তালুত ও জালুতের ঘটনা – শেষ পর্ব
যা মহামারী আকারে সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে তাদের পাঁচটি শহর জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। এগুলো বন্ধ করবার জন্য তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেও এর কোন বিহিত করতে পারল না অবশেষে তারা হতাশ হয়ে পড়ল। কেউ কেউ বলতে লাগল যে, পূজা ঘরে রক্ষিত এ সিন্দুকের কারণে দেশে এ মহামারী ও বিপদাপদ দেখা দিয়েছে। আস্তে আস্তে সকলেই এটা স্বীকার করতে লাগল।
এতে দেশের শাসকও চিন্তিত হয়ে পড়ল। সে নির্দেশ জারী করে দিল যে, দেশের সমস্ত গণক এবং জ্যোতিষীরা যেন রাজধানীতে জড় হয়। রাজ নির্দেশে চারদিক থেকে গণক ও জ্যোতিষীরা রাজধানীতে রাজধানী এসে জড় হল। তাদের সামনে পরিস্থিতির পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরল।
আর সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তাদের কাছে আবেদন করল। তারা বলল যে, এসব সমস্যার একটিই মাত্র সমাধান রয়েছে। তা হল যত শীঘ্রই সম্ভব সিন্দুকটি ফিলিস্তিন হতে বের করে দেয়া। এ সিন্দুক বের করতে যত বিলম্ব হবে পরিস্থিতি তত ঘোলাটে হবে।
তারা এও প্রস্তাব রাখল যে, স্বর্ণের সাতটি ইঁদুর ও সাতটি ফোঁড়া প্রস্তুত করে তা সিন্দুকের সাথে দিয়ে দিতে হবে। তাদের পরামর্শ অনুসারে তাই করা হল। একটি কাঠের গাড়ি তৈরি করে তাতে স্বর্ণের তৈরি ইঁদুর, ফোঁড়া এবং সিন্দুকটি রাখা হল। তারপর দুধাল দুটি গাভী এনে গাড়ীর সাথে জুড়ে দেয়া হল। অতঃপর গাড়িটি শহরের বাইরে এক সড়কের উপর ছেড়ে দেয়া হল এ উদ্দেশ্যে যে, গাভীর যেদিকে ইচ্ছা হয় সেদিকে গাড়ী নিয়ে চলে যাক। তবে ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে যেন না থাকে।