রাত ১২টা ১১, এমএ ক্লাসের ছাত্র মামুনের ফোন। এত রাতে ছাত্রের ফোন দেখে অবাক হয়েছি। প্রথমে মনে করেছি শিক্ষকদের ধর্মঘট ক্লাস-পরীক্ষা সম্পর্কে হয়ত খোঁজখবর নেয়ার জন্যই সে ফোন করেছে। অন্য চিন্তাও কাজ করেছে, এত রাতে ফোন কোনো বিপদ ঘটেনি তো! আমার পরের আশঙ্কাই সত্যি হয়। ফোন রিসিভ করতেই, স্যার আপনি কোথায়? আমাদের বিভাগের সপ্তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী ট্রেনের নিচে পড়েছে ওকে ঢাকা মেডিকেল থেকে ফেরত দিয়েছে এখন পঙ্গুতে নিয়ে যাচ্ছে… আপনি আসলে ভাল হয়।
কি আর করার সারাদিনের ক্লান্তি অবসাদ ভুলে ছুটলাম পঙ্গুতে। গিয়ে দেখি আমার চেনা মুখ…মেহেদী হাসান শোভন। এক পায়ের উপর দিয়ে প্রায় অর্ধেক ট্রেন চলে গেছে। কিন্তু অর্ধেক ট্রেনের যাওয়ায় যতটুকু ভোগান্তি ওকে পোহাতে হয়েছে তার চেয়ে বড় ভোগান্তিতে এখন সে পড়েছে। তার বন্ধুরা পড়েছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে তারা শোভনকে নিয়ে গিয়েছিল জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিউটে।
কারণ তার যে চিকিৎসা দরকার তা নাকি ঢাকা মেডিকেলে নেই। কিন্তু হৃদরোগ ইনন্সিউটে গেলে এই চিকিৎসা সেখানে হয় না এমনটি জানিয়ে ওকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পঙ্গুতে আসার পর এখানকার ডাক্তারদের বক্তব্য হল, এখানে এখন তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। আগে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু বিপত্তি বাধল পঙ্গুতে আইসিইউ নেই।
ডাক্তার বলল, যে কোনো সময় সে মারা যেতে পারে। দ্রুত আইসিইউ সাপোর্ট দরকার। ইতোমধ্যে দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওর শরীরে রক্ত থাকছে না। পড়ে যাচ্ছে। তখন রাত প্রায় দুইটা বাজে। এত রাতে আইসিইউ কোথায় পাব? আমাদের জানা নেই। জানাগেল সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে আছে। আর বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় আছে।
কে যেন বলল, পাশে ট্রমা হাসপাতাল (বেসরকারি) সেখানে নেয়া যেতে পারে। বেসরকারি হাসপাতাল অনেক টাকার ব্যাপার। শোভনের বন্ধুদের একটি গ্রুপ তাই আবার ঢাকা মেডিকেলে ফেরত যাওয়ার পক্ষে। অন্যরা টাকা যা লাগে লাগুক ওকে বাঁচাতে হবে। আমি আমার ছাত্র মামুনকে বললাম, দ্রুত ট্রমাতে যাও.. দেখ আইসিইউ আছে কিনা? আমার কথা শোনামাত্র মামুন রওনা দিয়েছে?
টাকা যা লাগে আমি দেখব। ওকে বাঁচাতে হবে বলে ছাত্রদের আশ্বস্ত করে ডাক্তারকে আমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানাতেই তার মুখ উজ্জল হয়েছে, বুঝলাম যা ভেবেছি তাই…সে পঙ্গুতে শোভনের চিকিৎসা চায় না। ট্রমায় নিয়ে গেলে সে পার্সেন্টেন্স পাবে তাই এই পরামর্শ দিয়েছে। ইচ্ছে করছিল এই ডাক্তার নামের পশুটার গালে দুইটা থাপ্পড় মারি। কিন্তু কোথায় যেন পড়েছি ডাক্তার, পুলিশ আর সাংবাদিককে চটাতে নেই!
