দুরাশা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় অংশ

কেশরলালঠাকুর কাহারো অন্নগ্রহণ বা দানপ্রতিগ্রহ করেন না । ‘

এইরূপে প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে কেশরলালকে কোনোরূপ ভক্তিচিহ্ন দেখাইতে না পারিয়া আমার চিত্ত যেন ক্ষুব্ধ ক্ষুধাতুর হইয়া থাকিত ।

আমাদের পূর্বপুরুষের কেহ-একজন একটি ব্রাক্ষ্মণকন্যাকে বলপূর্বক বিবাহ করিয়া আনিয়াছিলেন , আমি অন্তঃপুরের প্রান্তে বসিয়া তাঁহারই পুণ্যরক্তপ্রবাহ আপন শিরার মধ্যে অনুভব করিতাম , এবং সেই রক্তসূত্রে কেশরলালের সহিত একটি ঐক্যসম্বন্ধ কল্পনা করিয়া কিয়ৎপরিমাণে তৃপ্তি বোধ হইত ।

আমার হিন্দু দাসীর নিকট হিন্দুধর্মের সমস্ত আচার ব্যবহার , দেবদেবীর সমস্ত আশ্চর্য কাহিনী , রামায়ণ-মহাভারতের সমস্ত অপূর্ব ইতিহাস তন্ন তন্ন করিয়া শুনিতাম , শুনিয়া সেই অবরুদ্ধ অন্তঃপুরের প্রান্তে বসিয়া হিন্দুজগতের এক অপরূপ দৃশ্য আমার মনের সম্মুখে উদ্‌ঘাটিত হইত । মূর্তিপ্রতিমূর্তি , শঙ্খঘণ্টাধ্বনি , স্বর্ণচূড়াখচিত দেবালয় , ধূপধূনার ধূম , অগুরুচন্দনমিশ্রিত পুষ্পরাশির সুগন্ধ , যোগীসন্ন্যাসীর অলৌকিক ক্ষমতা , ব্রাক্ষ্মণের অমানুষিক মাহাত্ম্য , মানুষ-ছদ্মবেশধারী দেবতাদের বিচিত্র লীলা , সমস্ত জড়িত হইয়া আমার নিকটে এক অতিপুরাতন অতিবিস্তীর্ণ অতিসূদূর অপ্রাকৃত মায়ালোক সৃজন করিত; আমার চিত্ত যেন নীড়হারা ক্ষুদ্র পক্ষীর ন্যায় প্রদোষকালের একটি প্রকাণ্ড প্রাচীন প্রাসাদের কক্ষে কক্ষে উড়িয়া উড়িয়া বেড়াইত । হিন্দুসংসার আমার বালিকাহৃদয়ের নিকট একটি পরমরমণীয় রূপকথার রাজ্য ছিল ।

এমনসময় কোম্পানি বাহাদুরের সহিত সিপাহিলোকের লড়াই বাধিল । আমাদের বদ্রাওনের ক্ষুদ্র কেল্লাটির মধ্যেও বিপ্লবের তরঙ্গ জাগিয়া উঠিল ।

কেশরলাল বলিল , ‘ এইবার গো-খাদক গোরালোককে আর্যাবর্ত হইতে দূর করিয়া দিয়া আর-একবার হিন্দুস্থানে হিন্দুমুসলমানে রাজপদ লইয়া দ্যূতক্রীড়া বসাইতে হইবে । ‘

আমার পিতা গোলামকাদের খাঁ সাবধানী লোক ছিলেন ; তিনি ইংরাজ জাতিকে কোনো-একটি বিশেষ কুটুম্বসম্ভাষণে অভিহিত করিয়া বলিলেন , ‘ উহারা অসাধ্য সাধন করিতে পারে , হিন্দুস্থানের লোক উহাদের সহিত পারিয়া উঠিবে না । আমি অনিশ্চিত প্রত্যাশে আমার এই ক্ষুদ্র কেল্লাটুকু খোয়াইতে পারিব না , আমি কোম্পানিবাহাদুরের সহিত লড়িব না । ‘

যখন হিন্দুস্থানের সমস্ত হিন্দুমুসলমানের রক্ত উত্তপ্ত হইয়া উঠিয়াছে , তখন আমার পিতার এই বণিকের মতো সাবধানতায় আমাদের সকলের মনেই ধিক্‌‌কার উপস্থিত হইল । আমার বেগম মাতৃগণ পর্যন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিলেন ।

এমনসময়ে ফৌজ লইয়া সশস্ত্র কেশরলাল আসিয়া আমার পিতাকে বলিলেন , ‘ নবাবসাহেব , আপনি যদি আমাদের পক্ষে যোগ না দেন, তবে যতদিন লড়াই চলে আপনাকে বন্দী রাখিয়া আপনার কেল্লার আধিপত্যভার আমি গ্রহণ করিব । ‘

