দুই শহরের তিন বোকার ঘটনা

সিরিয়ায় হেমস নামে একটি শহর আছে। সে শহরের লোকেরা বোকা হিসাবে প্রসিদ্ধ। একদিন এক ব্যক্তি সেখানে গিয়ে দেখে এক মসজিদের মুয়াজ্জিন ছুটিতে গিয়েছে আর আযান দেওয়ার জন্য এক ইহুদীকে মসজিদে রেখে গেছে। ইহুদী আযান দিল বটে কিন্তু-

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (আঃ) আল্লাহর রাসূল)।

ওর স্থলে বলছে- ( এই মহল্লার লোকেরা সাক্ষ্য দেয় যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল।) লোকটি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো- আযানের শব্দে এ পরিবর্তন কেন?

ইহুদী জবাব দিল, আমি মুহাম্মদ (সাঃ) এর রাসূল হওয়ার সাক্ষ্য দিতে পারি না। তাই এ কৌশল।

এ হেমস শহরের আরেকটি ঘটনা

এক মসজিদে ইমাম সাহেব নামাজ পড়ছিল। সবকিছু ঠিক মত আদায় করছিল, কিন্তু একপাশ থেকে একটি পা তুলে রেখেছিল। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, নামাযের মধ্যে এক পা তুলে রাখার অর্থ কি?

ইমাম সাহেব বললেন, এ পায়ে ময়লা জাতীয় কিছু লেগে নাপাক হয়ে গিয়েছিল। ধোয়ার সময় পাইনি। তাই নামায থেকে পা দু’টা পৃথক করে রেখেছিলাম।

ঝাসি শহরের এক বুযুর্গ বয়ান করেন যে এক ব্যক্তি নামাযের ইমামতি করতে গিয়ে সিজদায়ে সাহূ করলো। কিন্তু প্রাকাশ্য দৃষ্টিতে নামাযে কোন ভুল ছিল না। সবাই জিজ্ঞেস করলো, নামাযে কি হয়েছিল?

ইমাম সাহেব বললেন, হালকা বায়ু বের হয়ে গিয়েছিল। তাই সিজদায়ে সাহূ করে নিলাম। (সুতরাং এ ধরণের বোকাও সামাজে অনেক আছে।)

(আল-এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহ; খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-২৯৮)

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।