দার্জিলিঙে গিয়া দেখিলাম , মেঘে বৃষ্টিতে দশ দিক আচ্ছন্ন । ঘরের বাহির হইতে ইচ্ছা হয় না , ঘরের মধ্যে থাকিতে আরো অনিচ্ছা জন্মে ।
হোটেলে প্রাতঃকালের আহার সমাধা করিয়া পায়ে মোটা বুট এবং আপাদমস্তক ম্যাকিন্টশ পরিয়া বেড়াইতে বাহির হইয়াছি । ক্ষণে ক্ষণে টিপ্ টিপ্ করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে এবং সর্বত্র ঘন মেঘের কুজ্ঝটিকায় মনে হইতেছে , যেন বিধাতা হিমালয়পর্বতসুদ্ধ সমস্ত বিশ্বচিত্র রবার দিয়া ঘষিয়া ঘষিয়া মুছিয়া ফেলিবার উপক্রম করিয়াছেন ।
জনশূন্য ক্যাল্কাটা রোডে একাকী পদচারণ করিতে করিতে ভাবিতেছিলাম – অবলম্বনহীন মেঘরাজ্যে আর তো ভালো লাগে না , শব্দস্পর্শরূপময়ী বিচিত্রা ধরণীমাতাকে পুনরায় পাঁচ ইন্দ্রিয় দ্বারা পাঁচ রকমে আঁকড়িয়া ধরিবার জন্য প্রাণ আকুল হইয়া উঠিয়াছে ।
এমন সময়ে অনতিদূরে রমণীকণ্ঠের সকরুণ রোদনগুঞ্জনধ্বনি শুনিতে পাইলাম । রোগশোকসংকুল সংসারে রোদনধ্বনিটা কিছুই বিচিত্র নহে , অন্যত্র অন্যসময় হইলে ফিরিয়া চাহিতাম কি না সন্দেহ , কিন্তু এই অসীম মেঘরাজ্যের মধ্যে সে রোদন সমস্ত লুপ্ত জগতের একমাত্র রোদনের মতো আমার কানে আসিয়া প্রবেশ করিল , তাহাকে তুচ্ছ বলিয়া মনে হইল না ।
শব্দ লক্ষ্য করিয়া নিকটে গিয়া দেখিলাম, গৈরিকবসনাবৃতা নারী , তাহার মস্তকে স্বর্ণকপিশ জটাভার চূড়া-আকারে আবদ্ধ , পথপ্রান্তে শিলাখণ্ডের উপর বসিয়া মৃদুস্বরে ক্রন্দন করিতেছে । তাহা সদ্যশোকের বিলাপ নহে , বহুদিনসঞ্চিত নিঃশব্দ শ্রান্তি ও অবসাদ আজ মেঘান্ধকার নির্জনতার ভারে ভাঙিয়া উচ্ছ্বসিত হইয়া পড়িতেছে ।
মনে মনে ভাবিলাম , এ বেশ হইল , ঠিক যেন ঘর-গড়া গল্পের মতো আরম্ভ হইল ; পর্বতশৃঙ্গে সন্ন্যাসিনী বসিয়া কাঁদিতেছে ইহা যে কখনো চর্মচক্ষে দেখিব এমন আশা কস্মিনকালে ছিল না ।
মেয়েটি কোন্ জাত ঠাহর হইল না । সদয় হিন্দি ভাষায় জিজ্ঞাসা করিলাম , “ কে তুমি , তোমার কী হইয়াছে । ”
প্রথমে উত্তর দিল না , মেঘের মধ্য হইতে সজলদীপ্তনেত্রে আমাকে একবার দেখিয়া লইল ।
আমি আবার কহিলাম , “ আমাকে ভয় করিয়ো না । আমি ভদ্রলোক । ”
শুনিয়া সে হাসিয়া খাস হিন্দুস্থানিতে বলিয়া উঠিল , “ বহুদিন হইতে ভয়ডরের মাথা খাইয়া বসিয়া আছি , লজ্জাশরমও নাই । বাবুজি , একসময় আমি যে- জেনানায় ছিলাম সেখানে আমার সহোদর ভাইকে প্রবেশ করিতে হইলেও অনুমতি লইতে হইত , আজ বিশ্বসংসারে আমার পর্দা নাই । ”
প্রথমটা একটু রাগ হইল ; আমার চালচলন সমস্তই সাহেবি। কিন্তু এই হতভাগিনী বিনা দ্বিধায় আমাকে বাবুজি সম্বোধন করে কেন । ভাবিলাম , এইখানেই আমার উপন্যাস শেষ করিয়া সিগারেটের ধোঁয়া উড়াইয়া উদ্যতনাসা সাহেবিয়ানার রেলগাড়ির মতো সশব্দে সবেগে সদর্পে প্রস্থান করি । অবশেষে কৌতূহল জয়লাভ করিল । আমি কিছু উচ্চভাব ধারণ করিয়া বক্রগ্রীবায় জিজ্ঞাসা করিলাম , “ তোমাকে কিছু সাহায্য করিতে পারি ? তোমার কোনো প্রার্থনা আছে ? ”
