দম ফাটানো হাসির গল্প!

আক্কেল আলী ইদানীং বেশ কিছু যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে । এদের মধ্যে একটা হল রোজ রাতে রং নাম্বার থেকে ফোন আসছে । আক্কেল আলী প্রথম প্রথম ভদ্রভাবে ফোন ধরে বলেছে,
হ্যালো কে?
সাত আসমান থেকে বলতেছি বাবা
কে আপনে?
বাবা তুমি আমারে চিনবা না । আমি তোমারে চিনি
আগে বলেন কে আপনে?
এতো অধৈর্য হচ্ছ কেন বাবা । বললাম তো আমি সাত আসমান থেকে কল করেছি । আমারে সবাই কলা বাবা বইল্যা ডাকে
কলা বাবা?
তুমি আমার দরবারে পঞ্চাশ হাজার টাকা বিকাশ করবা । তোমার বালা মসিবত কেটে যাবে
কি বলেন এই সব । এতো টাকা আমি কই পাব ।
বাবা তুমি এক কাজ কর তোমার তো দুইটা কিডনি একটা বিক্রয় ডট কমে বিক্রি করে দেও
কি বলেন এগুলা?
বাবারে কলা বাবা যা বলে সাচ্চা কথা বলে । কথা বুঝার চেষ্টা কর ।
আপনি কি আমার সাথে ফাইজলামি করতেছেন?
কলা বাবা কারো সাথে ফাজলামি করে না ।
আমার মনে হইতেছে আপনি ফাইজলামি করতেছেন । আমি ফোন রাখি…
বলেই আক্কেল আলী ফোন কেটে দিয়েছে । সাথে সাথে আবার মিস কল আসছে বেশ কবার । আক্কেল আলী বিরক্ত হয়ে ফোন ব্যাক করে বলেছে,
ঐ মিয়া? আপনি খালী মিসকল মারেন কেন?
কলা বাবারে মিয়া বলতে নাই । বাবা ডাকো । কলা বাবা
ঐ মিয়া আপনে ফাইজলামি করেন কেন?
আক্কেল তোমার বিপদ দূর হবে । টাকা বিকাশ কর ।
ধুরু মিয়া । আর মিস কল দিয়েন না ।
বাবারে মিস কল আমাকে দিতেই হবে ।
মিস কল দিলে মিস কল খেয়ে ফেলব বলতেছি
বাবারে তুমি বড় অভদ্রতা করতেছ
ঐ কিসের অভদ্র মিয়া?
মিয়া ডাকো কেন? বাবা ডাকো । কলা বাবা । হক মাউলা
আক্কেল রেগে গিয়ে বলেছে,
কলা বাবা আরেক বার আমারে মিসকল দিলে কলা তোমার পাছা দিয়ে ঢুকাই দিব
এই বলে আক্কেল আলী লাইন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছে । পরের দিন সকালে ফোন অন করতেই কলা বাবার ম্যাসেজ এসেছে,
শুভ সকাল আক্কেল আলী । গতকাল রাতে তুমি বড় খারাপ আচরন করেছ । বেশী কিছু বলব না তোমায় । হালকা করে একটা গালি দিতেছি “তুই গু খা”
আক্কেল আলী রেগে মেগে আবার ঐ নাম্বারে ফোন দিয়ে নাম্বার বন্ধ পেয়েছে ।
আক্কেল আলীর বিয়ে ঠিক হয়েছে । মেয়ের নাম সাদিয়া । আক্কেল আলী ইতিমধ্যেই পাত্রীকে দেখেছে । বড়ই কিউট মেয়ে । মেয়ের বাবা যৌতূক দিতেছে মোটা অংকের । আক্কেল আলী বড়ই খুশী । পাত্রী তার পছন্দ হয়েছে ।
পাত্রীকে দেখার পর আক্কেল আলী খুশিতে তিন লাইন কবিতা লিখে ফেলেছে,
হে মোর প্রিয়া সাদিয়া
কবে খাব তোমার হাতের রান্না?
দিবে তুমি রাঁধিয়া
কবিতা বড় করা যাচ্ছে না । আক্কেল আলীর ইচ্ছা কবিতাটা বড় করে শোবার ঘরে ফ্রেমে বাঁধাই করে টানিয়ে রাখা । কবিতার নাম এখনো ঠিক হয় নি । তবে নিচে খুব সুন্দর করে লিখা থাকবে কবিঃ আক্কেল আলী ।
আক্কেল আলী কবিতার ব্যাপারে অনেকক্ষন চিন্তা ভাবনা করেছে । কবিতা টেনে লম্বা করা যাচ্ছে না । এই ব্যাপারে সে রাতের বেলা কলা বাবার সাথে কথা বলেছে । কলা বাবা মিস দেবার পর কলা বাবাকে সে জিজ্ঞেস করেছে । পরের দুইটা লাইন কি হতে পারে?
