বিশিষ্ট এক বুজুর্গের ঘটনা

হযরত আলী ইবনে ইয়াহইয়া এক গ্রন্থে বলেছেন, একবার আমি আসকালানের এক বুজুর্গের সান্নিধ্যে রইলাম। তিনি মাত্রাতিরিক্ত ক্রন্দন করতেন এবং খুব বেশী ইবাদাত করতেন।

তিনি অত্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন, রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করতেন। আর দিনের বেলা নেক কাজে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি তাঁর অধিকাংশ দোয়াতে তওবা করতেন।

একদিন তিনি  লিকাম পাহাড়ে এক গর্তে প্রবেশ করলেন।  সন্ধ্যাকালে পাহাড়ী হযরতদেরকে দেখলাম। তারা খুব দ্রুত এসে তাঁর কাছে দোয়া ও বরকত লাভ করেছে। সকালে তাদেরই একজন বললেন, জনাব আমাকে কিছু উপদেশ দিন তিনি তখন বললেন, ইবাদাতের ত্রুটি বিচ্যুতির ক্ষেত্রে ওযর আপত্তি পেশ করো, তোমার ওযর আপত্তি কবূল হয়ে গেলে ক্ষমার ব্যাপারে উন্নত হয়ে গেলো।

তথায় তোমাকে জান্নাতের  উঁচু স্থানে জায়গা করে দেয়া হবে। সেখানে তোমার সব আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। এরপর তিনি ক্রন্দন করতে লাগলেন এবং খুব জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলেন অতঃপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন। এর অল্প দিন পরই তিনি ইন্তেকাল করেন।

হযরত আলী ইবনে ইয়াহইয়া বলেন, মৃত্যুর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম জনাব আল্লাহ তা’আলা আপনার সাথে কিরুপ আচরণ করছেন? জবাবে তিনি বললেন, আমার প্রিয় দোস্ত কোন গুনাহগার আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলে কোন ওযর পেশ করলে তাকে মাফ না করা ও তাঁর ওযর কবূল না করা আল্লাহর বিধান নয়। তিনি অত্যন্ত দয়াবান, আল্লাহ পাক আমার ওযর কবূল করেছেন এবং আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আর এ লিকাম পাহাড়ের সকলের জন্য সুপারিশ  করতে আমাকে কবূল করেছেন।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।