একদা এক গভীর জঙ্গল ছিল। সেই জঙ্গলে বাঘ,সিংহ,গাধা,ঘোড়া,গরু,মোষ, হরিণ,বাঁদর,জিরাফ,শেয়াল,ভাল্লুক, ময়ুর,বক,হাঁস, প্রভূতি অসংখ্যা প্রানিরা সুখে বাঁশ করতো।আর সেই জঙ্গেলে বাশ করতো এক দুর্বল শ্রীনীর খরগোশ।সেই জঙ্গেলে সকল জীবজন্তু ও পশুপাখিরা বনন্ধুর মত ভাব ছিল।কেউ কাউকে ক্ষতি করতো না।বরং পরস্পরের বিপদে সবাই সাহায্য করতো।জঙ্গলে মাঝে মাঝে তারা সভা করতো।সেই সভায় তারা জঙ্গলের জীবজন্তুদের সমস্যা ও নানা বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা করতো।একদিন এরকমই সভা বসে ছিল জঙ্গলে।
সেই সভায় সভাপতিত্ব করেছিল বনের রাজা সিংহ। বাঘ,সিংহ,গাধা,ঘোড়া,গরু,মোষ, হরিণ,বাঁদর,জিরাফ,শেয়াল,ভাল্লুক-সকলের ভাষন একে একে শেষ হল।তারা শব গুরু গম্ভীর কণ্ঠে নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলো।এবার খরগোশদের পালা।খরগোশদের প্রতিনিধি ভাষন দিল।ভাষনের মূল বক্তব্য হলো-ভাগ সবারি সমান হওয়া উচিত। প্রবল হর্ষধ্বনির মধ্যে খরগোশ তার ভাষন শেষ করলো।অবশেষে সভা শেষে সভাপ্রতির ভাষন।সিংহ অন্যান্য বক্তাদের কথা সামান্য উল্লেখ করার পর খরগোশ বক্তাতার অংশ উল্লেখ করে খরগোশদের দিকে তাকিয়ে কটাক্ষ করে বললো-বেশ ভালই তোমরা বলেছো-কিন্তু টা পেতে গেলে তোমাদের নরম তুলতুলে পা হলে চলবে না-আমাদের মতো নখর থাকা চাই,আর চাই মজবুত ধারালো দাঁত!
উপদেশঃদুর্বল ও সবল সমান দাবিদার হতে পারে না।