সুতরাং মাথা ঠাণ্ডা রাখলাম। ডাক্তারের কথা মতো ট্রমাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে মামুন জানালো ট্রমাতে একটা আইসিইউ খালি আছে। অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে ট্রমাতে নেয়া হল। জীবনে প্রথমবার এত রক্ত ঝরতে দেখছি। পুরো অ্যাম্বুলেন্স রক্তে ভেজা। ট্রমার ফ্লোরে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়ছে। কিন্তু এবার দেখা দিয়েছে নতুন বিপত্তি। ট্রমার আইসিইউয়ের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার আনিস কিছুক্ষণ আইসিইউতে রাখার পর আমাদেরকে বলল, ওর রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছে না।
ওকে আগে আইসিইউ নয়, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিউটে নিতে হবে। কারণ আইসিইউয়ে থাকার চেয়ে ওর রক্ত বন্ধ করা জরুরি। আমি ট্রমার ওই ডাক্তারকে বললাম, আমরা সেখানেও গিয়েছি…তারা বলেছে ওখানে ওর চিকিৎসা হবে না। কিন্তু ট্রমার ডাক্তার আমাকে বুঝিয়ে বললেন, আগে রক্ত বন্ধ করতে হবে। আর ওই রক্তনালী বন্ধ করার চিকিৎসা একমাত্র ওখানেই হয়… এনআইসি বিভাগে।
আমি এবার ইসলামের ইতিহাস ছেড়ে ডাক্তারি বোঝার চেষ্টা করছি। তাকে বললাম, ওখানে যেয়ে কি বলব সেটা বুঝিয়ে বলেন। তিনি আমাকে বুঝিয়ে বললেন। শোভনের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বাঁচবে কি মারা যাবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতাল যখন টাকার মায়া ছেড়ে ওকে রাখতে রাজি হয়নি। প্রথমবার আমার বুক কেঁপে উঠল। ধরে নিলাম ওকে বাঁচানো কঠিন হবে।
ট্রমা থেকে আবার আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউটে যেখান থেকে ওকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ঘণ্টাখানেক আগে । কিন্তু কিছু করার নেই। আমরা ডাক্তারি জানি না। ডাক্তারের কথা মতো এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছি। আমার ছাত্ররা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র সবার অবস্থান তখন করুন। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিউটে গেলে আবার একই কথা। এখানে তার চিকিৎসা হবে না। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিতে হবে। ডাক্তার প্রথমে কথা বলতেও রাজি হয়নি।
পরে মঈন নামে এক ডাক্তার আমার সাথে কথা বলতে রাজি হন। আমি তাকে গত প্রায় ৫ ঘণ্টা শোভনের চিকিৎসা নিয়ে কি হয়েছে, কোথায় কোথায় গিয়েছি, কে কি বলেছে- তা খুলে বললাম… কিন্তু তাদের একই কথা এখানে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এই চিকিৎসা হবে পঙ্গুতে। শোভন এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে তার বন্ধুরাও অস্থির হয়ে পড়েছে। আমি নিরূপায়। ডাক্তারকে অনুরোধ করে বিনয়ের সাথে আমার পরিচয় দিয়ে আহত শোভন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেই বিষয়টি জানালাম।
আর বললাম, আমার সাথে সব ছাত্ররা আছে। যদি এই রোগী মারা যায় তো কাল ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করবে। অস্থিরতা তৈরি হবে। তখন আমার ও আপনার কারোরই চাকরি থাকবে না। তিনি এবার রোগী দেখতে রাজি হলেন। পাশাপশি ভিতরে গিয়ে তার সিনিয়রদের সব খুলে বলাতে তারাও রাজি হয়েছেন। মনে হল ছাত্র আন্দোলনের কথায় তারা হয়ত ভয় পেয়েছেন। এবার ডাক্তার কামালও (তিনি প্রথমে এখানে চিকিৎসা হবে না এমনটি বলেছিলেন) রোগীর চিকিৎসা করতে সম্মত হন।
