অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অশিক্ষিত লোকেরাও যুক্তির বলে শিক্ষিত প্রতিপক্ষের স্তব্ধ করে দেয়। সত্যের পক্ষে থাকলে এ রকমই হয়ে থাকে। আর মিথ্যার পক্ষ নিলে যত বড় শিক্ষিতই হোক পরাজিত হতে হবে যেমনঃ
এক সম্পদশালী লোক ছিল। সে লেখাপড়া জানতো না। এমন কি দরখস্তও করতে পারতো না। শুধু একটি সীল বানিয়ে নিয়েছিল দস্তখতের জায়গায় সে সীলের ছাপ মেরে দিত। এভাবেই তাঁর কাজকর্ম চলতো।
একদিন সে সফরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রেল স্টেশনের দিকে যাত্রা করলো। পথে এক পাদরী তাঁর খ্রিস্টান ধর্ম সত্য হওয়ার যুক্তি দিয়ে বক্তৃতা করছিল।
পাদরী বলতে লাগলো, পৃথিবীর পাঁচ’শ কোটি মানুষের মধ্যে খ্রিস্টান দের সংখ্যাই বেশি। কাজেই খ্রিস্টানরাই আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় বান্দা হিসাবে বিবেচিত হবে বাকি সবাই পথ ভ্রষ্ট। একথা শুনে সে অশিক্ষিত লোকটির তার সওয়ারী থেকে নেমে খ্রিস্টান পাদ্রীর কাছে গিয়ে বললো, আমার সাথে ষ্টেশনে চল। সেখানে আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিব জনসংখ্যায় বেশি যারা তারা ভাল না জনসংখ্যায় কম যারা তারা ভাল।
পাদরী বললো, কেমন করে বুঝা যাবে?
লোকটি বললো, রেলগাড়ীতে ফাস্টক্লাসে লোক বেশি থাকে না থার্ড ক্লাসে বেশি থাকে?
পাদরী বললো, ফাস্ট ক্লাসে কম লোক থাকে, আর থার্ড ক্লাসে বেশি লোক থাকে।
লোকটি বললো, তেমনি আমরা মুসলমান জনসংখ্যায় কম আমরা হলাম ফাস্ট ক্লাস। আর তোমরা জনসংখ্যায় বেশি তোমরা হয়েছো থার্ড ক্লাস। পাদরী নির্বাক স্তব্ধ হয়ে গেল। আর কোন জবাব দিতে পারল না।
(ইলম ও আমল, পৃষ্ঠা-২৬৩)
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।