সে স্থিরভাবে আমার মুখের দিকে চাহিল এবং ক্ষণকাল পরে সংক্ষেপে উত্তর করিল , “ আমি বদ্রাওনের নবাব গোলামকাদের খাঁর পুত্রী । ”
বদ্রাওন কোন্ মুল্লুকে এবং নবাব গোলামকাদের খাঁ কোন্ নবাব এবং তাঁহার কন্যা যে কী দুঃখে সন্ন্যাসিনীবেশে দার্জিলিঙে ক্যালকাটা রোডের ধারে বসিয়া কাঁদিতে পারে আমি তাহার বিন্দুবিসর্গ জানি না এবং বিশ্বাসও করি না , কিন্তু ভাবিলাম রসভঙ্গ করিব না , গল্পটি দিব্য জমিয়া আসিতেছে ।
তৎক্ষণাৎ সুগম্ভীর মুখে সুদীর্ঘ সেলাম করিয়া কহিলাম , “ বিবিসাহেব , মাপ করো , তোমাকে চিনিতে পারি নাই । ”
চিনিতে না পারিবার অনেকগুলি যুক্তিসংগত কারণ ছিল , তাহার মধ্যে সর্বপ্রধান কারণ , তাঁহাকে পূর্বে কস্মিনকালে দেখি নাই , তাহার উপর এমনি কুয়াশা যে নিজের হাত পা কয়খানিই চিনিয়া লওয়া দুঃসাধ্য ।
বিবিসাহেবও আমার অপরাধ লইলেন না এবং সন্তষ্টকণ্ঠে দক্ষিণহস্তের ঈঙ্গিতে স্বতন্ত্র শিলাখণ্ড নির্দেশ করিয়া আমাকে অনুমতি করিলেন , “ বৈঠিয়ে । ”
দেখিলাম রমণীটির আদেশ করিবার ক্ষমতা আছে । আমি তাঁহার নিকট হইতে সেই সিক্ত শৈবালাচ্ছন্ন কঠিনবন্ধুর শিলাখণ্ডতলে আসনগ্রহণের সম্মতি প্রাপ্ত হইয়া এক অভাবনীয় সম্মান লাভ করিলাম । বদ্রাওনের গোলামকাদের খাঁর পুত্রী নুরউন্নীসা বা মেহেরউন্নীসা বা নুর-উল্মুল্ক্ আমাকে দার্জিলিঙে ক্যালকাটা রোডের ধারে তাঁহার অনতিদূরবর্তী অনতি-উচ্চ পঙ্কিল আসনে বসিবার অধিকার দিয়াছেন । হোটেল হইতে ম্যাকিন্টশ পরিয়া বাহির হইবার সময় এমন সুমহৎ সম্ভাবনা আমার স্বপ্নেরও অগোচর ছিল ।
হিমালয়বক্ষে শিলাতলে একান্তে দুইটি পান্থ নরনারীর রহস্যালাপকাহিনী সহসা সদ্যসম্পূর্ণ কবোষ্ণ কাব্যকথার মতো শুনিতে হয় , পাঠকের হৃদয়ের মধ্যে দূরাগত নির্জন গিরিকন্দরের নির্ঝরপ্রপাতধ্বনি এবং কালিদাস-রচিত মেঘদূত-কুমারসম্ভবের বিচিত্র সংগীতমর্মর জাগ্রত হইয়া উঠিতে থাকে , তথাপি এ কথা সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে যে , বুট এবং ম্যাকিন্টশ পরিয়া ক্যালকাটা রোডের ধারে কর্দমাসনে এক দীনবেশিনী হিন্দুস্থানী রমণীর সহিত একত্র উপবেশনপূর্বক সম্পূর্ণ আত্মগৌরব অক্ষুণ্নভাবে অনুভব করিতে পারে, এমন নব্যবঙ্গ অতি অল্পই আছে । কিন্তু সেদিন ঘনঘোর বাষ্পে দশদিক আবৃত ছিল , সংসারের নিকট চক্ষুলজ্জা রাখিবার কোনো বিষয় কোথাও ছিল না , কেবল অনন্ত মেঘরাজ্যের মধ্যে বদ্রাওনের নবাব গোলামকাদের খাঁর পুত্রী এবং আমি, এক নববিকশিত বাঙালি সাহেব — দুইজনে দুইখানি প্রস্তরের উপর বিশ্বজগতের দুইখণ্ড প্রলয়াবশেষের ন্যায় অবশিষ্ট ছিলাম , এই বিসদৃশ সম্মিলনের পরম পরিহাস কেবল আমাদের অদৃষ্টের গোচর ছিল , কাহারো দৃষ্টিগোচর ছিল না ।