কলা বাবা উচ্ছ্বাস এর স্বরে বলেছে । দাড়াও এখনই সাদিয়াকে নিয়ে কবিতা বানিয়ে দিচ্ছি । কবিতাটার শুরু হবে এমন,
হে প্রিয়তমা সাদিয়া
কেন চুপিসারে দিলা তুমি পাদিয়া?
কলা বাবার কথা শুনে আক্কেল আলী বড় বিরক্ত হয়েছে । সে ভদ্র ভাবে কলা বাবাকে “হালার ঘরে হালা” গালি দিয়ে লাইন কেটে দিয়েছে ।
কলা বাবা তাকে তেমন কিছু বলে নাই । শুধু ছোট করে এক লাইনের একটা ম্যাসেজ দিয়েছে । ম্যাসেজে লিখা “তুই গু খা”
আক্কেল আলী বুঝতে পারছে না । এইসব কি হচ্ছে তার সাথে । কে এই কলা বাবা? এই ব্যাপারে কার সাথে কথা বলা যায়? সাদিয়ার সাথে কথা বললে কেমন হয়?
আক্কেল আলী সাদিয়াকে ফোন দিল,
হ্যালো
হ্যালো জান প্রান সোনা মনা টিয়া কি কর?
মানে?
মানে বলতেছি কি করতেছ এখন?
বইসা আছি কিন্তু আপনে কেডা?
মশকরা করতেছ? কর বেবি কর । এখন তো মশকরা করারই সময় ।
মানে?
এতো মানে মানে কইর না তো । একটা কথা বলি?
কি বলবেন?
তোমারে একটা চুমা দেই?
আক্কেল আলী অনুমতির অপেক্ষা করল না । মোবাইল মুখের কাছে এনে বলল,
উম্মাহ
ওপাশ থেকে বিকট চিৎকার শোনা গেল,
ঐ হারামজাদার ঘরে হারামজাদা তুই কেডারে?
এমন বিকট চিৎকার শোনে আক্কেল আলী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল । মিন মিন করে বলল,
আমি আক্কেল । আক্কেল আলী । আপনে সাদিয়া না?
অহ হো জামাই বাবাজী নাকি?
উ?
আরে আমি আমি । আমারে চিনতেছ না? আমি সাদিয়ার খালা ।
আক্কেল আলী বিশাল লজ্জা পেয়ে কিছু না বলেই ফোন কেটে দিল । বিয়ের দুইদিন বাকী । এর মাঝে এসব কি শুরু হল!
আক্কেল আলী এক বন্ধুর কাছ থেকে পরমার্শ নিল । গালিব নামে তার এক বন্ধু আছে । গালিব তাকে পরামর্শ দিল । গামছা বাবা নামে এক পীর বাবা আছেন । উনার কাছে যেতে । উনি জটিল জটিল সমস্যার সমাধান দিতে পারেন ।
আক্কেল আলী গালিব কে নিয়ে গামছা বাবার কাছে গেল । গামছা বাবার সামনে যেতেই গামছা বাবা চোখ বন্ধ করে ফেললেন,
রোগীর সমস্যা তো বড় জটিল
জি বাবা
হুম
আসলে হয়েছে কি বাবা
আহা আমাকে সমস্যা বলে দিতে হবে না । আমি জানি মূল সমস্যা কোথায় । সব ইশারা পাই আমি ।
বলতে বলতে গামছা বাবা উঠে দাঁড়ালেন । তারপর গালিবের দিকে তাকিয়ে বললেন,
তোমার সাত দিন যাবত ঘন ঘন টয়লেট যেতে হচ্ছে । এই তো সমস্যা?
গালিব চোখ বড় বড় করে বলল,
না তো বাবা
এর মাঝেই গামছা বাবার সাগরেদ এসে গালিব এর কানে ফিশফিশ করে বলে গেল,
বাবা যা বলে তাতেই হ্যা হ্যা করতে । না হলে বাবা নারাজ হবেন । বাবার উপরে কোন কথা নাই
গামছা বাবা গামছা কোমরে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন । গামছা অত্যন্ত পাতলা । গামছার ভেতর দিয়ে বাবার যন্ত্রপাতির একটা সচ্ছা অবয়ব চোখে পড়ছে । তাছাড়া গামছা ঝুলে আছে আশংকাজনক অবস্থায় । যে কোন মুহূর্তে খুলে যাবে ।
গামছা বাবা গালিবের দিকে তাকিয়ে বললেন,
তোমার ঘন ঘন পেট খারাপ হয়?