পুরো হাসপাতালে তোড়জোড় শুরু হয়। সিনিয়র ডাক্তারদের বাসা থেকে ডেকে আনা হয়েছে। এবার ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোগীর যে অবস্থা তাতে অপারেশন করতে গেলে মারা যেতে পারে দায়িত্ব কে নেবে? আমি বললাম, রোগী যদি মারা যায় ওর পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয়, পত্রিকায় স্টেটমেন্ট দিয়ে আমি বলব, ডাক্তাররা খুব আন্তরিক ছিল, চিকিৎসার কোনো ত্রুটি করেনি ইত্যাদি ইত্যাদি।
তারা আমার কথায় কনভিন্স হলেন। তাদের আরও একটা দাবি ছিল… শোভনের অপারেশনের পর এই হাসপাতালে রাখা যাবে না। অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে। তাদের এই দাবিতে সম্মতি দিয়েছি। বললাম, অ্যাম্বুলেন্স আমরা রেডি রেখেছি। আপনারা বললেই নিয়ে যাব। তারা এবার পুরোপুরি আশ্বস্ত হলেন। কারণ তাদের ভয় ছিল রোগীর যে অবস্থা, অপারেশনের পর যদি মারা যায় তাহলে তারা বিপদে পড়বেন। আমার আশ্বাসে তাদের সেই ভয় দূর হয়। সিনিয়র চিকিৎসকরা দায়িত্ব নিতে ইতস্তত বোধ করছে দেখে ডাক্তার মঈন আর ডাক্তার কামাল তাদেরকে অনুরোধ করেন। (আমি এই দুইজনের আন্তরিকতায় মুগ্ধ। তাদের মতো ডাক্তার আছেন বলেই রোগীরা এখনও সরকারি হাসপাতালে যায়) তারা সিনিয়রদের কনভিন্স করলেন। অবশেষে সিনিয়রাও অবস্থার গুরুত্ব বুঝে রাজি হন। এবার অভিভাবক লাগবে। যে গ্যারান্টি দেবেন রোগী মারা গেলে দায়িত্ব সব তার। আমি আর শোভনের এক দূর সম্পর্কের নানী এবার সেই দায়িত্ব নিয়েছি। স্বাক্ষর করেছি। শোভনকে অপারেশন রুমে নেয়া হয়েছে।
রক্ত দরকার অনেক। ওর বন্ধুরা বড় ভাই-ছোট ভাইরা রক্ত দিচ্ছে। মামুন সব ব্যবস্থা করছে। তাই ও দিকটা নিয়ে চিন্তা মামুনের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। মামুনকে পরামর্শ দিয়েছি, আরো রক্ত যেন রেডি থাকে সেই ব্যবস্থা করতে। ও ওই রাতেই পরিচিত জনদের ফোন করছে। এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে টাকার। আমার কাছে থাকা টাকা ইতোমধ্যে শেষ। অন্যদেরও একই অবস্থা। আমি ফার্মেসিতে যেয়ে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম, আপনারা ঔষধপত্র যা লাগে দেন, আমি বাসা থেকে টাকার ব্যবস্থা করছি।
আমার স্ত্রী সোনিয়াকে ফোন দিয়ে সব খুলে বলেছি। আরও বলেছি, দুইজন ছাত্রকে পাঠাচ্ছি ওদের কাছে যেন টাকা দিয়ে দেয়া হয়। রতন আর শাওন আমার বিভাগের ছাত্র। তাদেরকে আমার বাসার লোকেশন বুঝিয়ে দিয়ে টাকা আনতে পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে ব্লাড দেয়ার জন্য চ্যানেল নাইনের সাংবাদিক আমার প্রিয় ছাত্র আরিফ আরও দুইজনকে সাথে করে নিয়ে হাজির। অপারেশন থিয়েটার থেকে জামিনদার হিসেবে আমার আর নানীর ডাক পড়েছে। ভিতরে যাওয়ার পর ডাক্তাররা আমাকে ওর পায়ের ছবি তুলতে বলেন।
আমি এক নজর দেখার পর আর তাকাতে পারিনি। মাংস থেতলে গেছে বিচ্ছিরিভাবে। আমি বললাম, আপনারা যা ভাল বোঝেন তাই করেন। বাইরের সব কিছু সামলাব। ডোন্ট ওরি। অবশেষে ডাক্তাররা অপারেশন করে ওর রক্তনালী বন্ধ করছে। রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে অবশেষে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে, ওর হাড়ের দিক থেকে যে রক্ত পড়ছে তা বন্ধ করার জন্য কোনো চিকিৎসা ওখানে নেই। শোভনকে আবার পঙ্গু হাসপাতালে নিতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ মতো আবারও পঙ্গুতে নেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রতন আর শাওনকে টাকা নিয়ে পঙ্গুতে আসতে বলেছি।