বাদশা একদিন বীরবলকে বললেন, ‘বীরবল দেবী, পরী ও ডাকিনীর শুধু নামই শুনেছি, কোনওদিন তাদের দেখিনি। তুমি তাদের এনে আমাকে দেখাতে পারো? আমার খুব ইচ্ছে করছে।’ বীরবল বললেন, ‘পারি হুজুর। কিন্তু একটি শর্ত আছে। যদি শর্ত মতো কাজ করতে পারেন তবে আজকেই দেখাতে পারি। ‘কী শর্ত ? বীরবল বললেন, আমি যখন তাদের আপনার কাছে হাজির করব, তখন সেখানে আর কেউ থাকতে পারবে না। কেবল আপনি ও বেগম সাহেবা থাকবেন।” বাদশা বললেন, ‘বেশ, তাই হবে। তোমার শর্তে রাজি।’ ক’দিন পর একদিন রাত্রে বীরবল একটি পরমা সুন্দরী যুবতী বারনারী এবং নিজের স্ত্রীকে বাদশার প্রাসাদে নিয়ে এলেন। একটি ঘরে ডাকিয়ে এনে বসালেন বাদশা ও বেগমকে। তারপর সেই বারনারী ও স্ত্রীকে বাদশার সামনে উপস্থিত করে নিজের স্ত্রীকে বললেন, ‘হুজুর, ইনি আমার স্ত্রী। ইনি দেবী।
কেননা ইনি দবেতার ন্যায় শ্রদ্ধাভক্তিপূর্বক আমার সেবা শুশ্রুষা করেন। বাদশা বারনারী দেখিয়ে বললেন, আর উনি ?’ বীরবল বললেন, ‘পরী। পরীকে হিন্দুরা অন্সরা বলে। অপ্সরারা নৃত্যগীতে যেমন দেবতাদের মনোরঞ্জন করেন, তেমনি এই বারনারী নৃত্যগীতে লোকজনের মনোরঞ্জন করেন। বাদশা বললেন, বুঝলাম। কিন্তু ডাকিনী তো আনতে পারলে না? দেবী ও পরীর সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত্ত হলাম। বীরবল বললেন, জাহাপনা, জান বকশিশ করবেন, আপনার বেগমসাহেবই ডাকিনী। কেননা আপনি কখনও ওঁর কাছ থেকে পতির প্রাপ্য সেবাভক্তি পান না ; অথবা রাজোচিত মান মর্যাদাও পান না। সর্বদাই উনিই ডাকিনী। সত্য কথাই বললাম, নিশ্চয়ই বেগমসাহেবা আমার ওপর রাগ করবেন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।