আকবর বাদশার পুত্র সেলিমের সঙ্গে মন্ত্রিপুত্রের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব জন্মেছিল। সবসময়ই তারা একসঙ্গে থাকতেন, হাস্য পরিহাস করতেন। একেবারে এক আত্মা, এক প্রাণ। দু’জন দু’জনকে ছেড়ে থাকতে পারতেন না। খাওয়া, ওঠাবসা সবসময়ই করতেন একসঙ্গে। কিন্তু ওঁদের এত বন্ধুত্ব বাদশার ভাল লাগত না। একদিন তিনি বীরবলকে ডেকে বললেন, ‘বীরবল, সেলিমের সঙ্গে মন্ত্রিপুত্রের এত ভাব আমার ভাল লাগছে না। তুমি ওদেরকে যে কোনও প্রকারে আলাদা করে দাও। বীরবল বললেন, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন জাঁহাপনা, আমি ওদের বন্ধুত্ব নষ্ট করে দিচ্ছি। এর জন্য আপনাকে কোনও ভাবনাচিস্তা করতে হবে না।’
সেলিম ও মন্ত্রিপুত্র একদিন বসে গল্প করছিলেনভ বীরবল গিয়ে সেলিমের কানের কাছে মুখ নিয়ে শুধু ফুসফুস করে শেষে বললেন, ‘যে-কথা বললাম কাউকে যেন সে কথা বোলো না।’ বীরবল চলে যেতেই মন্ত্রিপুত্র সেলিমকে জিজ্ঞেস করলেন, উনি কী বলে গেলেন? আবার যাওয়ার সময় বলে গেলেন—না বলতে।’ সেলিম বললেন, কিছুই না, শুধু ফুসফুস করলেন। সত্যি বলছি, আর কিছু বলেননি। মন্ত্রিপুত্র সে-কথা বিশ্বাস করলেন না। জরুরি কাজ আছে বলে উঠে চলে গেলেন। মন্ত্রিপুত্র মনে মনে ভাবলেন হয়তো ওঁরই সম্বন্ধে বীরবল কিছু বলতে মানা করছেন। সেলিম কিন্তু সেজন্যই বলছে না। এরপর থেকেই কোনওদিনই আর ওঁদের দু’জনকে একত্রে দেখা যেত না। মন্ত্রিপুত্র আর একেবারেই আসতেন না।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।