জি বাবা? জি বাবা । জি বাবা ।
তুমি রোজ সকালে গামছা পড়ে রাস্তায় দৌড়াইবা
জি বাবা
এখন বল তোমার নাম কি?
আমার নাম আক্কেল আলী বাবা
তোমার নাম আক্কেল আলী বাবা?
না বাবা । আমার নাম বাবা আক্কেল আলী?
তোমার নাম তাইলে বাবা আক্কেল আলী? তুমি নিজেই তো তাইলে বাবা হয়ে গেছ । তা আমার কাছে কি?
না বাবা আমার নাম শুধু আক্কেল আলী । আক্কেল আলী ।
অহ তাই বল । তোমার সমস্যা কি?
আক্কেল আলী পকেট থেকে মোবাইল বের করতে করতে গামছা বাবাকে বলল,
আসলে বাবা একটা রং নাম্বার থেকে আমার কাছে ফোন আসে ।
কে ফোন দেয়?
কলা বাবা
কলা বাবা? এইটা আবার কে?
আক্কেল আলী বলল,
বাবা আপনিই ফোন করে কথা বলে দেখেন কলা বাবা আসলে কে?
গামছা বাব রেগে মেগে বলল,
আমার কাছে কলা বাবার বেইল নাই । ইস্ট ওর ওয়েস্ট গামছা বাবা ইজ দ্যা বেস্ট ।
গামছা বাবা ফোন কানে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল,
হ্যালো কে তুই?
আমি কলা বাবা তুই কে?
আমি গামছা বাবা
তুই কোন দিনের গামছা বাবা?
তুই কোন দিনের কলা বাবা?
শোন গামছা বাবা তোর পাছায় এমন এক কিক দিব গামছা কই উড়ে যাবে দিশ পাইবি না ।
– কলা বাবা তোরে কিন্তু ছিইলা ফালাব
গামছা বাবার পাওয়ার জানিস? তুই আমার ভক্তরে আর বিরক্ত করবি না
শোন গামছা বাবা । চড় দিমু তোর গালে, তোর কোমরের গামছা গিয়া পড়ব খালে
কলা বাবার ডায়লগ শুনে গামছা বাবার সত্যিই কোমর থেকে গামছা উড়ে গেল । গামছা বাবা দাঁত কিড়মিড় করে কিছু বলতে চাচ্ছিল কিন্তু ব্যালেন্স শেষ হয়ে লাইন কেটে গেল ।
গামছা বাবা আক্কেল আলীকে মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে লক্ষ্য করল তার কোমরে কোন গামছা নেই । অনেক আগেই খুলে বাতাসে উড়ে গেছে । গামছা বাবা এই দৃশ্য দেখে বিড়বিড় করে বললম
কেউ আমারে মাইরালা
তারপর বেহুঁশ হয়ে গেল ।
গামছা বাবার সাগরেদ এসে বলল,
বাবা এখন ধ্যানে গেছেন । আপনারা পরে আবার আসিয়েন ।
আক্কেল আলী হতাশ হয়ে বাসায় ফিরল । একদিন পার হলেই সাদিয়ার সাথে তার বিয়ে । এর মাঝে এই সমস্যার সমাধান হল না । আক্কেল আলী যখন হতাশ হয়ে শুয়ে আছে । তখন কলা বাবার নাম্বার থেকে সরাসরি ফোন আসল ।
আক্কেল আলী প্রথম বার ফোন ধরল না । দ্বিতীয়বার ফোন ধরবে না ধরবে না ভেবেও ধরল ।
কি’রে আক্কেল?
হু
তোমার নাকি একদিন পর বিয়া
আক্কেল আলী কিছুটা হকচকিয়ে গেল । কলা বাব তার বিয়ের কথাও জেনে গেছে । কলা বাবা তো সত্যিই পাওয়ারফুল । গামছা বাবাও বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিল ।
আক্কেল আলী মিনতি করে বললম,
বাবা আপনি আসলে আমার কাছে কি চান?
তেমন কিছুই না
আমার অপরাধ কি বাবা?
তেমন কিছুই না
তাহলে বাবা কেন শুধু আমারে এই মাঝ রাতে ফোন দেন
শোনলাম তোমার বিয়া । তাই ফোন করলাম । আর শোনলাম তুমি নাকি মোটা অংকের যৌতূক নিতেছ
জি না । জি বাবা ।
ভালো । খুব ভালো । আক্কেল আলী তুমি কি নিজেকে ভালো মানুষ মনে কর?
জি বাবা
কেন মনে কর?
