বনু নযীর যুদ্ধ

মদিনার ইহুদী ছিল বনু নযীর কায়নুকা এ দু’গোত্রেই।  তাঁদেরকে দেশান্তরিত করা হয়, কারণ তাঁরা সন্ধি ভঙ্গ করেছিল।  আর তাঁদেরকে দেশান্তরিত করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা এবং পরামর্শের জন্য বিরাট ভূমিকা ছিল হযরত ওমর (রাঃ) এর।  বদর আর ওহুদ যুদ্ধের মাধ্যমে মুশরিকগণ পরাজয়ের পর তাঁরা নতুন করে পরিকল্পনা নেয় যে মুশরিকরা এমন এক শক্তশালী বাহিনী তৈরি করবে যাতে করে মদীনা হতে মুসলমানদের একেবারে শেষ করে দেয়া যায়।  আর এ বাহিনীতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। 

ইয়ালাতুল খিফা, তবকাতে ইবনে সাদ, বুখারি শরীফে বর্ণনা করে হয়েছে যে, ৫ম হিজরী সনে এক বিরাট বাহিনী মোকাবেলায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাহাবীদের বুদ্ধিতে এক বিরাট পরিখা খনন করলেন।  এ খনন কার্যে অংশ গ্রহণ করলেন হযরত ওমর (রাঃ) এবং অপরাপর সাহাবীগণ। 

হযরত ওমর (রাঃ) ছিলেন এ যুদ্ধের যে কয়েকজন মহান সাহাবী খুব বীরত্ব দেখিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।  হযরত ওমর (রাঃ) এ যুদ্ধের সময়ে একদা মুহাম্মদ (সাঃ) এর খেদমতে এসে বললেন, আমাকে আজ দুশমনরা আসরের নামায পড়ার সময় পর্যন্ত দেয়নি।  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তখন বললেন, আমাকেও দেয়নি।  হযরত ওমর (রাঃ) এ যুদ্ধে যে বীরত্বের প্রদর্শন করেছেন তা বর্ণনা শেষ করা যাবে না।  তাঁর বীরত্বের তুলনা করা যায় না।  তিনি ইতিহাসে এ বীরত্বের জন্য স্মরণ হয়ে থাকবেন। 

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।