বিবাহের পর এই প্রথমৈ আসলেন শ্বাশুড়বাড়ি ,রাতের খাবারের আয়োজন ,টেবিলে বসে তিনি বললেন ,দাদু কয় ,ডাকেন না ,ভাত খাবে না ?
শ্বাশুড়ী ,বৌ বলে ,দাদু দাদু আমতা নামতা ,কোন রকম ভাবে বলে দাদুকে ডাকছি ।লজ্জাবশতঃ ডাকা ,বলা যেতে পারে ।
দাদু আসল ,বসল ,যথারীতি ভাত দেয়া শুরু …. চিংড়ী ,চিকেন,ডিম …
দাদু কোন ভাবেই ডিম ,চিংড়ী নেই না ,কোন ভাবে চিকেন নিয়ে ভাত খেল …
চিংড়ী দিতে গেলে দাদু বলে ,না না চুলকানী তো তাই খাব না …
এই দিতে গেলে দাদু নানান বাহানা দেই …
ব্যাপারটা মূলতঃ শ্বাশুড়ী বৌ এর জন্য ,
আসলে যদি এই দামী চিংড়ী আর মাছ এই সেই নেই তাহলে ভাত শেষে বৌ ,নতুন জামায়ের আড়ালে দাদুকে মেরে ফেলার উপক্রম করবে …
জামাইকে শুধুমাত্র শ্বাশুড়ীপ্রেম দেখার জন্য এই অভিনয় ….
আধুনিক যুগে ,এমন হাজারো পরিবার পাওয়া যায় যেখানে শ্বাশুড়ীর কোন স্থান নেই পরিবারে ।
সন্তান থেকেও সন্তানহারা হয় মা ,বৌ এর মা হয়ে যায় গর্ভবতী মা …. আর গর্ভবতী মা হয়ে যায় কাজের বোয়ার মত …
দুবেলা ভাতের সাথে চার বেলা গালিগালাজ ,সাথে কিছু যুক্তশব্দ ….
একদিন দাদু মারা যায় ,
পুত্র কাঁদে ,বৌ মা ও কাঁদে ,বৌ কাঁদে ছায়াছবির অভিনয় ,কারণ কতৃত্ব এখন বৌ এর হাতেই আর মন বলে ,দূর হল ঘর থেকে ,মাথা হালকা হল ….
পরের বার দাদুর পিড়িতে নিশ্চয় বৌ মাকে বসতে হবে এবং পুত্রের স্থানে তাদের সন্তান ….. আর ভবিষ্যত বলে দিবে …..
দাদুর ডায়ীরের শেষ কিছু পাতায় আরো কি লিখা ছিল ,সম্ভবত পুত্রের ভবিষ্যত নিয়ে ,ডায়েরীর পাতাগুলো ঘুণে ধরা তাই তা আর জানা যায় নি …..
এমন অনেক গল্প দাদুর ডায়েরীতে জমা ছিল ,তবে জীবনের গল্পগুলো ঘুণে খেয়ে গেল ,ঠিক দাদুর পুত্রের জীবনের মত ….
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।