ফেরেশতাদের তিলাওয়াত শ্রবণ

হযরত আবু সাঈদ বিন খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, উছাইদ ইবনে হুজাইর (রাঃ) কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করছিলেন। তার ঘোড়াটি নিকটেই বাঁধা ছিল। হঠাৎ সে লাফালাফি শুরু করে দিল। হযরত উছাইদ তিলাওয়াত বন্ধ করে তার দিকে মনোযোগ দিলেন। সাথে সাথে ঘোড়াটি শান্ত হয়ে গেল। হযরত উছাইদ পুনরায় তিলাওয়াত করা মাত্র ঘোড়াটি পূর্বের ন্যায় লাফাতে লাগল।

উছাইদ তিলাওয়াত বন্ধ করলে ঘোড়াটিও সাথে সাথে চুপ হয়ে গেল। তৃতীয়বারও এরূপ হওয়াতে তিনি তিলাওয়াত হতে ফারেগ হয়ে তার ছেলে ইয়াহইয়াকে অন্যত্র সরিয়ে ফেললেন। সে ঐ ঘোড়াটির পাশেই ঘুমাতে ছিল। তিনি আশংকা করলেন, ঘোড়াটি আলোর ন্যায় একটি বস্তু দেখতে পেলী। তার অভ্যন্তরে অসংখ্য উজ্জল বাতি জ্বলছিল। সকালে তিনি নবী কারীম (সাঃ) এর খেদমতে সকল ঘটনা বর্ণনা করলেন। বিবরণ শুনে তিনি দুবার বল, হে ইবনে হুজাইর! কোরআন শরীফ পড়তে থাক।

ইবনে হুজাইর আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার আশংকা হল যে, ঘোড়াটি যেভাবে লাফালাফি করছে হয়ত আমার ছেলেকে পিষে ফেলবে। আমি যখন ইয়াহইয়ার নিকট গেলাম তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে একটি উজ্জ্বল ছাউনির মত দেখতে পেলাম। দেখতে দেখতে ক্রমে তা উপরের দিকে উঠে অদৃশ্য হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, উছাইদ! তুমি জান ঐ বস্তুটি কি ছিল? হযরত উছাইদ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।

তিনি বললেনঃ তোমার তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনে ফেরেশতারা তোমার নিকটবর্তী হয়েছিল। তুমি যখন তিলাওয়াত বন্ধ করে দিলে তারাও অদৃশ্য হয়ে গেল। তুমি যদি সকাল পর্জন্ত তিলাওয়াত করতে থাকতে, তবে মদীনার লোকেরা সবাই ঐ ফেরেশতাদেরকে দেখতে পেত।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!