বকরীটি মালিকের অনুমতি ছাড়া আনা হয়েছে
হযরত আছিম বিন কুলাইব হতে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সাঃ) এক আনসারীর নামাযে জানাজায় তাশরীফ আনলেন। মাইয়্যেতকে দাফন করার পর তাঁর স্ত্রী নবী করীম (সাঃ) কে দাওয়াত করলেন। তিনি দাওয়াত গ্রহণ করে মহিলার ঘরে আহার করতে বসলেন।
কিন্তু প্রথম গ্রাস মুখে তুলেই তিনি বলে উঠলেন, এটা যে বকরীর গোশত সে বকরীটি মালিকের অনুমতি ছাড়া আনা হয়েছে। গৃহকর্ত্রী গোশতের ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, আমি নকী নামক বকরীর হাটে এক ব্যক্তিকে বকরী ক্রয়ের জন্য পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু সেখানে কোন বকরী পাওয়া যায়নি। অতঃপর আমার প্রতিবেশীর নিকট পাঠালাম, সে সম্প্রতি একটি বকরী ক্রয় করেছিল।
কিন্তু প্রতিবেশী তখন বাড়ীতে ছিলেন না। সুতরাং তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে তার স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বকরী দিয়ে দেয়। ঘটনা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, এ গোশত বন্দীদেরকে খাওয়িয়ে দাও। তাদের মধ্যে কেউই মুসলামান ছিলেন না। কেননা মুসলমানদের জন্য এটা খাওয়া জায়েজ নেই।
বকরী ক্রয়ের বিষয়টি একান্তই গোপন ছিল। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে কেউই কোন সংবাদ দেয়নি। কিন্তু এ সামান্য বিষয়টিও তার অগোচর থাকেনি। তিনি পরিষ্কার বলে দিলেন, এই বকরীটি শরীয়ত সম্মত উপায়ে ক্রয় করা হয়নি। এখানে এটাই তার মু’যিযা। কোন খাদ্য দ্রব্য তিক্ত না মিষ্ট অর্থাৎ তার স্বাদ কেমন তা সকলেই অনুভব করতে পারে। কিন্তু পয়গম্বরদের বৈশিষ্ট্য হল তারা খাদ্য-খাদকের হারাম হালালের পার্থক্য ও অনুভব করতে পারতেন। (আবু দাউদ ও বায়হাকী)