জুন মাসের প্রথম দিক। কদিন পরেই হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা হওয়ার কথা। আমি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি। কিন্তু স্কুল বন্ধ। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ তখন তুঙ্গে। পাংশা থানা সদরেই আমাদের ছোট্ট বাড়ি। বাবা পাংশা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। ব্যবসা মানে মেয়েদের জন্যে থান কাপড়। সেই কাপড়ের মাঝে মাঝে ডোরা ডোরা দাগ থাকত। আর পুরুষদের মার্কিন কাপড়ের ‘থামি’। এছাড়া কয়েক পিস লাল নীল রংয়ের শিপন কাপড়ের বিয়ের শাড়ি।
বাবা মাঝে মাঝেই বাজারে নিয়ে যেত। বাজারে গেলে প্রথমেই বাবা নিয়ে যেত বাদলের মিষ্টির দোকানে। মিষ্টি খাওয়ানোর পর বাবা দোকানে গিয়ে বসত। আমি বাবার কোলেই বেশি বসে থাকতাম। খরিদ্দার এলে বাবা আমাকে গদিতে বসিয়ে বেচাকেনা করতেন। আমি বসে বসে দেখতাম।
কাপড়ের ব্যবসাটা ছিল বাবার পৈতৃক। আমার দাদাভাই ব্যবসা করতেন। বাবা যখন চৌদ্দ-পনের বছরের তখন দাদাজান গুটি বসন্তে হঠাৎই মারা যান। বাবা তখন থেকেই দাদাজানের এই ব্যবসা ধরেছে।
আমি যখন থ্রিতে উঠেছি তখন বাবাকে বলেছিলাম, বাবা, তুমি এত ছোট কেন? সবার বাবা কত বড় বড়। কদিন পরেই এই কথা নিয়ে নিজে নিজেই লজ্জা পেতাম। ছিঃ বাবাকে কী যে প্রশ্ন করেছি। তবে সত্যি বাবার যখন পঁচিশ-ছাবিবশ ঠিক তখন আমি থ্রিতে পড়ি। পঁচিশ-ছাবিবশে সে সময়ও অনেকে বিয়েই করত না।
বাবার ব্যবসা থাকলেও তা খুব বড়সড় ব্যবসা না। বাবা একটু উদাস টাইপের মানুষ ছিলেন। টাকা-পয়সার প্রতি বাবার খুব আগ্রহ ছিল না। বেশি আগ্রহ আমাদের দুই ভাইবোনের প্রতি। আমি ছিলাম বড়। আর আমার পাঁচ বছরের ছোট একমাত্র ভাই রইচ। রইচ তখন তিন বছরের মাত্র। বাবা আমার স্কুলে যাওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতো। আমি স্কুলে চলে গেলে তবে বাবা দোকানের দিকে যেত। স্কুল ছিল আমাদের বাড়ির কাছেই। দুপুরে টিফিনের সময় আমি বাড়িতে আসতাম। বাবাও ঠিক ঐ সময় বাড়িতে খেতে আসত। স্কুলে কতটুকুন সময়? এই ১০টা থেকে ১টা! তিন ঘণ্টা। বাবা আগে বাড়িতে আসলে আমি স্কুল থেকে এসে দরজায় টোকা দিলে অথবা বাবা যদি পরে বাড়িতে আসত তাহলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতাম। অনেকের বাবাকেই বাইরে থেকে এসে ছেলেমেয়েকে বুকের সাথে মিলিয়ে নিতে দেখেছি। কিন্তু সে কতক্ষণ? বাবা কী করতেন! দরজা থেকে তুলে নিয়ে তাঁর বুকের সাথে আমাকে চেপে ধরে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াতো। আমি চোখ বন্ধ করে বাবার বুকের মধ্যে বেড়ালের বাচ্চার মত লেগে থাকতাম। মা নিষেধ করতেন বাবাকে, মেয়েদের অত নাকি সোহাগ করতে নেই। বাবা আমাকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে ঘরের ভেতরে বিছানার উপরে নিয়ে বসতো। তারপর আমাকে খাইয়ে দিত। বাবা থাকতে কোনদিন আমি নিজে হাতে খেয়েছি, তা আমার মনেও পড়ে না। সকালে দুপুরে কি রাতে খাবার সময় হলে আমি আর রইচ বাবার জন্যে অপেক্ষা করতাম। বাবা কতদিন কত জরুরি কাজে আটকে যেত। মা রইচকে খাইয়ে দিত। আমি বাবার জন্য অপেক্ষাই করে যেতাম। এমন অনেকদিন গেছে ক্ষুধা লেগে আমার কালো মুখটা আরো কালো হয়ে যেত। মা রাগারাগি করে আমাকে মারাধরা পর্যন্ত করে ফেলত। তাও আমি বাবাকে ছাড়া খেতাম না। বাবা যখনই বাসায় ফিরত প্রথমেই মা বাবাকে ভৎর্সনা করতো- ‘মেয়েটাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারো না!’ এ পর্যন্ত বলে আমাকে মারাধরা করার অপরাধে নিজেই কেঁদে ফেলত। বাবা করত কি আমি কোথায় আছি খুঁজে বের করে সত্যি সত্যি আমার পা দুটো জড়িয়ে ধরে বলতো, ‘মা, আমাকে ক্ষমা করে দাও। অনেক দূরে কাজে গেছিলাম। আসতে পারি নাই।’ একজন বাবা তার মেয়ের পা ধরে মাফ চাইতে পারে! এই সব বিচার করার ক্ষমতা হয়ত আমার ছিল না। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হতো, আমি সত্যিই ‘মা’ আর এটি আমার ‘ছেলে’। আমি ‘ক্ষমা’ করে দিতাম। সাথে সাথে বাবাকে হাত ধরে খাবার ঘরে নিয়ে যেতাম। বাবা মা’র হাত ধরে টেনে নিয়ে আসত। সবাই একসাথে খেতে বসতাম। যদিও আমার মা ছিল খুবই লাজুক মেয়ে। সে বাবার সামনে কখনোই খেতে পারত না।
সেদিনও বাবার জন্যে বসে আছি বেলা ১টা বাজে, ২টা বাজে, ৩টা বাজে ৪টা বাজে বাবা আসে না। মা তখন আর আমাকে মারাধরা করে না। মেরে লাভ কী? সে জেনে গেছে রাত হলেও বাবা ছাড়া সে খাবে না। বাজার থেকে আমাদের বাড়ি বিশ মিনিটের পথ হলেও সন্ধ্যার দিকে জানতে পারলাম, সেই দুপুর সাড়ে বারোটার দিকেই বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তানী আর্মি আর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রেলঘাট ইস্পাহানী মাঠের দিকে গোলাগুলি হয়েছে। সেই দুপুর থেকে এ পর্যন্ত বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ। তাহলে আমার বাবা কই? মা কী জানত জানিনা। বিকেল থেকে মা প্রচন্ড মাথাব্যথা নিয়ে বিছানায়। একজন মানুষও পাওয়া গেল না। যার সাথে আমি বাজারে দোকান পর্যন্ত যাই। অবশেষে আমাদের পাড়ার মসজিদের ইমাম সাহেব সালামত চাচা। যার কাছে আমি সকালে ‘কোরআন শিক্ষা’ পড়ি উনার সাথে বাজারে গেলাম। সন্ধ্যা লেগেছে মাত্র। কিন্তু বাজারে জনমনিষ্যি নাই। কোথাও হঠাৎ একআধজন মানুষ। বাজারের সব দোকানের মত আমাদের দোকানও বন্ধ। তবে আমাদের দোকানের ঝাঁপে কোন তালা দেয়া নাই। ঝাঁপ নামিয়ে দিয়ে ঝাঁপের সাথে ঝাঁপেরলাঠি ঠেস্ দিয়ে দাঁড় করানো। দোকান দেখলে মনে হবে কোন জরুরি কাজে অথবা অল্প সময়ের জন্য দোকান বন্ধ করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকান আবার খোলা হবে। সালামত চাচা ঝাঁপ উঁচু করলেন। আমি হাতের হারিকেনের আলোতে আমাদের দোকান দেখলাম। সবই আগের মতই আছে। শুধু বাবা নাই।
সে রাতে বাড়ি ফিরতে বিশ মিনিটের পথে আমার ঘণ্টা লেগেছিল কিনা মনে নেই। সকাল থেকে অভুক্ত থেকে আর সন্ধ্যায় বাজারে এসে বাবাকে না পেয়ে যখন সালামত চাচার সাথে বাড়িতে ফিরছিলাম তখন হাঁটা অবস্থায়ই আমার তন্দ্রার মত হচ্ছিল। এক সময় মনে হচ্ছিল যিনি হেঁটে যাচ্ছেন আমার সাথে সাথে তিনি আমার বাবা! কিন্তু বাবা হলে তো এতক্ষণ কতবার কোলে নিত! আর বলত, ‘মা’ তুমি আর হেঁটো না। আমার মায়ের পা ব্যথা হয়ে যাবে।’ কই এই লোকটা তো কিছুই বলল না। আজ যে আমার পা সত্যিই ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। বাবা, তুমি কোথায়? আমাকে সত্যিই আজ একটু কোলে নাও না! আমি যে আর হাঁটতে পারছি না।