আবারও এসেছি, পঙ্গুর সেই কসাইয়ের কাছে। বিনীতভাবে বললাম, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউটে ওর চিকিৎসা হয়েছে ওখানে ওর রক্তনালী থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করা হয়েছে। আপনাদের এখানে হাড়ের চিকিৎসা করতে হবে। ডাক্তার আমার কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে বললেন, ট্রমাতে নেয়া হয়নি! আমি বুঝলাম পার্সেন্টেন্স নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত। তাকে আশ্বস্ত করতে বলেছি, ট্রমাতে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকেই হৃদরোগে নেয়া হয়েছিল।
তিনি নিশ্চিত হতে চাইলেন। বললেন, কাগজ কই। বললাম আছে। আমার কাছে নেই আমার এক ছাত্রের কাছে সব কাগজ আছে। আপনার কোনো টেনশনের কারণ নেই। ডাক্তার আমার কথায় আশ্বস্ত হন।এবার শোভনকে ভর্তি করা হয়। তখন রাত পেরিয়ে সকাল হওয়ার পথে পৃথিবী এগিয়ে চলেছে। কিন্তু শোভনের আর চিকিৎসা এগোলো না। ডাক্তার কিছু এক্সরে করে তার দায়িত্ব শেষ করেন। শিফট পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে বাড়ির পথে রওনা হন।
আমার ছাত্রদের মধ্যে যারা খুব ক্লান্ত তাদেরকে বিশ্রামের জন্য পাঠিয়ে দিয়ে আমি ওর পিতা-মাতা আসার জন্য অপেক্ষা করছি। তারা সেই ঝিনাইদহ থেকে আসছেন। সকালে শোভনের কাছে যখন যাই তখন তার মুখে হাসি। আমাদের সারা রাতের পরিশ্রম সফল হয়েছে ভেবে স্বস্তি পেয়েছি। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে সে ফিরে এসেছে দেখে অনেক তৃপ্তি পেলাম। শোভন বলল, স্যার আমি খুশি আমার পা বেঁচে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ত ওর পা আর রক্ষা করা যাবে না।
কেটে ফেলতে হবে। প্রায় দশটা নাগাদ শোভনের চাচা আর মা এসেছে তাদের হাতে ওর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চেয়েছি। কিন্তু ডাক্তার কখন আসবে কেউ জানে না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাসার পথে পা বাড়িয়েছি। কারণ মাত্র কয়েকদিন হল ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থেকে সেরে উঠেছি। শরীরটা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়।
এখন বিকাল সাড়ে ৫টা। আমার খাওয়া গোসল কিছুই হয়নি। এসেই ঘুমাতে শরীর বাধ্য করেছে। এইমাত্র শোভনের চাচা ফোন করেছে ওকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে। আমি যেন হাসপাতালে যাই। আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যে যাব। আমার যেসব ছাত্র সারা রাত জেগেছিল অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। এখানে তাদের নাম হয়ত লেখা হয়নি।
কিন্তু তারা সবাই যে পরিশ্রম করেছে। বিনা দ্বিধায় পকেটে থাকা টাকা খরচ করেছে। গায়ের রক্ত দিয়েছে। তা লিখে বোঝানো যাবে না।
সারারাতে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে…এদেশে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো চিকিৎসা নেই। শোভন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়ে সাধারণ কোনো মানুষ হত, তবে ওকে বাঁচানো যেত কিনা আল্লাহ ভাল জানেন।
তবে ডাক্তার মঈন আর কামালের মতো কিছু ভাল ডাক্তার আছেন সেটাও স্বীকার করতে হবে। মহান আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ যে, সে শেষ পর্যন্ত শোভনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এখন আমরা শোভনের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায়…
*মো. আবুসালেহ সেকেন্দার, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
–
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।