বনু নাযিরের ঘটনা – শেষ পর্ব

তাহাদের সহিত চুক্তিবদ্ধ হইতে অবসর হইয়া নবী কারীম (সাঃ) পুনরায় বনু নাযীরের নিকট আসিলেন। তাহারা চুক্তিবদ্ধ হইতে সম্মত না হওয়ার কারণে তিনি তাহার সহিত যুদ্ধ করিলেন। অবশেষে তাহারা দেশান্তরিত হওয়ার শর্তে সন্ধি করিল। ইহাও শর্ত করা হইল যে, অস্ত্র ব্যতিত নিজেদের উটের পিঠে যাহা কিছু সামান পত্র লইয়া যাওয়া সম্ভব হয় তাহা লইয়া যাইতে পারিবে

শর্তানুসারে তাহারা সবকিছু উটের পিঠে তুলিয়া লইতেছিল। এমনকি নিজেদের ঘরের দরজা পর্যন্ত উঠাইয়া লইল। এইভাবে তাহারা নিজ হাতে নিজেদের ঘর-দোর ভাঙ্গিয়া নষ্ট করিয়া প্রয়োজনীয় কাষ্ঠখণ্ডাদি উঠাইয়া লইতেছিল। সিরিয়ার দিকে ইহাই তাহাদের প্রথম নির্বাসন ছিল।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী কারীম (সাঃ) বনু নাযীরের অবরোধ বহাল রাখিবেন। অবস্থা চরমে পৌঁছিলে তাহারা রাসূল (সাঃ)-এর সকল শর্তাদি মানিতে বাধ্য হইল। নবী কারীম (সাঃ) তাহাদের সহিত এই মর্মে চুক্তি করিলেন যে, তাহাদিগকে হত্যা করা হইবে না, কিন্তু তাহারা নিজেদের এলাকা ও দেশ ছাড়িয়া সিরিয়ার আযরাআত নামক তাহারা স্থানে চলিয়া যাইবে এবং সেখান বসবাস করিবে। নবী কারীম (সাঃ) তাহাদের প্রতি তিনজনকে একটি উট ও একটি পানির মশক লইয়া যাওয়ার অনুমতি দিলেন।

হযরত মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) তাহাকে বনু নাযীরের নিকট প্রেরণ করিয়াছিলেন এবং বনু নাযীরের তিন দিনের ভিতর দেশত্যাগের কথা জানাইয়া দিতে বলিয়াছিলেন।

ইবনে সা’দ (রহঃ)এর রেওয়াতে আছে যে, রাসূল (সাঃ) হযরত মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাঃ)কে বনু নাযীরের নিকট এই নির্দেশ দিয়া পাঠাইলেন যে, তোমরা আমার শহর হইতে বাহির হইয়া যাও। তোমরা যখন আমার সহিত বিশ্বাসঘাতকতার ইচ্ছা করিয়াছি তখন আমার সহিত একত্রে বসবাস করিতে পারিবে না। আমি তোমাদিগকে এখান হইতে চলিয়া যাওয়ার জন্য দশ দিনের সময় দিলাম।

সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।