ব্যথা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়িতে গেলাম। মনে করে করে যাচ্ছি বাবা নিশ্চয় কোন পথ দিয়ে বাড়ি চলে গেছে। বাড়িতে ঢুকে দরজায় টোকা দিই। এই বুঝি বাবা দরজা খুলে বলে, ‘মা, আমাকে ক্ষমা করে দাও। অনেক দূরে কাজে গেছিলাম। আসতে পারি নাই।’ কিন্তু না। মা দরজা খুলল। সালামত চাচা চলে গেলেন। মা শুধু একবার চিৎকার দিয়ে বললো- ‘আদরের বাপের সাথে এখন খাওনা।’ বাবা যেন শুধু আমার ওপরে রাগ করেই আসে নাই। এই অপরাধে আমিও নাকি মাকে চিৎকার করে বলেছিলাম- ‘মা, আমাকে খেতে দাও। বাবাকে ছাড়াই আমি খাবো। মা, তুমি বাবাকে তাও আসতে বলো।’
তারপর নিজে নিজেই খেতাম। মা অনেক সময় খাইয়ে দিতে যেত। কিন্তু খেতাম না। বাবার ফিরে আসতে আবার যদি কোন সমস্যা হয়! এতদিন অনেক মানুষ বুঝ দিত ‘তোমার বাবা যুদ্ধে চলে গেছে। কে নাকি ইন্ডিয়ায় ট্রেনিং নিতে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলের সাথে বেনাপোল বর্ডারের কাছে তোমার বাবাকে দেখেছে। যুদ্ধ শেষ হলে দেখবা চলে আসবে।’ জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর গেল। অনেক কান্না-কাটির পরও যুদ্ধমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষ হাসলো। শুধু রইচ, মা আর আমি হাসতে পারলাম না। এতদিন যুদ্ধ শেষের অপেক্ষা করতাম। এখন আমরা শুধু বাবার ফিরে আসার অপেক্ষা করি। প্রতিদিন দুপুরে মনে করি বাবা বুঝি এই কড়া নাড়লো! প্রতিরাতের নটা-দশটার দিকে মনে করি বাবা দোকান বন্ধ করে এই বুঝি এলো!
বাবা করতো কি ক্লাসের যেকোন পরীক্ষায় আমি একশোতে একশো নম্বর পেলেই আমাকে বাজার থেকে একটা গিফ্ট কিনে দিত। একশো পেলেই যেহেতু সুন্দর, সুন্দর গিফ্ট পাওয়া যায় সে কারণে আমিও তখনই খুব যত্ন করে লেখাপড়া করি। একশো পেলেই তো গিফ্ট!
ঈদ এসেছে। বাবা আমার, রইচের, আর মায়ের জন্য নতুন কাপড়-চোপড় এনেছে। দেখা গেল আমার জন্য কেনাকাটার পরের দিন আবার একসেট জামা বাবা আলাদা নিয়ে এসেছেন। বাবা করতেন কি যখনই নতুন কাপড় আমাদের জন্য আনতেন সাথে সাথে সেই নতুনটা পরিয়ে আমাকে বাড়ির চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতো। আমি নাকি কালোর মধ্যে ভালো মেয়ে ছিলাম। তাই বাবার বন্ধু-বান্ধবরা আমাকে খুব আদর করতো।
বাবার জন্য অপেক্ষার কিছু কিছু প্রহর আমার যে আর কাটে না। পরীক্ষায় এরপরও একশোতে একশো পাই। ক্লাসে প্রথম হয়ে সব বিষয়ে একশোতে একশো নম্বর পেয়েও বিষণ্ণ মন নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকি। একসময় বাড়িতে যাই। বাবাকে খুঁজি। বাবার নতুন নতুন গিফ্টের অপেক্ষা করি। একসময় দু’চোখ ফেটে জল আসে। বাবার জন্য কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ি। অনেকেই বলে বাবার নিরুদ্দেশ হবার পর আমার স্বাস্থ্য নাকি খারাপ হয়ে গেছে। আমি নাকি কত সুন্দর ছিলাম। এখন আর তা নেই। আর আমি ভাবি আমার স্বাস্থ্য আর সুন্দর দিয়ে কী করবো। বেঁচে থাকারই তো কোন অর্থ নেই। এই পৃথিবীতে যার বাবা নেই তার বেঁচে থেকেই কী লাভ ?
