প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী– দ্বিতীয় অংশ

এখন শরীরটা একটু ভালো লাগছে কি!
– মৃগাঙ্ক, ব্যাপারটা কি হল বলতো! আমি তো পুরো পাজলড, মাথা ঘুরছে।
– শেখরবাবু, একটু শান্ত হয়ে আমাকে পুরো ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলবেন?
– মৃগাঙ্ক, একটা অনুরোধ রাখবে, ঘটনাটা তদন্ত করে বার করতে হবে তোমাকেই। কিন্তু পুরোপুরি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন। পুলিশকে জানানো চলবে না, নো প্রেস, এবসল্যুটলি নো পাবলিসিটি। – আর্য এবার প্রায় মৃগাঙ্কর হাতটা জড়িয়ে ধরলেন,
– জানই তো, আমি হুজ্জতি একেবারে সহ্য করতে পারিনা। তার ওপর এখনকার মিডিয়া – শুধু তাই নয়, অমিতাভ বাবুকে আমি বলে দিয়েছি। আমি চাই তুমি অন্যদের সকলকেও এই ব্যাপারে বলে দাও। কেউ যেন কিছু জানতে না পারে!

ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টা দুই কেটে গেছে, সমবেদনা জানিয়ে সকলেই চলে গেছে। অবশ্য বলা যায় আর্য তাদের যেতে বাধ্য করেছেন একরকম। শরীর খারাপের অজুহাতে এবং বিশ্রামের অছিলায়। শুধু মৃগাঙ্ক আর রজতাভ ছাড়া। ডাক্তার এসে তাঁকে দেখে গেছে, বলেছে একদম রেস্ট নিতে – যেন শুয়ে থাকলেই রেস্ট হয়!

– আপনি লেখাটার কোন কপি করেন নি, মানে জেরক্স! বা, স্ক্যান করে কম্প্যুটারে সেভ করে রাখা –
– ওরে বাবা! কি দরকার, কোনদিনই তো করিনি। পরশুই লেখাটা শেষ করলাম, তারপর আর সময় কোথায় পেলাম! অমিতাভ বাবু খুব তাড়া দিচ্ছিলেন। তাছাড়া অতো বড়ো লেখা – জেরক্স বা কপি করাও সমস্যা। কিন্তু একটা কথা বল – কার কি স্বার্থ থাকতে পারে। আমার তো কিছুই মাথায় আসছে না!!
– আচ্ছা, আপনার সঙ্গে ইদানীং কোন প্রকাশকের ঝগড়া হয়নি তো! ধরুন সবসময় আপনার ভালো লেখা নালন্দা ই কেন পাবে! এছাড়া বাড়ীর লোকেদের মধ্যে –
– নো চান্স। হরিহর অত্যন্ত বিশ্বাসী, অন্য লোকেদের ওপর ও সে ই নজর রাখে। মৃগাঙ্ক, তোমাকে কিন্তু একটা কথা দিতে হবে-
– বলুন, –
– একটু আগে যেটা বললাম, নো প্রেস, এবসল্যুটলি নো পাবলিসিটি। প্রমিস-
– কিন্তু, বলছিলাম যে, এত দামী জিনিষটা, ভালো করে তদন্ত না করলে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
– আরে লেখাটাই গেছে – আমি তো আছি। দরকার হলে আমি আবার লিখবো, কিন্তু যা বলেছি – প্রমিস-
– ওক্কে ওক্কে, প্রমিস।

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!