
একদিন একটা বাঁদর গাছের ডালে বসে ছিল। হঠাৎ এক পাতিহাঁস এসে বলল,
— প্যাঁক প্যাঁক, বাঁদর ভাই, তুমি কোথায় যাচ্ছ?
বাঁদর উত্তর দিল,
— আমি গাছে যাচ্ছি। তুই কি আমার সঙ্গে উপরে আসবি?
পাতিহাঁস মাথা নাড়িয়ে বলল,
— না না, যাব না। আমার অনেক কাজ আছে।
বাঁদর জানতে চাইলো,
— কী কাজ তোর?
পাতিহাঁস বলল,
— আমার রান্না আছে, রান্নাঘর পরিষ্কার করতে হবে, তারপর বেবীকে ঘুম পাড়াতে হবে। সব কাজ শেষ হলে আমি আসবো।
এই কথা বলে পাতিহাঁস নিজের ঘরে ফিরে গেল। ঘরে ঢুকে দেখে, তার ছোট্ট হাঁসবাচ্চা মনের আনন্দে খেলছে। কিছুক্ষণ পর হাঁসবাচ্চার বাবা এসে হাজির। তখন হাঁস মা রাগ করে বলল,
— তুমি মুলো নিয়ে আসনি কেন? গাজর নিয়ে আসনি কেন? বেগুন, ঢেঁড়স, মাশরুম, পেঁপে—কিছুই আনোনি! আমি তাহলে রান্না করব কী দিয়ে?
বাধ্য হয়ে হাঁসবাচ্চার বাবা দৌড়ে বাজার থেকে সবজি নিয়ে এল। এরপর হাঁস মা রান্না করল, আর সবাই মিলে খেতে বসল। হাঁসবাচ্চা খেয়ে আনন্দে চিৎকার করে বলল,
— উফ্! কী মজাদার হয়েছে! বাবা, তুমি এত তাড়াতাড়ি সব আনলে কী করে?
ঠিক তখনই জানালার পাশে লুকিয়ে থাকা বাঁদরটা গাজরের হালুয়ার গন্ধে লোভ সামলাতে না পেরে একটুখানি চেখে দেখল। আহা! কী দারুণ স্বাদ! কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বাঁদরটা জানালায় আটকে গেল।
একটু পরে বাঁদরের মা এসে তাকে জানালায় আটকে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে উঠল,
— বাঁদরের বাবা কোথায়? আজ ও যখন বাড়ি আসবে, তখন খুব মার খাবে!
শেষমেশ বাঁদরটা বাড়ি ফিরে প্রচুর মার খেল।