আমি কহিলাম , “ বিবিসাহেব , তোমার এ হাল কে করিল । ”
বদ্রাওনকুমারী কপালে করাঘাত করিলেন । কহিলেন , “ কে সমস্ত করায় তা আমি কি জানি! এতবড়ো প্রস্তরময় কঠিন হিমালয়কে কে সামান্য বাষ্পের মেঘে অন্তরাল করিয়াছে । ”
আমি কোনোরূপ দার্শনিক তর্ক না তুলিয়া সমস্ত স্বীকার করিয়া লইলাম; কহিলাম , “ তা বটে , অদৃষ্টের রহস্য কে জানে! আমরা তো কীটমাত্র । ”
তর্ক তুলিতাম , বিবিসাহেবকে আমি এত সহজে নিষ্কৃতি দিতাম না কিন্তু আমার ভাষায় কুলাইত না । দারোয়ান এবং বেহারাদের সংসর্গে যেটুকু হিন্দি অভ্যস্ত হইয়াছে তাহাতে ক্যালকাটা রোডের ধারে বসিয়া বদ্রাওনের অথবা অন্য কোনো স্থানের কোনা নবাবপুত্রীর সহিত অদৃষ্টবাদ ও স্বাধীন-ইচ্ছা-বাদ সম্বন্ধে সুস্পষ্টভাবে আলোচনা করা আমার পক্ষে অসম্ভব হইত ।
বিবিসাহেব কহিলেন , “ আমার জীবনের আশ্চর্য কাহিনী অদ্যই পরিসমাপ্ত হইয়াছে , যদি ফরমায়েস করেন তো বলি । ”
আমি শশব্যস্ত হইয়া কহিলাম , “ বিলক্ষণ! ফরমায়েস কিসের । যদি অনুগ্রহ করেন তো শুনিয়া শ্রবণ সার্থক হইবে । ”
কেহ না মনে করেন , আমি ঠিক এই কথাগুলি এমনিভাবে হিন্দুস্থানি ভাষায় বলিয়াছিলাম , বলিবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সামর্থ্য ছিল না । বিবিসাহেব যখন কথা কহিতেছিলেন আমার মনে হইতেছিল , যেন শিশিরস্নাত স্বর্ণশীর্ষ স্নিগ্ধশ্যামল শস্যক্ষেত্রের উপর দিয়া প্রভাতের মন্দমধুর বায়ু হিল্লোলিত হইয়া যাইতেছে , তাহার পদে পদে এমন সহজ নম্রতা , এমন সৌন্দর্য , এমন বাক্যের অবারিত প্রবাহ । আর আমি অতি সংক্ষেপে খণ্ড খণ্ড ভাবে বর্বরের মতো সোজা সোজা উত্তর দিতেছিলাম । ভাষায় সেরূপ সুসম্পূর্ণ অবিচ্ছিন্ন সহজ শিষ্টতা আমার কোনোকালে জানা ছিল না ; বিবিসাহেবের সহিত কথা কহিবার সময় এই প্রথম নিজের আচরণের দীনতা পদে পদে অনুভব করিতে লাগিলাম ।
তিনি কহিলেন , “ আমার পিতৃকূলে দিল্লির সম্রাটবংশের রক্ত প্রবাহিত ছিল , সেই কুলগর্ব রক্ষা করিতে গিয়া আমার উপযুক্ত পাত্রের সন্ধান পাওয়া দুঃসাধ্য হইয়াছিল । লক্ষ্মৌয়ের নবাবের সহিত আমার সম্বন্ধের প্রস্তাব আসিয়াছিল , পিতা ইতস্তত করিতেছিলেন, এমনসময় দাঁতে টোটা কাটা লইয়া সিপাহিলোকের সহিত সরকারবাহাদুরের লড়াই বাধিল , কামানের ধোঁয়ায় হিন্দুস্থান অন্ধকার হইয়া গেল । ”