পিতা বলিলেন , ‘ সে-সমস্ত হাঙ্গামা কিছুই করিতে হইবে না , তোমাদের পক্ষে আমি রহিব । ‘

কেশরলাল কহিলেন , ‘ ধনকোষ হইতে কিছু অর্থ বাহির করিতে হইবে । ‘

পিতা বিশেষ কিছু দিলেন না ; কহিলেন , ‘ যখন যেমন আবশ্যক হইবে আমি দিব । ‘

আমার সীমন্ত হইতে পদাঙ্গুলি পর্যন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যতকিছু ভূষণ ছিল সমস্ত কাপড়ে বাঁধিয়া আমার হিন্দু দাসী দিয়া গোপনে কেশরলালের নিকট পাঠাইয়া দিলাম । তিনি গ্রহণ করিলেন । আনন্দে আমার ভূষণবিহীন প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পুলকে রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল ।

কেশরলাল মরিচাপড়া বন্দুকের চোঙ এবং পুরাতন তলোয়ারগুলি মাজিয়া ঘষিয়া সাফ করিতে প্রস্তুত হইলেন , এমনসময় হঠাৎ একদিন অপরাহ্নে জিলার কমিশনার সাহেব লালকুর্তি গোরা লইয়া আকাশে ধুলা উড়াইয়া আমাদের কেল্লার মধ্যে আসিয়া প্রবেশ করিল ।

আমার পিতা গোলামকাদের খাঁ গোপনে তাঁহাকে বিদ্রোহ-সংবাদ দিয়াছিলেন ।

বদ্রাওনের ফৌজের উপর কেশরলালের এমন একটি অলৌকিক আধিপত্য ছিল যে , তাঁহার কথায় তাহারা ভাঙা বন্দুক ও ভোঁতা তরবারি হস্তে লড়াই করিয়া মরিতে প্রস্তুত হইল ।

বিশ্বাসঘাতক পিতার গৃহ আমার নিকট নরকের মতো বোধ হইল । ক্ষোভে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল , তবু চোখ দিয়া এক ফোঁটা জল বাহির হইল না । আমার ভীরু ভ্রাতার পরিচ্ছদ পরিয়া ছদ্মবেশে অন্তঃপুর হইতে বাহির হইয়া গেলাম , কাহারো দেখিবার অবকাশ ছিল না ।

তখন ধুলা এবং বারুদের ধোঁয়া , সৈনিকের চিৎকার এবং বন্দুকের শব্দ থামিয়া গিয়া মৃত্যুর ভীষণ শান্তি জলস্থল-আকাশ আচ্ছন্ন করিয়াছে । যমুনার জল রক্তরাগে রঞ্জিত করিয়া সূর্য অস্ত গিয়াছে , সন্ধ্যাকাশে শুক্লপক্ষের পরিপূর্ণপ্রায় চন্দ্রমা ।

রণক্ষেত্র মৃত্যুর বিকট দৃশ্যে আকীর্ণ । অন্য সময় হইলে করুণায় আমার বক্ষ ব্যথিত হইয়া উঠিত, কিন্তু সেদিন স্বপ্নাবিষ্টের মতো আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছিলাম , খুঁজিতেছিলাম কোথায় আছে কেশরলাল , সেই একমাত্র লক্ষ্য ছাড়া আর সমস্ত আমার নিকট অলীক বোধ হইতেছিল ।

খুঁজিতে খুঁজিতে রাত্রি দ্বিপ্রহরের উজ্জ্বল চন্দ্রালোকে দেখিতে পাইলাম , রণক্ষেত্রের অদূরে যমুনার তীরে আম্রকাননচ্ছায়ায় কেশরলাল এবং তাঁহার ভক্তভৃত্য দেওকিনন্দনের মৃতদেহ পড়িয়া আছে । বুঝিতে পারিলাম , সাংঘাতিক আহত অবস্থায় , হয় প্রভু ভৃত্যকে অথবা ভৃত্য প্রভুকে, রণক্ষেত্র হইতে এই নিরাপদ স্থানে বহন করিয়া আনিয়া শান্তিতে মৃত্যুহস্তে আত্মসমর্পণ করিয়াছে ।

প্রথমেই আমি আমার বহুদিনের বুভুক্ষিত ভক্তিবৃত্তির চরিতার্থতা সাধন করিলাম । কেশরলালের পদতলে লুণ্ঠিত হইয়া পড়িয়া আমার আজানুবিলম্বিত কেশজাল উন্মুক্ত করিয়া দিয়া বারম্বার তাঁহার পদধূলি মুছিয়া লইলাম , আমার উত্তপ্ত ললাটে তাঁহার হিমশীতল পাদপদ্ম তুলিয়া লইলাম , তাঁহার চরণ চুম্বন করিবামাত্র বহুদিবসের নিরুদ্ধ অশ্রুরাশি উচ্ছ্বসিত উদ্‌‌বেলিত হইয়া উঠিল ।

এমন সময়ে কেশরলালের দেহ বিচলিত হইল , এবং সহসা তাঁহার মুখ হইতে বেদনার অস্ফুট আর্তস্বর শুনিয়া আমি তাঁহার চরণতল ছাড়িয়া চমকিয়া উঠিলাম ; শুনিলাম, নিমীলিত নেত্রে শুষ্ক কণ্ঠে একবার বলিলেন, ‘ জল ‘ ।

আমি তৎক্ষণাৎ আমার গাত্রবস্ত্র যমুনার জলে ভিজাইয়া ছুটিয়া চলিয়া আসিলাম । বসন নিংড়াইয়া কেশরলালের আমীলিত ওষ্ঠাধরের মধ্যে জল দিতে লাগিলাম , এবং বামচক্ষু নষ্ট করিয়া তাঁহার কপালে যে নিদারুণ আঘাত লাগিয়াছিল সেই আহত স্থানে আমার সিক্ত বসনপ্রান্ত ছিঁড়িয়া বাঁধিয়া দিলাম ।

এমনি বারকতক যমুনার জল আনিয়া তাঁহার মুখে চক্ষে সিঞ্চন করার পর অল্পে অল্পে চেতনার সঞ্চার হইল । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম , ‘ আর জল দিব ?’ কেশরলাল কহিলেন , ‘ কে তুমি ? ‘ আমি আর থাকিতে পারিলাম না , বলিলাম , ‘ অধীনা আপনার ভক্ত সেবিকা । আমি নবাব গোলামকাদের খাঁর কন্যা । ‘ মনে করিয়াছিলাম , কেশরলাল আসন্ন মৃত্যুকালে তাঁহার ভক্তের শেষ পরিচয় সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইবেন , এ সুখ হইতে আমাকে কেহ বঞ্চিত করিতে পারিবে না ।

আমার পরিচয় পাইবামাত্র কেশরলাল সিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া উঠিয়া বলিলেন , ‘ বেইমানের কন্যা , বিধর্মী! মৃত্যুকালে যবনের জল দিয়া তুই আমার ধর্ম নষ্ট করিলি! ‘ এই বলিয়া প্রবল বলে আমার কপোলদেশে দক্ষিণ করতলের আঘাত করিলেন , আমি মূর্চ্ছিতপ্রায় হইয়া চক্ষে অন্ধকার দেখিতে লাগিলাম ।

তখন আমি ষোড়শী , প্রথম দিন অন্তঃপুর হইতে বাহিরে আসিয়াছি , তখনো বহিরাকাশের লুব্ধ তপ্ত সূর্যকর আমার সুকুমার কপোলের রক্তিম লাবণ্যবিভা অপহরণ করিয়া লয় নাই , সেই বহিঃসংসারে পদক্ষেপ করিবামাত্র সংসারের নিকট হইতে , আমার সংসারের দেবতার নিকট হইতে এই প্রথম সম্ভাষণ প্রাপ্ত হইলাম ।

আমি নির্বাপিত-সিগারেটে এতক্ষণ মোহমুগ্ধ চিত্রার্পিতের ন্যায় বসিয়া ছিলাম । গল্প শুনিতেছিলাম কি ভাষা শুনিতেছিলাম, কি সংগীত শুনিতেছিলাম জানি না , আমার মুখে একটি কথা ছিল না । এতক্ষণ পরে আমি আর থাকিতে পারিলাম না , হঠাৎ বলিয়া উঠিলাম , “ জানোয়ার । ”

নবাবজাদী কহিলেন , “ কে জানোয়ার! জানোয়ার কি মৃত্যুযন্ত্রণার সময় মুখের নিকট সমাহৃত জলবিন্দু পরিত্যাগ করে । ”

আমি অপ্রতিভ হইয়া কহিলাম , “ তা বটে । সে দেবতা । ”

নবাবজাদী কহিলেন , “ কিসের দেবতা! দেবতা কি ভক্তের একাগ্রচিত্তের সেবা প্রত্যাখ্যান করিতে পারে। ”

আমি বলিলাম , “ তাও বটে । ” বলিয়া চুপ করিয়া গেলাম ।

নবাবপুত্রী কহিতে লাগিলেন , “ প্রথমটা আমার বড়ো বিষম বাজিল । মনে হইল , সমস্ত বিশ্বজগৎ হঠাৎ আমার মাথার উপর চুরমার হইয়া ভাঙিয়া পড়িয়া গেল । মুহূর্তের মধ্যে সংজ্ঞা লাভ করিয়া সেই কঠোর কঠিন নিষ্ঠুর নির্বিকার পবিত্র বীর ব্রাক্ষ্মণের পদতলে দূর হইতে প্রণাম করিলাম — মনে মনে কহিলাম , হে ব্রাক্ষ্মণ , তুমি হীনের সেবা , পরের অন্ন , ধনীর দান , যুবতীর যৌবন , রমণীর প্রেম কিছুই গ্রহণ কর না ; তুমি স্বতন্ত্র , তুমি একাকী , তুমি নির্লিপ্ত , তুমি সুদূর , তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করিবার অধিকারও আমার নাই!