আমি কারো ক্ষতি করি না
ভালো মানুষ তো যৌতূক নেয় না । তুমি কেন নিতেছ? তোমারে টাকা দিতে তোমার শশুর জমি বন্ধক দিয়েছেন ।
আক্কেল আলী চুপ করে রইল । ওপাশ থেকে ভরাট কণ্ঠস্বরে কলা বাবা বলল,
ভালো মানুষ হও আক্কেল আলী । জোর করে যৌতূক নেয়া ভালো মানুষের কাজ না । ভালো থাকো । আমার নাম্বার বন্ধ থাকবে । কলা বাবার সাথে এটাই তোমার শেষ আলাপ
বাবা একটা কথা শুনেন
বল
বাবা আমি কি যৌতূক নিয়ে কোন অপরাধ করেছি?
এটা তোমার বিবেক কে জিজ্ঞেস কর । একটা কন্যাকে তার বাবা কত কষ্ট করে লালন করেছেন । এখন বিয়ে দিতেও যৌতূক দিতেছেন । সবাই তো মানুষ । মেয়েরা কি কুরবানির হাঁটের গরু ছাগল নাকি?
আক্কেল আলী চুপ করে রইল । ওপাশ থেকে লাইন কেটে গেল । আক্কেল আলী সারা রাত ঘুমাতে পারল না । পরদিন ভোরে সাদিয়াদের বাসায় গেল আক্কেল আলী ।
সাদিয়ার বাবাকে বলল,
আমি যৌতূক নিয়ে বিয়ে করতে পারব না ।
সাদিয়ার বাবা পরম ভালোবাসায় আক্কেল আলীকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন । তিনি আসলে সবাইকে না জানিয়ে একমাত্র বাড়িটাই বন্ধক দিয়ে ফেলেছিলেন ।
পরদিন বাসর ঘরে ঢুকে আক্কেল আলী কতগুলো কলা দেখতে পেল । আক্কেল আলীর প্রচুর ক্ষুধা লেগেছিল । ক্ষুধার পেটে কলা খেতে খেতে নতুন বৌকে জিজ্ঞেস করল,
কলা কে আনল?
স্ত্রী কোন সাড়া দিল না । তবে আন্দাজ করা গেল বৌ আঁচলের নিচে ফিক করে হেসে ফেলেছে । আক্কেল আলী সেদিকে লক্ষ্য না করে এক বসায় বার টা কলা খেয়ে ফেলল ।
কলা খেতে খেতে কলার উপকারিতা নিয়েও সে একটা ভালো বক্তৃতা দিয়ে ফেলল । কিন্তু সমস্যা হল কলা খাওয়ার পর । এতো গুলা কলা খেয়ে পেটে মোচড় দিল । আক্কেল আলী বিড়বিড় করে বলল,
টয়লেট টা কোন দিকে?
গ্রামের বাড়ির টয়লেট থাকে জঙ্গলে আক্কেল আলীকে বাধ্য হয়েই বৌকে বাসর ঘরে রেখে টয়লেটে যেতে হল । এরপর দেখা দিল আরেক সমস্যা । শশুর বাড়ির শালা শালীরা সব মিলে টের পেয়ে টয়লেটের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়ে হাসাহাসি করে বলতে লাগল,
দুলাভাই হাগতেছে রে দুলাভাই হাগে
দাদী শ্রেণীর মহিলারা এসব ছেলেমেয়েদের একটু একটু ধমক দিয়ে হাসিতে যোগ দিল । শেষ মেষ সাদিয়া এসে আক্কেল আলীকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল ।
বাসর ঘরে গিয়ে দরজার খিল লাগাতেই কারেন্ট চলে গেল । দেশলাই এর বাক্স কই আছে বলা মুশকিল ।অন্ধকারে সাদিয়া এবং আক্কেল আলী হাতড়ে হাতড়ে বিছানার দিকে যাবার চেষ্টা করল ।
কিন্তু ফ্লোরে পড়ে থাকা কলার বাকলে পা ফেলে পিচ্ছিল খেয়ে আক্কেল আলী সাদিয়ার উপরে গিয়ে পড়ল । সাদিয়া ধাক্কার বেগ সামলাতে না পেরে সোজা বিছানায় গিয়ে পড়ল ।
আর তখনই মোবাইল এ একটা ম্যাসেজ আসল । কলা বাবার নাম্বার থেকে । ম্যাসেজ টা এমন,
দুলাভাই সরি ফর ফান । আমার বোন কে শক্ত করে ধরে রাখিয়েন । হা হা হা
আক্কেল আলী মোবাইল এর ডিসপ্লে এর নীলাভ আলোয় সাদিয়ার সুন্দর মুখটা এক পলক দেখল । তারপর লাইট অফ হয়ে আবার অন্ধকারে সব একাকার হয়ে গেল.

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!