বন্ধুত্ব

বিশাল নদী।তাতে বাস করে এক কুমির।নদীর কুল ঘষে বেড়ে উঠা এক বিশাল বৃক্ষ।তাতে বাস করত এক বানর।দুই ভবনের দুই বাসিন্দা দূর থেকে একে অপরের দেখা।তার পর পরিচয় অতপর বন্ধুত্ব ও অন্ত রঙ্গতা।প্রতিদিন চলে উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময়।চোখের ইশারায় চলে প্রেমের আবেদন ও নিবেদন।সম্পর্ক গড়িয়ে গেল গভীর বন্ধুত্বে।বানরের মধ্যে সরলতা থাকলেও কুমিরের মধ্যে কোন সরলতা ছিল না।তার মধ্যে ছিল লোলুপ দৃষ্টিএ বানর কে খাদ্য হিসাবে গিলে খাওয়া এক সুপ্ত বাসনা।
দিন গড়িয়ে রাত আসে আবার রাত গড়িয়ে ভোর হয়।কুমির প্রতিদিনই তাকে কাবু করার ফন্দি আঁটতে থাকে। একদিন সে বানর কে প্রস্তাব দিল দোস্ত কতদিন আর গাছের এডালে-ওডালে ঘুরে বেড়াবে।আবার আমাদের নদীটাও ঘুরে আস।কীভাবে বন্ধু!বানরের প্রশ্ন!কুমির বলল,তুমি আমার পিঠে চড়বে আর আমি তোমাকে পুর নদী ঘুরে দেখাব।এতে দুই বন্ধুর মিলন ঘটবে,ঘোরাও হবে।মজাতো হবেই।সহজ সরল মনে বানর কুমিরের কথায় রাজি হয়ে গেল।একলা পেয়ে বানর কুমিরের কথায় রাজি হয়ে গেল।আহ!কি মজা।এ প্রথম নদী ভ্রমণ।যা বানরের একটা স্বপ্নও বটে।যখন নদীর মাঝখানে পৌছল তখনি ঘটল বিপত্তি।কুমির তার হিংস্র চেহারা নিয়ে হাজির।গম্ভীর কণ্ঠে বলল,আমার ক্ষিদে পেয়েছে আমি তোমার কলিজা খাব।বানর তো অবাক! বলে কি?আমার কলিজা খাবে।তিলে তিলে ঘড়া সম্পর্কের এটাই পরিনিতি।বানরের বুঝতে আর দেরি হল না।এটা কুমিরের ভালবাসা ছিল না।ছিল নিচক একটা ধোকা তাই বলে এভাবে জীবন দিয়ে দিব।বানর তো জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পাত্র নয়।মুহুর্তে বুদ্ধি পাকিয়ে বলল,আরে দোস্ত তুমি আমার কলিজা খাবে এটাতো আনন্দের কথা।খুশির বিষয়।বন্ধু বন্ধুর জন্য জীবন দেবে না তাহলে দেবে টা কে?তবে তা তুমি আগে বলবে না?কলিজা তো আমি গাছে রেখে এসেছি।চল,আমি এক্ষুনি গাছ থকে তোমার কলিজা এনে দিব।বানরের এ কথা বিশ্বাস করে কুমির বানর কে নিয়ে ছুটল গাছের দিকে।যখনি গাছের কাছে আসল বানর তখন এক লাফে গাছে গিয়ে উঠল। আর তিরস্কার করে বলতে লাগল,বোকা কুমির,কলিজা কি কখনো গাছে থাকে?কুমিরের অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।অতপর রাগে খোপে পানির নিচে আত্নগোপন করল।অবসান হলো বন্ধুত্বের।

উপদেশঃ আজ ইয়াহুদী নাছারা আমাদের দিকে বন্ধুত্বের হাট বাড়িয়ে দিচ্ছে।যা কুমিরের ন্যায় মুলতঃবন্ধুত্ব নয়।নিচক এক ধোকা।যার উদ্দেশ্য মসুলমানদের ধ্বংস করা।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!