এখনও ঈদ আসে। মা তার সাধ্যমত জামা কাপড় কিনে দেয়। কিন্তু আমার মন পড়ে থাকে বাবার ওপর। বাবা যদি থাকতো! বাবা ছাড়া কি ঈদ হয়! তাই ঈদের দিন, পরীক্ষার রেজাল্টের দিন আমার চোখের জল ফেলতে ফেলতে যায়।
১৯৭৪ সাল। আমাদের সংসার আর চলে না। মা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে করে কোনমতে সংসার চালাতে চেষ্টা করছিল। সে সময় মনে হয় পুরো দেশেই অভাবের রাজত্ব। ধারদেনার সাথে মা’র ছোট দুটি গহনা ছিল তা বিক্রি করে কিছুদিন গেল। তারপর মা ধারদেনাও আর করতে পারলো না। শেষমেস মানুষের কাছে হাতপেতে চেয়েচিন্তে কিছু দিন গেল। শেষে মা পাশের বাড়িতে কাজ করা শুরু করলো। তাছাড়া যে আমাদের জীবন বাঁচে না।
এক সময়ের সুখের দিন মনে করে করে আমি রইচকে বুকের ভিতরে নিয়ে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাই। আর একাকী যখন থাকি, একামনে বাবাকে বলি, বাবা, কোথায় চলে গেলে আমাকে রেখে। আমি কি তোমার মনে কোন কষ্ট দিয়েছি? নাকি মা তোমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে? কই মাও তো তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে মরে।
রইচ মাত্র সাত বছরের। না খেতে পেয়ে কঙ্কাল। আমার কথা আর বলব না। আমি হয়ত ছিলাম কঙ্কালের বোন। তবে বড় হবার কারণে আমার দিকে তাকাতাম না। মা সারা দিন পাশের বাড়ি থেকে কাজ করে তিন চারটা রুটি আর একটু ময়দা গোলানো নিয়ে বাড়িতে আসত। আমি সেই খাবার দেখতাম একবার আর একবার রইচের দিকে তাকাতাম। মনে মনে বলতাম, হায়রে আমার ভাই! হায়রে আমাদের কপাল! হায়রে আমার বাবা!
ভাগ্যবিধাতা আমাদের দিকে শোণ দৃষ্টি দিলেন হয়ত। রইচ অসুস্থ হয়ে পড়ল। টাইফয়েডের সাথে লড়াই করে ও আর পারল না। মা কত জনের কাছে গেল- ‘আমার ছেলেটার টাইফয়েড’ কিন্তু আগের ধারদেনার কারণে কেউ তা বিশ্বাস করতে পারল না। বাবার দেওয়া গিফ্টগুলো কত যত্নে রেখে দিয়েছিলাম। তার সবগুলো পাশের বাড়ির ‘ছোটবৌ’য়ের কাছে পাঁচ টাকায় বিক্রি করে এনে মাকে দিলাম। মা আমার দিকে শুধু তাকিয়ে থাকল। পাঁচ টাকার সাথে মা তার শেষ সম্বল তার বিয়ের আংটিটাও বিক্রি করে দিয়ে ওষুধ আনল। তবু সেই ওষুধে রইচ ফিরল না। হতভাগা হয়ত মনে মনে বাবার জন্য অপেক্ষা করত। সে কথা হয়ত বেশি পরিষ্কার করে বলতে পারত না। আমারতো কোন কাজ ছিল না। তাই সব সময় তাকে ‘বাবার’ গল্পই শোনাতাম। মরে যাবার সময় শুধু কয়েকবার বলল, বাবা, বা…বা।
আমি বুঝতেই পারলাম রইচ চলে যাচ্ছে। ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার দিয়ে মাকে বললাম, মা, রইচের চলে যেতে নিষেধ কর। বাবা ফিরে আসবেই, বাবা ফিরে আসবেই। রইচ, চলে যাচ্ছেন ভাই, অপেক্ষা কর, রইচ অপেক্ষা কর, বাবা ফিরে আসবেই। কিন্তু রইচ তা শুনল না। ওকি তাহলে বাবার কাছে চলে যাচ্ছে! ঘরে ফিরে মলিন সাদা কাপড়টা তুলে যখন রইচের মুখটা আবার দেখলাম, রইচের মুখটায় দেখি পুরো বাবার ছবি। আমার সোনামণি ভাইটা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে। ঠোঁটে লেগে আছে বাবার ঠোঁটের চিরচেনা এক চিল্তে হাসি।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।