন আপনি একবার নিজের কেরামতি পরীক্ষা করে দেখুন। শুধুমাত্র একটি সাধারণ নির্দেশ ঘোষণা করে দিন। এরপর দেখুন একজন বিধবাও বিয়ে না থাকবে। তখন আমার কেরামতি আপনার কেরামতির সাথে তুলনা করবেন।”

বেগম সাহেবা ছিলেন বুদ্ধিমতী এবং দীনদার। পরদিন সকালে তিনি দরবারে বসেই নির্দেশ দিলেন যে এ সময়সীমার মধ্যে কোন সন্তানহীনা বিধবা বিবাহ না করে থাকতে পারবে না; অন্যথায় কঠোর শাস্তি হবে।

তারপর দেখলেন, মাত্র দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই সকল (সন্তানহীনা) বিধবার বিবাহ হয়ে গেল।

মাওলানা সাহেবের কৌশল কিভাবে কার্যকর হলো, দেখুন। তার সরলতা হলো, তিনি জুতা সোজা করে দিতে দ্বিধা করলেন না। ফলে বেগম সাহেবার দ্বারা এত বড় একটা দীনী খেদমত সম্পন্ন হলো, যা অন্য কোনোভাবে সম্ভব হতো না।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!