১.==>>বোস্টনের চার্লসগেট হোটেল টি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু একবার একছাত্র এখানে আত্মহত্যা করায় কর্তৃপহ্ম এমারসন কলেজকে ১৯৮১ সালে তা বিক্রি করে দেয়।কিন্তু লিফটে এক ছা
ত
২.==>>আইওয়ার নিউটন শহরের নিউটন কমিউনিটি থিয়েটার ভূতুড়ে বলে কুখ্যাত। ১৯৬০ এর কোন এক সময়ে নাকি এখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। যদিও কেউ এতে হতাহত হয়নিকিন্তু এরপর থেকে লাইট বুথ বাব্যাক স্টেজে প্রায়ই নাকিএকটি অপছায়া দেখা যায়।
আইওয়ার এমনি আরেকটি স্থান হলভিলিস্কা হাউস। ১৯১২ সালের ১০ জুন কোন অজ্ঞাত ব্যক্তি ভিলিস্কা পরিবারের মোট আটজন সদস্যকে হত্যা করে। এরপর থেকেই ভিলিস্কা হাউসের নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল। মনে করাহয়, ভিলিস্কা পরিবারের মৃত আত্মারা এখনও বিচরণ করে এ বাড়িতে।
৩.==>>ম্যাসাচুসেটস -এর ৪৪নং রুটেরলাল চুলো আগন্তুক এক কুখ্যাত ভূত। প্রত্যহ্মদর্শীদের বর্ণনা মতে, চলমান গাড়ি থেকে রাস্তার মাঝখানে হন্টনরত একটি লোককে নাকি প্রায়ই দেখাযায়। পরনে জিন্সের প্যান্ট, লাল ফ্লানেলের শার্ট, দাড়ি এবং চুল লাল রঙের এই ভদ্রলোক নাকিএই রাস্তাতেই অনেক দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন।
৪.==>>যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপ্টেন রিন্ডসে হাউস মূলত এন্টিক সংগ্রহশালা। অনেকেই বলেন যে এখানে নাকি পরমাত্মারা প্রায়ই বিচরণ করে। প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে একটি হল- হঠাৎ পাশের ঘরে একটি শব্দ হল,দর্শক পাশর্্ববতর্ী ঘরে গিয়ে দেখল যে সব কিছুই যথাযথ স্থানে সাজানো আছে। অতপর সে পূর্বের ঘরে ফিরে এসে দেখল বিছানার চাদরে পাঁচ আঙ্গুলের হাতের ছাপ!
৫.==>>ইংল্যান্ডের ডেনহাম চার্চ কুখ্যাত মোট ১১টা ভূতের জন্য।চার্টটা অবস্থিত সাফলক সেন্ট মেরিতে। মাঝে মাঝে পুরনো চার্চ থেকে একজন বয়স্ক পুরোহিতকে বের হয়ে হাঁটতে দেখা যায়। কখনওবা একজন বৃদ্ধাকে চার্চ পাশর্্বস্থ ব্রিজের উপর হাঁটতে দেখা যায়। একজোড়া ভয়ালচোখের অপচ্ছায়ারও নাকি এ চার্চে দেখা মেলে। ১৯২০ সালে এক কৃষক শস্য কাটার যন্ত্রে পড়ে গিয়ে মস্তক ছিন্ন হয়ে মারা যায়। তার ভূত নাকি চার্চস্থ ফার্ম হাউসের ভেতর দেখা যায়। এছাড়াও চার্চের ভেতর মেঝেতে নাকি প্রায়ই রক্তের ছোপ দেখা যায়, অদ্ভূত সব আলো চার্চ হলের ভেতরে দেখাযায়। চার্চের নিকটস্থ গ্রামে বহুদিন পূর্বে এক সুন্দরী বাসকরতো।ধারণা করা হয়, সে ছিল ডাইনী। অনেক পরে চার্চস্থ কূপের ভেতর থেকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় এক মেয়ের কংকাল উদ্ধার করা হয়। সেই ডাইনীর আত্মা নাকি এখনও চার্চের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। সাফলকের ইপসউইসের পাইপার ভ্যালে ব্রিজের উপর দিয়ে রাতের বেলা প্রায়ই আলোক গোলকউড়তে দেখা যায়। অনেকে তো সাদা পোশাকের একটি দেহকে শূন্যেও ভাসতে দেখেছে বলে দাবী করেছে।
৬.==>>পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের একটি প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থান। কিংবদন্তীর নায়ক রবিনহুডের কবর আছে এখানে। শোনা যায়, রবিনহুডের হত্যাকারী রেড রজারকে জীবিত দেখেছে অনেকে। বর্তমানে জায়গাটা জনসাধারণেরজন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৭.==>>কুইনস হেড হোটেল টি ইংল্যান্ডের লিয়েস্টাশায়ারেঅবস্থিত একটি তিনতলা সরাইখানা। এর নির্মাণকাল ১৭০০ শতাব্দী। কর্মচারীরা প্রায়ই অভিযোগ করে একজন লম্বা কালো রঙের ব্যক্তিকে তারা দেখেছ !
৮.==>>দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন থেকে ১৬৪১ সালে ক্যাপ্টেন হেনড্রিক ভ্যান ডার ডেকেন তারজাহাজ নিয়ে বের হন। তার ইচ্ছাছিল সমগ্রবিশ্ব ভ্রমণ করে আবারও তার প্রিয় দেশে প্রত্যাবর্তন করা। কিন্তু তার জাহাজ আর কোনদিন ফেরেনি, ভয়াল সমুদ্র হয়ত তা গ্রাস করেছে। আজও নাকি গভীর সমুদ্রেএকটি নাবিকশূন্য ভূতুড়ে জাহাজের দেখা মেলে। লোকে এর নাম দিয়েছে দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান।
কেপ টাউনের অধিকাংশ ভবনগুলো ১৬৬৬ থেকে ১৬৭৯-এর মধ্যে নির্মিত। এদের মধ্যে অন্যতম হল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানী দ্বারা নির্মিত গুড হোপ ক্যাসল। মূলত এটি নির্মিত হয়েছিল বন্দীশালা হিসেবে ব্যবহারের জন্য। ১৭২৯ সালের এপ্রিল মাসে গভর্নর পিটার গিসবার্থ ভ্যান ন্যুড সাতজন সৈনিককে কারাদণ্ড দেন এবং তাদের মৃত্যুদন্ড এ ক্যাসেলেই কার্যকর হয়। সেই সৈনিকেরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাদের নির্দোষ বলে দাবী করেছিল এবং বারবার গিসবার্থকে বলেছিল যে ঈশ্বর একদিন তাদের অবিচারের শাস্তি গভর্নর গিসবার্থকে দিয়েই ছাড়বে। ঠিক সেদিনই অজানা কারণে গিসবার্থও মারা যায়। আজও নাকি মৃতপ্রায় সেনাদের সেই অভিশাপ শোনা যায়। অনেকে গিসবার্থকে নাকি স্বচক্ষে ভ্রমণরতও দেখেছে ক্যাসলের ভিতরে।
(সংগৃহীত)
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।