না বুঝে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়

একজন মহিলার একটি পোষা বেঁজি ছিল। বেঁজিটি ছিল অত্যন্ত বিশ্বস্ত। একদিন মহিলাটি তার শিশুকে বেঁজিটির তত্ত্বাবধানে রেখে বাইরে গেলেন।

মহিলাটি বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি কিং কোবরা সাপ ঘরে ঢুকল। শিশুটি সাপ দেখে ভয় পেয়ে কাঁদতে লাগল। বেঁজিটি সঙ্গে সঙ্গে সাপটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। অনেকক্ষণ লড়াই করার পর বেঁজিটি সাপটিকে মেরে ফেলল। কিন্তু সেই লড়াইয়ে বেঁজিটির মুখ রক্তাক্ত হয়ে গেল।

বেঁজিটি রক্তাক্ত মুখ নিয়ে গেটের সামনে বসে মহিলাটির ফেরার অপেক্ষা করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর মহিলাটি বাসায় ফিরে দেখলেন, বেঁজিটির মুখ রক্তে ভেজা। তিনি ভাবলেন, হয়তো বেঁজিটি তার শিশুকে কামড়েছে। কোনো কিছু না ভেবেই তিনি রাগের বশে একটি পানির পাত্র দিয়ে বেঁজিটিকে আঘাত করে মেরে ফেললেন।

এরপর তিনি ঘরের ভেতরে ঢুকে যা দেখলেন, তাতে তার অন্তর কেঁপে উঠল। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ, আর তার পাশে পড়ে আছে একটি মৃত কিং কোবরা সাপ। তখনই তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারলেন, কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। বিশ্বস্ত বেঁজিটি নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে আছে, আর তার জন্য কান্না করা ছাড়া মহিলার কিছুই করার ছিল না।

নীতিকথা: আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিই এবং অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কাজ করি। কিন্তু তা সবসময় সঠিক হয় না। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই করা জরুরি।

অসাধারণ একটি শিক্ষণীয় গল্প

পিঁপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *