কেশরলালঠাকুর কাহারো অন্নগ্রহণ বা দানপ্রতিগ্রহ করেন না । ‘
এইরূপে প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে কেশরলালকে কোনোরূপ ভক্তিচিহ্ন দেখাইতে না পারিয়া আমার চিত্ত যেন ক্ষুব্ধ ক্ষুধাতুর হইয়া থাকিত ।
আমাদের পূর্বপুরুষের কেহ-একজন একটি ব্রাক্ষ্মণকন্যাকে বলপূর্বক বিবাহ করিয়া আনিয়াছিলেন , আমি অন্তঃপুরের প্রান্তে বসিয়া তাঁহারই পুণ্যরক্তপ্রবাহ আপন শিরার মধ্যে অনুভব করিতাম , এবং সেই রক্তসূত্রে কেশরলালের সহিত একটি ঐক্যসম্বন্ধ কল্পনা করিয়া কিয়ৎপরিমাণে তৃপ্তি বোধ হইত ।
আমার হিন্দু দাসীর নিকট হিন্দুধর্মের সমস্ত আচার ব্যবহার , দেবদেবীর সমস্ত আশ্চর্য কাহিনী , রামায়ণ-মহাভারতের সমস্ত অপূর্ব ইতিহাস তন্ন তন্ন করিয়া শুনিতাম , শুনিয়া সেই অবরুদ্ধ অন্তঃপুরের প্রান্তে বসিয়া হিন্দুজগতের এক অপরূপ দৃশ্য আমার মনের সম্মুখে উদ্ঘাটিত হইত । মূর্তিপ্রতিমূর্তি , শঙ্খঘণ্টাধ্বনি , স্বর্ণচূড়াখচিত দেবালয় , ধূপধূনার ধূম , অগুরুচন্দনমিশ্রিত পুষ্পরাশির সুগন্ধ , যোগীসন্ন্যাসীর অলৌকিক ক্ষমতা , ব্রাক্ষ্মণের অমানুষিক মাহাত্ম্য , মানুষ-ছদ্মবেশধারী দেবতাদের বিচিত্র লীলা , সমস্ত জড়িত হইয়া আমার নিকটে এক অতিপুরাতন অতিবিস্তীর্ণ অতিসূদূর অপ্রাকৃত মায়ালোক সৃজন করিত; আমার চিত্ত যেন নীড়হারা ক্ষুদ্র পক্ষীর ন্যায় প্রদোষকালের একটি প্রকাণ্ড প্রাচীন প্রাসাদের কক্ষে কক্ষে উড়িয়া উড়িয়া বেড়াইত । হিন্দুসংসার আমার বালিকাহৃদয়ের নিকট একটি পরমরমণীয় রূপকথার রাজ্য ছিল ।
এমনসময় কোম্পানি বাহাদুরের সহিত সিপাহিলোকের লড়াই বাধিল । আমাদের বদ্রাওনের ক্ষুদ্র কেল্লাটির মধ্যেও বিপ্লবের তরঙ্গ জাগিয়া উঠিল ।
কেশরলাল বলিল , ‘ এইবার গো-খাদক গোরালোককে আর্যাবর্ত হইতে দূর করিয়া দিয়া আর-একবার হিন্দুস্থানে হিন্দুমুসলমানে রাজপদ লইয়া দ্যূতক্রীড়া বসাইতে হইবে । ‘
আমার পিতা গোলামকাদের খাঁ সাবধানী লোক ছিলেন ; তিনি ইংরাজ জাতিকে কোনো-একটি বিশেষ কুটুম্বসম্ভাষণে অভিহিত করিয়া বলিলেন , ‘ উহারা অসাধ্য সাধন করিতে পারে , হিন্দুস্থানের লোক উহাদের সহিত পারিয়া উঠিবে না । আমি অনিশ্চিত প্রত্যাশে আমার এই ক্ষুদ্র কেল্লাটুকু খোয়াইতে পারিব না , আমি কোম্পানিবাহাদুরের সহিত লড়িব না । ‘
যখন হিন্দুস্থানের সমস্ত হিন্দুমুসলমানের রক্ত উত্তপ্ত হইয়া উঠিয়াছে , তখন আমার পিতার এই বণিকের মতো সাবধানতায় আমাদের সকলের মনেই ধিক্কার উপস্থিত হইল । আমার বেগম মাতৃগণ পর্যন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিলেন ।
এমনসময়ে ফৌজ লইয়া সশস্ত্র কেশরলাল আসিয়া আমার পিতাকে বলিলেন , ‘ নবাবসাহেব , আপনি যদি আমাদের পক্ষে যোগ না দেন, তবে যতদিন লড়াই চলে আপনাকে বন্দী রাখিয়া আপনার কেল্লার আধিপত্যভার আমি গ্রহণ করিব । ‘
পিতা বলিলেন , ‘ সে-সমস্ত হাঙ্গামা কিছুই করিতে হইবে না , তোমাদের পক্ষে আমি রহিব । ‘
কেশরলাল কহিলেন , ‘ ধনকোষ হইতে কিছু অর্থ বাহির করিতে হইবে । ‘
পিতা বিশেষ কিছু দিলেন না ; কহিলেন , ‘ যখন যেমন আবশ্যক হইবে আমি দিব । ‘
আমার সীমন্ত হইতে পদাঙ্গুলি পর্যন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যতকিছু ভূষণ ছিল সমস্ত কাপড়ে বাঁধিয়া আমার হিন্দু দাসী দিয়া গোপনে কেশরলালের নিকট পাঠাইয়া দিলাম । তিনি গ্রহণ করিলেন । আনন্দে আমার ভূষণবিহীন প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পুলকে রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল ।
কেশরলাল মরিচাপড়া বন্দুকের চোঙ এবং পুরাতন তলোয়ারগুলি মাজিয়া ঘষিয়া সাফ করিতে প্রস্তুত হইলেন , এমনসময় হঠাৎ একদিন অপরাহ্নে জিলার কমিশনার সাহেব লালকুর্তি গোরা লইয়া আকাশে ধুলা উড়াইয়া আমাদের কেল্লার মধ্যে আসিয়া প্রবেশ করিল ।
আমার পিতা গোলামকাদের খাঁ গোপনে তাঁহাকে বিদ্রোহ-সংবাদ দিয়াছিলেন ।
বদ্রাওনের ফৌজের উপর কেশরলালের এমন একটি অলৌকিক আধিপত্য ছিল যে , তাঁহার কথায় তাহারা ভাঙা বন্দুক ও ভোঁতা তরবারি হস্তে লড়াই করিয়া মরিতে প্রস্তুত হইল ।
বিশ্বাসঘাতক পিতার গৃহ আমার নিকট নরকের মতো বোধ হইল । ক্ষোভে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল , তবু চোখ দিয়া এক ফোঁটা জল বাহির হইল না । আমার ভীরু ভ্রাতার পরিচ্ছদ পরিয়া ছদ্মবেশে অন্তঃপুর হইতে বাহির হইয়া গেলাম , কাহারো দেখিবার অবকাশ ছিল না ।
তখন ধুলা এবং বারুদের ধোঁয়া , সৈনিকের চিৎকার এবং বন্দুকের শব্দ থামিয়া গিয়া মৃত্যুর ভীষণ শান্তি জলস্থল-আকাশ আচ্ছন্ন করিয়াছে । যমুনার জল রক্তরাগে রঞ্জিত করিয়া সূর্য অস্ত গিয়াছে , সন্ধ্যাকাশে শুক্লপক্ষের পরিপূর্ণপ্রায় চন্দ্রমা ।
রণক্ষেত্র মৃত্যুর বিকট দৃশ্যে আকীর্ণ । অন্য সময় হইলে করুণায় আমার বক্ষ ব্যথিত হইয়া উঠিত, কিন্তু সেদিন স্বপ্নাবিষ্টের মতো আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছিলাম , খুঁজিতেছিলাম কোথায় আছে কেশরলাল , সেই একমাত্র লক্ষ্য ছাড়া আর সমস্ত আমার নিকট অলীক বোধ হইতেছিল ।
খুঁজিতে খুঁজিতে রাত্রি দ্বিপ্রহরের উজ্জ্বল চন্দ্রালোকে দেখিতে পাইলাম , রণক্ষেত্রের অদূরে যমুনার তীরে আম্রকাননচ্ছায়ায় কেশরলাল এবং তাঁহার ভক্তভৃত্য দেওকিনন্দনের মৃতদেহ পড়িয়া আছে । বুঝিতে পারিলাম , সাংঘাতিক আহত অবস্থায় , হয় প্রভু ভৃত্যকে অথবা ভৃত্য প্রভুকে, রণক্ষেত্র হইতে এই নিরাপদ স্থানে বহন করিয়া আনিয়া শান্তিতে মৃত্যুহস্তে আত্মসমর্পণ করিয়াছে ।
প্রথমেই আমি আমার বহুদিনের বুভুক্ষিত ভক্তিবৃত্তির চরিতার্থতা সাধন করিলাম । কেশরলালের পদতলে লুণ্ঠিত হইয়া পড়িয়া আমার আজানুবিলম্বিত কেশজাল উন্মুক্ত করিয়া দিয়া বারম্বার তাঁহার পদধূলি মুছিয়া লইলাম , আমার উত্তপ্ত ললাটে তাঁহার হিমশীতল পাদপদ্ম তুলিয়া লইলাম , তাঁহার চরণ চুম্বন করিবামাত্র বহুদিবসের নিরুদ্ধ অশ্রুরাশি উচ্ছ্বসিত উদ্বেলিত হইয়া উঠিল ।
এমন সময়ে কেশরলালের দেহ বিচলিত হইল , এবং সহসা তাঁহার মুখ হইতে বেদনার অস্ফুট আর্তস্বর শুনিয়া আমি তাঁহার চরণতল ছাড়িয়া চমকিয়া উঠিলাম ; শুনিলাম, নিমীলিত নেত্রে শুষ্ক কণ্ঠে একবার বলিলেন, ‘ জল ‘ ।
আমি তৎক্ষণাৎ আমার গাত্রবস্ত্র যমুনার জলে ভিজাইয়া ছুটিয়া চলিয়া আসিলাম । বসন নিংড়াইয়া কেশরলালের আমীলিত ওষ্ঠাধরের মধ্যে জল দিতে লাগিলাম , এবং বামচক্ষু নষ্ট করিয়া তাঁহার কপালে যে নিদারুণ আঘাত লাগিয়াছিল সেই আহত স্থানে আমার সিক্ত বসনপ্রান্ত ছিঁড়িয়া বাঁধিয়া দিলাম ।
এমনি বারকতক যমুনার জল আনিয়া তাঁহার মুখে চক্ষে সিঞ্চন করার পর অল্পে অল্পে চেতনার সঞ্চার হইল । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম , ‘ আর জল দিব ?’ কেশরলাল কহিলেন , ‘ কে তুমি ? ‘ আমি আর থাকিতে পারিলাম না , বলিলাম , ‘ অধীনা আপনার ভক্ত সেবিকা । আমি নবাব গোলামকাদের খাঁর কন্যা । ‘ মনে করিয়াছিলাম , কেশরলাল আসন্ন মৃত্যুকালে তাঁহার ভক্তের শেষ পরিচয় সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইবেন , এ সুখ হইতে আমাকে কেহ বঞ্চিত করিতে পারিবে না ।
আমার পরিচয় পাইবামাত্র কেশরলাল সিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া উঠিয়া বলিলেন , ‘ বেইমানের কন্যা , বিধর্মী! মৃত্যুকালে যবনের জল দিয়া তুই আমার ধর্ম নষ্ট করিলি! ‘ এই বলিয়া প্রবল বলে আমার কপোলদেশে দক্ষিণ করতলের আঘাত করিলেন , আমি মূর্চ্ছিতপ্রায় হইয়া চক্ষে অন্ধকার দেখিতে লাগিলাম ।
তখন আমি ষোড়শী , প্রথম দিন অন্তঃপুর হইতে বাহিরে আসিয়াছি , তখনো বহিরাকাশের লুব্ধ তপ্ত সূর্যকর আমার সুকুমার কপোলের রক্তিম লাবণ্যবিভা অপহরণ করিয়া লয় নাই , সেই বহিঃসংসারে পদক্ষেপ করিবামাত্র সংসারের নিকট হইতে , আমার সংসারের দেবতার নিকট হইতে এই প্রথম সম্ভাষণ প্রাপ্ত হইলাম ।
আমি নির্বাপিত-সিগারেটে এতক্ষণ মোহমুগ্ধ চিত্রার্পিতের ন্যায় বসিয়া ছিলাম । গল্প শুনিতেছিলাম কি ভাষা শুনিতেছিলাম, কি সংগীত শুনিতেছিলাম জানি না , আমার মুখে একটি কথা ছিল না । এতক্ষণ পরে আমি আর থাকিতে পারিলাম না , হঠাৎ বলিয়া উঠিলাম , “ জানোয়ার । ”
নবাবজাদী কহিলেন , “ কে জানোয়ার! জানোয়ার কি মৃত্যুযন্ত্রণার সময় মুখের নিকট সমাহৃত জলবিন্দু পরিত্যাগ করে । ”
আমি অপ্রতিভ হইয়া কহিলাম , “ তা বটে । সে দেবতা । ”
নবাবজাদী কহিলেন , “ কিসের দেবতা! দেবতা কি ভক্তের একাগ্রচিত্তের সেবা প্রত্যাখ্যান করিতে পারে। ”
আমি বলিলাম , “ তাও বটে । ” বলিয়া চুপ করিয়া গেলাম ।
নবাবপুত্রী কহিতে লাগিলেন , “ প্রথমটা আমার বড়ো বিষম বাজিল । মনে হইল , সমস্ত বিশ্বজগৎ হঠাৎ আমার মাথার উপর চুরমার হইয়া ভাঙিয়া পড়িয়া গেল । মুহূর্তের মধ্যে সংজ্ঞা লাভ করিয়া সেই কঠোর কঠিন নিষ্ঠুর নির্বিকার পবিত্র বীর ব্রাক্ষ্মণের পদতলে দূর হইতে প্রণাম করিলাম — মনে মনে কহিলাম , হে ব্রাক্ষ্মণ , তুমি হীনের সেবা , পরের অন্ন , ধনীর দান , যুবতীর যৌবন , রমণীর প্রেম কিছুই গ্রহণ কর না ; তুমি স্বতন্ত্র , তুমি একাকী , তুমি নির্লিপ্ত , তুমি সুদূর , তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করিবার অধিকারও আমার নাই!
নবাবদুহিতাকে ভূলুণ্ঠিতমস্তকে প্রণাম করিতে দেখিয়া কেশরলাল কী মনে করিল বলিতে পারি না , কিন্তু তাহার মুখে বিস্ময় অথবা কোনো ভাবান্তর প্রকাশ পাইল না । শান্তভাবে একবার আমার মুখের দিকে চাহিল ; তাহার পরে ধীরে ধীরে উঠিল । আমি সচকিত হইয়া আশ্রয় দিবার জন্য আমার হস্ত প্রসারণ করিলাম , সে তাহা নীরবে প্রত্যাখ্যান করিল এবং বহু কষ্টে যমুনার ঘাটে গিয়া অবতীর্ণ হইল । সেখানে একটি খেয়ানৌকা বাঁধা ছিল । পার হইবার লোকও ছিল না , পার করিবার লোকও ছিল না । সেই নৌকার উপর উঠিয়া কেশরলাল বাঁধন খুলিয়া দিল , নৌকা দেখিতে দেখিতে মধ্যস্রোতে গিয়া ক্রমশ অদৃশ্য হইয়া গেল — আমার ইচ্ছা হইতে লাগিল , সমস্ত হৃদয়ভার , সমস্ত যৌবনভার , সমস্ত অনাদৃত ভক্তিভার লইয়া সেই অদৃশ্য নৌকার অভিমুখে জোড়কর করিয়া সেই নিস্তব্ধ নিশীথে সেই চন্দ্রালোকপুলকিত নিস্তরঙ্গ যমুনার মধ্যে অকাল-বৃন্তচ্যুত পুষ্পমঞ্জরীর ন্যায় এই ব্যর্থ জীবন বিসর্জন করি ।
কিন্তু পারিলাম না । আকাশের চন্দ্র , যমুনাপারের ঘনকৃষ্ণ বনরেখা , কালিন্দীর নিবিড় নীল নিষ্কম্প জলরাশি , দূরে আম্রবনের ঊর্ধ্বে আমাদের জ্যোৎস্নাচিক্কণ কেল্লার চূড়াগ্রভাগ , সকলেই নিঃশব্দগম্ভীর ঐকতানে মৃত্যুর গান গাহিল ; সেই নিশীথে গ্রহচন্দ্রতারাখচিত নিস্তব্ধ তিন ভুবন আমাকে একবাক্যে মরিতে কহিল । কেবল বীচিভঙ্গবিহীন প্রশান্ত যমুনাবক্ষোবাহিত একখানি অদৃশ্য জীর্ণ নৌকা সেই জ্যোৎস্না রজনীর সৌম্যসুন্দর শান্তশীতল অনন্ত ভুবনমোহন মৃত্যুর প্রসারিত আলিঙ্গনপাশ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া আমাকে জীবনের পথে টানিয়া লইয়া চলিল । আমি মোহস্বপ্নাভিহতার ন্যায় যমুনার তীরে তীরে কোথাও-বা কাশবন , কোথাও-বা মরুবালুকা , কোথাও-বা বন্ধুর বিদীর্ণ তট , কোথাও-বা ঘনগুল্মদুর্গম বনখণ্ডের ভিতর দিয়া চলিতে লাগিলাম । ”
এইখানে বক্তা চুপ করিল । আমিও কোনো কথা কহিলাম না ।
অনেকক্ষণ পরে নবাবদুহিতা কহিল , “ ইহার পরে ঘটনাবলী বড়ো জটিল । সে কেমন করিয়া বিশ্লেষ করিয়া পরিষ্কার করিয়া বলিব জানি না । একটা গহন অরণ্যের মাঝখান দিয়া যাত্রা করিয়াছিলাম , ঠিক কোন্ পথ দিয়া কখন চলিয়াছিলাম সে কি আর খুঁজিয়া বাহির করিতে পারি । কোথায় আরম্ভ করিব , কোথায় শেষ করিব , কোন্টা ত্যাগ করিব , কোন্টা রাখিব , সমস্ত কাহিনীকে কী উপায়ে এমন স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করিয়া তুলিব যাহাতে কিছুই অসাধ্য অসম্ভব অপ্রকৃত বোধ না হয় ।
গল্পটির শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।