নবাবদুহিতাকে ভূলুণ্ঠিতমস্তকে প্রণাম করিতে দেখিয়া কেশরলাল কী মনে করিল বলিতে পারি না , কিন্তু তাহার মুখে বিস্ময় অথবা কোনো ভাবান্তর প্রকাশ পাইল না । শান্তভাবে একবার আমার মুখের দিকে চাহিল ; তাহার পরে ধীরে ধীরে উঠিল । আমি সচকিত হইয়া আশ্রয় দিবার জন্য আমার হস্ত প্রসারণ করিলাম , সে তাহা নীরবে প্রত্যাখ্যান করিল এবং বহু কষ্টে যমুনার ঘাটে গিয়া অবতীর্ণ হইল । সেখানে একটি খেয়ানৌকা বাঁধা ছিল । পার হইবার লোকও ছিল না , পার করিবার লোকও ছিল না । সেই নৌকার উপর উঠিয়া কেশরলাল বাঁধন খুলিয়া দিল , নৌকা দেখিতে দেখিতে মধ্যস্রোতে গিয়া ক্রমশ অদৃশ্য হইয়া গেল — আমার ইচ্ছা হইতে লাগিল , সমস্ত হৃদয়ভার , সমস্ত যৌবনভার , সমস্ত অনাদৃত ভক্তিভার লইয়া সেই অদৃশ্য নৌকার অভিমুখে জোড়কর করিয়া সেই নিস্তব্ধ নিশীথে সেই চন্দ্রালোকপুলকিত নিস্তরঙ্গ যমুনার মধ্যে অকাল-বৃন্তচ্যুত পুষ্পমঞ্জরীর ন্যায় এই ব্যর্থ জীবন বিসর্জন করি ।

কিন্তু পারিলাম না । আকাশের চন্দ্র , যমুনাপারের ঘনকৃষ্ণ বনরেখা , কালিন্দীর নিবিড় নীল নিষ্কম্প জলরাশি , দূরে আম্রবনের ঊর্ধ্বে আমাদের জ্যোৎস্নাচিক্কণ কেল্লার চূড়াগ্রভাগ , সকলেই নিঃশব্দগম্ভীর ঐকতানে মৃত্যুর গান গাহিল ; সেই নিশীথে গ্রহচন্দ্রতারাখচিত নিস্তব্ধ তিন ভুবন আমাকে একবাক্যে মরিতে কহিল । কেবল বীচিভঙ্গবিহীন প্রশান্ত যমুনাবক্ষোবাহিত একখানি অদৃশ্য জীর্ণ নৌকা সেই জ্যোৎস্না রজনীর সৌম্যসুন্দর শান্তশীতল অনন্ত ভুবনমোহন মৃত্যুর প্রসারিত আলিঙ্গনপাশ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া আমাকে জীবনের পথে টানিয়া লইয়া চলিল । আমি মোহস্বপ্নাভিহতার ন্যায় যমুনার তীরে তীরে কোথাও-বা কাশবন , কোথাও-বা মরুবালুকা , কোথাও-বা বন্ধুর বিদীর্ণ তট , কোথাও-বা ঘনগুল্মদুর্গম বনখণ্ডের ভিতর দিয়া চলিতে লাগিলাম । ”

এইখানে বক্তা চুপ করিল । আমিও কোনো কথা কহিলাম না ।

অনেকক্ষণ পরে নবাবদুহিতা কহিল , “ ইহার পরে ঘটনাবলী বড়ো জটিল । সে কেমন করিয়া বিশ্লেষ করিয়া পরিষ্কার করিয়া বলিব জানি না । একটা গহন অরণ্যের মাঝখান দিয়া যাত্রা করিয়াছিলাম , ঠিক কোন্‌ পথ দিয়া কখন চলিয়াছিলাম সে কি আর খুঁজিয়া বাহির করিতে পারি । কোথায় আরম্ভ করিব , কোথায় শেষ করিব , কোন্‌টা ত্যাগ করিব , কোন্‌টা রাখিব , সমস্ত কাহিনীকে কী উপায়ে এমন স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করিয়া তুলিব যাহাতে কিছুই অসাধ্য অসম্ভব অপ্রকৃত বোধ না হয় ।

গল্পটির শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!