স্ত্রীকণ্ঠে , বিশেষ সম্ভ্রান্ত মহিলার মুখে হিন্দুস্থানি কখনো শুনি নাই , শুনিয়া স্পষ্ট বুঝিতে পারিলাম , এ ভাষা আমিরের ভাষা — এ যে দিনের ভাষা সে দিন আর নাই , আজ রেলওয়ে টেলিগ্রাফে , কাজের ভিড়ে , আভিজাত্যের বিলোপে সমস্তই যেন হ্রস্ব খর্ব নিরলংকার হইয়া গেছে । নবাবজাদীর ভাষামাত্র শুনিয়া সেই ইংরাজ-রচিত আধুনিক শৈলনগরী দার্জিলিঙের ঘনকুজ্ঝটিকাজালের মধ্যে আমার মনশ্চক্ষের সম্মুখে মোগলসম্রাটের মানসপুরী মায়াবলে জাগিয়া উঠিতে লাগিল — শ্বেতপ্রস্তর-রচিত বড়ো বড়ো অভ্রভেদী সৌধশ্রেণী , পথে লম্বপুচ্ছ অশ্বপৃষ্ঠে মছলন্দের সাজ , হস্তীপৃষ্ঠে স্বর্ণঝালরখচিত হাওদা , পুরবাসিগণের মস্তকে বিচিত্রবর্ণের উষ্ণীষ , শালের রেশমের মস্লিনের প্রচুরপ্রসর জামা পায়জামা , কোমরবন্ধে বক্র তরবারি , জরির জুতার অগ্রভাগে বক্র শীর্ষ — সুদীর্ঘ অবসর , সুলম্ব পরিচ্ছদ , সুপ্রচুর শিষ্টাচার ।
নবাবপুত্রী কহিলেন , “ আমাদের কেল্লা যমুনার তীরে । আমাদের ফৌজের অধিনায়ক ছিল একজন হিন্দু ব্রাক্ষ্মণ । তাহার নাম ছিল কেশরলাল । ”
রমণী এই কেশরলাল শব্দটির উপর তাহার নারীকণ্ঠের সমস্ত সংগীত যেন একেবারে এক মুহূর্তে উপুড় করিয়া ঢালিয়া দিল । আমি ছড়িটা ভূমিতে রাখিয়া নড়িয়া-চড়িয়া খাড়া হইয়া বসিলাম ।
“ কেশরলাল পরম হিন্দু ছিল । আমি প্রত্যহ প্রত্যুষে উঠিয়া অন্তঃপুরের গবাক্ষ হইতে দেখিতাম , কেশরলাল আবক্ষ যমুনার জলে নিমগ্ন হইয়া প্রদক্ষিণ করিতে করিতে জোড়করে উর্ধ্বমুখে নবোদিতসূর্যের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করিত । পরে সিক্তবস্ত্রে ঘাটে বসিয়া একাগ্রমনে জপ সমাপন করিয়া পরিষ্কার সুকণ্ঠে ভৈরোঁ রাগে ভজনগান করিতে করিতে গৃহে ফিরিয়া আসিত ।
আমি মুসলমানবালিকা ছিলাম কিন্তু কখনো স্বধর্মের কথা শুনি নাই এবং স্বধর্মসংগত উপাসনাবিধিও জানিতাম না ; তখনকার দিনে বিলাসে মদ্যপানে স্বেচ্ছাচারে আমাদের পুরুষের মধ্যে ধর্মবন্ধন শিথিল হইয়া গিয়াছিল এবং অন্তঃপুরের প্রমোদভবনেও ধর্ম সজীব ছিল না ।
বিধাতা আমার মনে বোধকরি স্বাভাবিক ধর্মপিপাসা দিয়াছিলেন । অথবা আর কোনো নিগূঢ় কারণ ছিল কি না বলিতে পারি না, কিন্তু প্রত্যহ প্রশান্ত প্রভাতে নবোন্মেষিত অরুণালোকে নিস্তরঙ্গ নীল যমুনার নির্জন শ্বেত সোপানতটে কেশরলালের পূজার্চনাদৃশ্যে আমার সদ্যসুপ্তোত্থিত অন্তঃকরণ একটি অব্যক্ত ভক্তিমাধুর্যে পরিপ্লুত হইয়া যাইত ।
নিয়ত সংযত শুদ্ধাচারে ব্রাক্ষ্মণ কেশরলালের গৌরবর্ণ প্রাণসার সুন্দর তনু দেহখানি ধূমলেশহীন জ্যোতিঃশিখার মতো বোধ হইত ; ব্রাক্ষ্মণের পুণ্যমাহাত্ম্য অপূর্ব শ্রদ্ধাভরে এই মুসলমানদুহিতার মূঢ় হৃদয়কে বিনম্র করিয়া দিত ।
আমার একটি হিন্দু বাঁদি ছিল , সে প্রতিদিন নত হইয়া প্রণাম করিয়া কেশরলালের পদধূলি লইয়া আসিত , দেখিয়া আমার আনন্দও হইত ঈর্ষাও জন্মিত । ক্রিয়াকর্মপার্বণ উপলক্ষ্যে এই বন্দিনী মধ্যে মধ্যে ব্রাক্ষ্মণভোজন করাইয়া দক্ষিণা দিত । আমি নিজে হইতে তাহাকে অর্থসাহায্য করিয়া বলিতাম , ‘ তুই কেশরলালকে নিমন্ত্রণ করিবি না ? ‘ সে জিভ কাটিয়া বলিত , ‘