বিনয়ের সুফল
বনী ইসরাইলের এক ব্যক্তি ক্রমাগত চল্লিশ বছর পর্যন্ত চুরি ও রাহাজানী করে কাটিয়ে দেবার পর একদিন একজন আবেদ সহচরসহ কোথাও যাচ্ছিলেন। চোর মনে মনে ভাবল, আল্লাহ্র নবী আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে পেছনে একজন আবেদও যাচ্ছেন, এক্ষণে আমিও যদি সেই আবেদের সঙ্গী হতে পারি তবে নিশ্চয় আমিও ভাগ্যবান হব। মনে মনে এ কল্পনা হওয়ার সাথে সাথে সে তাদের দিকে এগিয়ে গেল। কিন্তু ঈসার (আঃ) অনুগামী সেই আবেদের নিকটবর্তী হওয়ার পরই সে ভাবল আমি একজন গোনাহগার বান্দা, আর হযরত ঈসা (আঃ) এর এ সহচরটি আল্লাহ্র একজন প্রিয় বান্দা। সুতরাং তাঁর সমান সমান হয়ে চলা আমার পক্ষে বেয়াদবী হবে। অতঃপর সে আবেদের সম্মান করে তাঁর পেছনে পেছনে হাটতে লাগল।
এদিকে হযরত ঈসা (আঃ) এর সহচর সে আবেদ যখন দেখতে পেলেন যে, তাঁর পেছনে এক চোর এগিয়ে আসছে তখন তিনি ভাবলেন, চোর আমার সমান হয়ে এক সাথে হাটতে আমার ইজ্জতের হানি হবে, সুতরাং তিনি দ্রুতপা চালিয়ে হযরত ঈসা (আঃ)এর বরাবর হয়ে এক সাথে চলতে লাগলেন আর চোর দুরত্ব বজায় রেখে তাদের পেছনে পেছনে আসতে লাগল।
বর্ণনাকারী বলেন, এসময় আল্লাহ্ পাক ওহী পাঠিয়ে হযরত ঈসা (আঃ) কে বললেন, হে ঈসা! আপনি ঐ দুব্যক্তিকে বলে দিন যে, তাদের উভয়ের অতীতের সকল আমল বাতিল করে দেয়া হয়েছে। এখন যেন তারা নতুনভাবে আমল শুরু করে। আপনার সহচর আবেদের আমল এ কারণে বাতিল করা হয়েছে যে, সে মনে মনে অহংকার করেছিল। আর ঐ গুনাহগার অতীতের সমুদয় পাপ একারণে মিটিয়ে দেয়া হয়েছে যে, স্বীয় অপরাধ বৃত্তির কথা কল্পনা করে সে নিজেকে হীন মনে করে আবেদের ইজ্জত করেছে।
অতঃপর হযরত ঈসা (আঃ) তাদেরকে ঐ সংবাদ জানিয়ে দিয়ে সেই চোরকে নিজের সাথে নিয়ে গেলেন।