ঘটনাটি ঘটেছিলো আমারদাদির সাথে। আমার দাদাছিলেনএকজনওঝা টাইপের লোক। তিনি জিনতারাতে পারতেন। তিনি যখনইজিনতারাতে বাড়ির বাইরে যেতেন তখনব াড়ি শক্তকরে বন্ধকদিয়ে যেতেনএবং সেদিন বাড়ি থেকেবের হওয়া সকলেরমানা থাকতো। দাদা একদিন খুবতাড়াহুড়ারসহিত জিন তারাতে রওনা হলেন। সেদিনতিনি বাড়ি বন্ধকদিতে ভুলেযান।তিনি যেইবাসায় জিন তারাতে গিয়েছিলেন সেইবাসায় পৌঁছতে পৌঁছতে তার রাত৮টারমতো বেজে যায়। তিনিঅনেকসাধনা করে একসময় জিনটাকে পরাজিত করেনএবং জিনটা যাকে ভর করেছিলো তার দেহথেকে জিনটাকে ছাড়িয়ে দেন।
জিনটাকে ছাড়িয়ে দিতেই সেটা হুংকারদিয়ে বলে, “আমিগেলাম তোর বাড়িতে!”তো দাদা উত্তর দিলেন, “যা, তুই যা পারিসকর!” কিন্তু সাথে সাথেই দাদার খেয়াল হলযে তিনি আজ তাড়াহুড়ায় বাড়ি বন্ধকদিয়ে বের হতে ভুলে গেছেন। এরইমধ্যে জিনটা দাদার বাড়িতে এসে দাদাররূপও কণ্ঠ নিয়ে ঘরেরবাইরে দাঁড়িয়ে দাদিকে ডাক দিলেন,“জমিনা, বদনাটা নিয়া একটু আসো তো!”দাদিভাবলেন দাদা হয়তোটয়লেটে যাবেন আরগ্রামের টয়লেটগুলো বাড়ি থেকে একটুদূরে হয়। দাদি পানি নিয়ে বের হয়ে খেয়ালকরলেন যে দাদা টয়লেটেরদিকেনা গিয়ে বাগানেরদিকে চলে যাচ্ছেন।দাদি সাথে সাথে বুঝতে পারলেনযে এটা দাদা নয়। তাই তিনি দ্রুত ঘরেরদিকে চলে আসতে লাগলেন।হটাতএকটা দমকা বাতাসে দাদির হাতেরকুপিটা নিভে গেলো।
তিনি দৌড় দিলেন ঘরেরদিকে। কিন্তু জিনটা একটানেদাদিকেউঠানেরপাশ থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশেরপুকুরে ফেলে দিলো এবং চুবাতে শুরু করলো।তখনবাড়িতে আমার ফুফু এবং ফুফা ছিলেন।দাদি বিপদের মুহূর্তে মত্র একবার বড় ফুফুরনাম ধরে ডাক দিতে পেরেছিলেন।তিনি “আকলিমা” বলে ডাক দেনএবং সৌভাগ্যবশত সেই ডাক আমার ফুফুরকানে পৌঁছায়। আমার ফুফু এবং ফুফা দৌড়ে এসে দেখেন দাদি পুকুরের মাঝে অজ্ঞান অবস্থায় ভাসছেন। এরপরতারা দাদিকে দ্রুত উদ্ধারকরে ঘরে নিয়ে যানএবং সেবা চিকিৎসা করে দাদিকে করে তোলাঘটনা এখানে শেষ হলে ভালো হতো।
কিন্তু এরপর থেকে দাদি প্রায়ই কিছু ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখতে লাগলেন। দাদা তাই আমাদেরপুরো বাড়ি শিক দিয়ে দেন এবংসন্ধ্যারপরকারো বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। এরপর দাদা জীবিত থাকাকালীন সময়ে আর কিছু ঘটেনি।দাদা মারা যাওয়ার পর থেকে প্রতিবেশীরা কেউ রাত২/৩টার দিকে বাড়ির বাইরে বের হলে দেখতে পানযে, সেই পুকুরের পাড়ে আমার দাদারপ্রতিরুপি কেউ একজন বসে আছে। হয়তো ঐটাইসেই জিনটা যার প্রতিশোধ নেয়া এখনো শেষহয় নি।অথবা হয়তো এটা দাদার আত্মা যা আমাদের রক্ষা করার জন্য এখনো আসে।