তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ্‌র উপর ভরসা

হযরত বিশর হাফী (রঃ) বলেন, একবার সিরিয়া হতে একদল হজ্জযাত্রী আমার সাথে দেখা করতে আসল। সালাম কালামের পর তারা আরজ করল, আপনিও আমাদের সাথে হজ্জে চলুন। আমরা হজ্জের সময় আপনপর মোহাব্বতে থাকতে চাই। কিন্তু হযরত বিশর হাফী তাদের প্রস্তাবে রাজী হলেন না। অবশেষে তারা বার বার অনুরোধ করলে তিনি এ বিষয়ে তিনটি শর্ত আরোপ করে বললেন-

  • সফরের সামান হিসাবে সাথে কিছুই নিতে পারবেন না।
  • পথে কারো নিকট কিছু চাইতে পারবে না
  • কেহ কিছু দিলে তাও গ্রহণ করতে পারবে না।

উপরুক্ত প্রস্তাব শুনে তারা বলল, প্রথম দুটি প্রস্তাবে আমাদের কোন আপত্তি নেই জরুরতের সময় কেউ কিছু দিলে তা গ্রহণ করা যাবে না এটা মান্য করা আমাদের জন্য কষ্টকর। তাদের মন্তব্য শুনে হযরত বিশর হাফী (রঃ) বলেন, মনে হয় আল্লাহ্‌র উপর তোমাদের তাওয়াক্কুল নেই। তোমরা সামানের উপর ভরসা করেই পথে বের হয়েছ। তোমরা চলে যাও, আমি তোমাদের সাথে যেতে পারব না। অতঃপর তিনি বললেন, ফকীরদের মধ্যে তিনটি শ্রেণী আছে-

  • যে সকল ফকীর মানুষেরে নিকট কিছু সওয়াল করে না। কেউ কেউ কিছু দিলে তাও গ্রহণ করে না। এই শ্রেণীটি হল সর্বোত্তম।
  • আরেকটি শ্রেণী হল তারা মানুষের নিকট কিছূ সওয়াল ও প্রার্থনা করে না বটে কিন্তু স্বেচ্ছায় কেউ কিছু দিলে তা গ্রহণ করে। ইহা দ্বিতীয় শ্রেণী।
  • তৃতীয় শ্রেণীর ফকীরদের অবস্থা হল তারা প্রয়োজনের সময় মানুষের নিকট সওয়াল করে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করে না।

তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ্‌র উপর ভরসা

হযরত বিশর হাফী (রঃ) বলেন, একবার সিরিয়া হতে একদল হজ্জযাত্রী আমার সাথে দেখা করতে আসল। সালাম কালামের পর তারা আরজ করল, আপনিও আমাদের সাথে হজ্জে চলুন। আমরা হজ্জের সময় আপনপর মোহাব্বতে থাকতে চাই। কিন্তু হযরত বিশর হাফী তাদের প্রস্তাবে রাজী হলেন না। অবশেষে তারা বার বার অনুরোধ করলে তিনি এ বিষয়ে তিনটি শর্ত আরোপ করে বললেন-

  • সফরের সামান হিসাবে সাথে কিছুই নিতে পারবেন না।
  • পথে কারো নিকট কিছু চাইতে পারবে না
  • কেহ কিছু দিলে তাও গ্রহণ করতে পারবে না।

উপরুক্ত প্রস্তাব শুনে তারা বলল, প্রথম দুটি প্রস্তাবে আমাদের কোন আপত্তি নেই জরুরতের সময় কেউ কিছু দিলে তা গ্রহণ করা যাবে না এটা মান্য করা আমাদের জন্য কষ্টকর। তাদের মন্তব্য শুনে হযরত বিশর হাফী (রঃ) বলেন, মনে হয় আল্লাহ্‌র উপর তোমাদের তাওয়াক্কুল নেই। তোমরা সামানের উপর ভরসা করেই পথে বের হয়েছ। তোমরা চলে যাও, আমি তোমাদের সাথে যেতে পারব না। অতঃপর তিনি বললেন, ফকীরদের মধ্যে তিনটি শ্রেণী আছে-

  • যে সকল ফকীর মানুষেরে নিকট কিছু সওয়াল করে না। কেউ কেউ কিছু দিলে তাও গ্রহণ করে না। এই শ্রেণীটি হল সর্বোত্তম।
  • আরেকটি শ্রেণী হল তারা মানুষের নিকট কিছূ সওয়াল ও প্রার্থনা করে না বটে কিন্তু স্বেচ্ছায় কেউ কিছু দিলে তা গ্রহণ করে। ইহা দ্বিতীয় শ্রেণী।
  • তৃতীয় শ্রেণীর ফকীরদের অবস্থা হল তারা প্রয়োজনের সময় মানুষের নিকট সওয়াল করে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করে না।

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…